ঢাবির বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরিক্ষা অনুষ্ঠিত
Published: 15th, February 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান অনুষদের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের (স্নাতক) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় পরীক্ষা শুরু হয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় শেষ হয়।
কার্জন হলের পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “এবার ‘এ’ ইউনিটে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮১১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। ঢাকাসহ সারা দেশে আটটি বিভাগীয় শহরে এ বিশাল আয়োজন। প্রতিটি আসনের জন্য প্রায় ৭৮ জন পরিক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।”
অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “তীব্র প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা হওয়ায় বেশিরভাগ পরিক্ষার্থী অকৃতকার্য হবে। আমরা যেন তাদের তিরস্কার না করি এবং মনে কষ্ট না দেই। এমন পরিক্ষাগুলো অংশগ্রহণ করলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে।”
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ভর্তি পরিক্ষার প্রশ্নে অসংগতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, “পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। তাই পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হবে না। পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করেই আমাদের গঠিত কমিটি আজকালের মধ্যেই বিবৃতি দেবে।”
বিজ্ঞান অনুষদের থেকে প্রাপ্ত বিবৃতি অনুযায়ী আজকের পরীক্ষায় মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮১১ জন। আবেদনকারীদের মধ্যে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৪৮ জন বিজ্ঞান শাখা, ৭ হাজার ৯০ জন মানবিক শাখা এবং ৮৭৩ জন ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থী।
ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সাতটি বিভাগীয় শহরে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮২ হাজার ৩১২ জন এবং বাকি বিভাগীয় শহরগুলোতে ৬৪ হাজার ৪৯৯ জন।
এ বছর বিজ্ঞান ইউনিটে আসন সংখ্যা ১ হাজার ৮৯৬টি। এর মধ্যে বিজ্ঞান শাখায় ১ হাজার ৮২০টি, মানবিক শাখায় ৫১টি এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ২৫টি আসন রয়েছে। প্রতিটি আসনের বিপরীতে লড়াই করেছেন ৭৭ জন পরীক্ষার্থী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের অধীনে বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ফার্মেসী, আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের বিভাগসমূহ এবং পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট রয়েছে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ র থ ন পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে গুরুত্ব আরোপ
কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কার্যত সামরিক সংঘাতে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। এ পরস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। বুধবার দুজনকে করা এ ফোন কলে তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনা কমানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এছাড়া দুই
ফোনালাপের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে দেওয়া পৃথক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় মার্কো রুবিও বলেন, তিনি পেহেলগাম হামলায় নিহতদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তবে তিনি আরও বলেন, ভারত যেন পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করার আগে সতর্ক থাকে, কারণ এখনও পর্যন্ত ভারত এই হামলায় পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার কোনও প্রমাণ প্রকাশ করেনি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণহানির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা কমাতে এবং শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে ভারতকে পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করার জন্য বলেছেন।
পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে ফোনালাপে রুবিও- ২২ এপ্রিল ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পর্যটন কেন্দ্র পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, রুবিও এই অযৌক্তিক হামলার তদন্তে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, ভারতের উস্কানিমূলক আচরণ শুধু উত্তেজনাই বাড়াচ্ছে এবং পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টাকে বিভ্রান্ত করছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা ভারতের ওপর দায়িত্বশীল আচরণ ও ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাপ প্রয়োগ করে।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে কাশ্মীরের পেহেলগাম জেলার বৈসরণ তৃণভূমিতে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন, যাদের প্রায় সবাই পর্যটক। হামলার দায় স্বীকার করে রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট নামে একটি সংগঠন। এটিকে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়্যেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে মনে করা হয়।
এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজনকে আহত হন। যাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তারা সবাই পুরুষ। বস্তুত, ২২ এপ্রিলের হামলা ছিল ২০১৯ সালের পুলোয়ামা হামলার পর জম্মু ও কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা। বর্তমানে এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পেহেলগামের ভয়াবহ ওই হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান।
তাছাড়া, হামলার পরে দুই দেশই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। সূত্র-এএফপি