হেলিকপ্টারে চড়িয়ে মেধাবীকে মূল্যায়ন
Published: 15th, February 2025 GMT
সীতাকুণ্ডে বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে এসে হেলিকপ্টারে ভ্রমণ করালেন দুই মেধাবী শিক্ষার্থীকে। দিনে হেলিকপ্টারে ঢাকায় গিয়ে রাতে বাড়ি ফিরেছে বিমানে চড়ে। এতে উচ্ছ্বসিত তারা। 
 বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব শিল্পপতি আসলাম চৌধুরী গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাট খয়রাতি মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান শেষে দুই শিক্ষার্থীকে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে ঢাকায় নিয়ে যান। এ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন তিনি। বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আসলাম চৌধুরী।
 হেলিকপ্টার ভ্রমণে সুযোগ পাওয়া সায়েম ও সাইমন বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণি শিক্ষার্থী। তারা বলে, ‘বিদ্যালয়ের ইতিহাসে এ রকম হেলিকপ্টারে ভ্রমণের সুযোগ কারও কখনও হয়নি। এ স্মৃতি সারাজীবন মনে থাকবে। এই ধরনের উৎসাহ পেলে লেখাপড়ার প্রতি শিক্ষার্থীরা আরও বেশি মনোযোগী হবে।’
 চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মোরছালীন বলেন, ‘বিদ্যালয়ের বার্ষিক অনুষ্ঠানে লায়ন আসলাম চৌধুরী প্রধান অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠানে শেষে ঢাকা ফিরে যাওয়ার সময় মেধাবী দুই শিক্ষর্থীকে উপহার হিসেবে হেলিকপ্টারে ভ্রমণ করাতে আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। বিকেল ৪টার সময় মেধাবী দুই শিক্ষার্থীকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় ফিরে যান। বনানীর একটি মার্কেটে নিয়ে ওই শিক্ষার্থীদের উপহার হিসেবে পোশাক কিনে দেন তিনি। পরে রাত ৯টায় বেসরকারি একটি বিমানে করে তাদের চট্টগ্রাম পাঠিয়ে দেন।’
 অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসলাম চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, দেশের মেরুদণ্ড ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্র করে জাতিকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা করেছিল পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার সরকার। সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে; কারণ আমাদের গ্রামগঞ্জের পরিবেশ আস্তে আস্তে ধ্বংসের পথে চলে যাচ্ছে কিছু অসাধু অনলাইন জুয়াড়ির মাধ্যমে। মধ্যবিত্তসহ সমাজের যুবক, তরুণ সমাজ আসক্ত হয়ে পড়ছে। পাশাপাশি তারা সমাজে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে। তাই সন্তান স্কুল, কলেজে নিয়মিত যাচ্ছে কিনা, তা নজরদারির মাধ্যমে বাচ্চাদের প্রতি সচেতন হতে হবে।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আসল ম চ ধ র অন ষ ঠ ন ভ রমণ
এছাড়াও পড়ুন:
হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী টিম ডিরেক্টর রাজ্জা
সংবাদ সম্মেলন তখন শেষ। আব্দুর রাজ্জাককে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, ‘‘বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর কিন্তু টসেও ইনপুট দিতেন। আপনি কি…?’’ রাজ্জাক মুখে হাসি আটকে রাখেন। এই পদে আসন্ন আয়ারল্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক স্রেফ এতোটুকুই বলতে পারেন, ‘‘আমাদের থেকে এমন কিছু কখনোই দেখতে পারবেন না। আমরা নতুন কিছু নিয়ে ভাববো।’’
জাতীয় দলকে নিয়ে সেই ভাবনা থেকেই আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড একজনকে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের জাতীয় পুরুষ দলের ব্যর্থতার কারণে আলোচনা হচ্ছিল, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপরে একটি ছায়া বিভাগ থাকবে যারা সরাসরি জাতীয় দল পর্যবেক্ষণ করবে।
সেই ছায়া বিভাগে সাবেক ক্রিকেটাররাই থাকবেন। প্রথম টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাক পেলেন দায়িত্ব। কেন টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হলো সেই প্রশ্ন করা হয় তাকে। নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় টিম ডিরেক্টর পদটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ এই দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে। দলের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যেতেন তিনি। টস থেকে শুরু করে টিম মিটিংয়ে দিতেন ইনপুট। যা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ করেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক।
তবে রাজ্জাক নিজের কাজ, পরিধি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলেই নিশ্চিত করলেন,"অন্যান্য যে কোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। আর কখনও যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে সেটিও দেওয়ার চেষ্টা করব। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমি করব।"
"ক্রিকেট বোর্ডের মনে হয়েছে, দলের সঙ্গে একজন টিম ডিরেক্টর থাকলে ভালো হবে। এই পদটি কিন্তু আগেও ছিল। অনেক দিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড পরিচালকের সংখ্যা কম থাকায় হয়তো দলের সঙ্গে কেউ যায়নি। তবে এর আগে প্রায় সিরিজেই দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর থাকত।" - যোগ করেন তিনি।
ঢাকা/ইয়াসিন