পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় লাভ নেই: নাভালনায়া
Published: 15th, February 2025 GMT
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচক প্রয়াত অ্যালেক্সি নাভালনির স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনায়া সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে পুতিনের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা চালিয়ে কোনো লাভ নেই।
আগামীকাল রোববার নাভালনির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। এর আগে গত শুক্রবার জার্মানির মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে নাভালনায়া বলেন, ‘পুতিনের সঙ্গে যদি আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নেন, তবে মনে রাখবেন তিনি মিথ্যা বলবেন। তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করবেন। তিনি শেষ মুহূর্তে তাঁর নিয়ম বদলে দেবেন এবং তাঁর নিজের খেলা খেলতে বাধ্য করবেন।’
নাভালনায়া আরও বলেন, ‘পুতিনের সঙ্গে যেকোনো চুক্তির সম্ভাব্য ফলাফল দুটি। তিনি যদি ক্ষমতায় থাকেন, তাহলে তিনি চুক্তি ভঙ্গ করার উপায় খুঁজে পাবেন। যদি তিনি ক্ষমতা হারান, তাহলে চুক্তিটি অর্থহীন হয়ে পড়বে।’
গতকাল শুক্রবার নির্বাসিত বেলারুশের বিরোধীদলীয় নেত্রী সভেতলানা টিখানোভস্কায়ার সঙ্গে সম্মেলনে একটি প্যানেলে বক্তৃতা দেন নাভালনায়া।
নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চান জেলেনস্কিমিউনিখ সম্মেলনে অংশ নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তিতে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চান। এ সম্মেলনে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, যুদ্ধ শেষ করতে যেকোনো সূত্র বের করার আগে তিনি হোয়াইট হাউসের সঙ্গে আরও আলোচনা চান।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এনবিসির ‘মিট দ্য প্রেস উইথ ক্রিস্টেন ওয়েলকার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দেন জেলেনস্কি। তিনি এতে বলেন, রাশিয়ার আক্রমণের মুখে মার্কিন সহায়তা ছাড়া ইউক্রেনের টিকে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।
জেলেনস্কি এমন এক সময় এ কথা বললেন, যখন (এ সপ্তাহের শুরুতে) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টেলিফোনে তাঁর ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন। ট্রাম্প অবিলম্বে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান চান। এ লক্ষ্যে শুরু করতে চান কূটনৈতিক আলোচনা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউক র ন
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুর গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা, নির্বাচনী আচরণবিধির সংশোধন চায় ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা এবং নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধনে নির্বাচন কমিশনকে স্মারকলিপি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের কাছে এ স্মারকলিপি দেন ছাত্রদলের নেতারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘আসন্ন জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী জকসু সংবিধি এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য দায়বদ্ধ। ন্যায্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিতে আমাদের অনুরোধ, ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় প্রত্যেক ভোটারের ছবিসহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং স্বচ্ছ, নাম্বারযুক্ত ব্যালট বক্স রাখা আবশ্যক।’
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ব্যালট ছাপার সংখ্যা, ভোট প্রদানকারীর সংখ্যা এবং নষ্ট ব্যালটের তথ্য প্রকাশ করতে হবে। মিডিয়া ট্রায়াল বা ভুল তথ্য প্রচার হলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কেন্দ্র থেকে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে নির্বাচনকালীন সময়ে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ডাকসুর তফসিল ঘোষণার ৪১ দিন, চাকসুর ৪৪ দিন, রাকসুর ৮০ দিন এবং জাকসুর তফসিল ঘোষণার ৩১ দিন পর নির্বাচন হয়েছে। যেহেতু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। এ ছাড়া বাকি চার বিশ্ববিদ্যালয়ের তফসিল ঘোষণার সময় ও নির্বাচনের মধ্যবর্তী পার্থক্য বিবেচনা করে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে সুষ্ঠু একটা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, এজন্য ছাত্রদল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করছি, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবে।’