চিত্রনায়িকা পরীমণি।  সামাজিক মাধ্যমেও তিনি বেশ সরব। ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে এই অভিনেত্রী জানান, রাত ১০টায় নিজের ভ‍্যালেন্টাইনের সঙ্গে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দিবেন।  
ঘোষণামতে ঠিক ১০টার ঘরে, তার মিনিট কয়েকের মধ্যেই লাইভে এলেন পরীমণি। 

লাইভের শুরুতেই নাটকীয়তা করেন এই নায়িকা। মুখ দেখাননি তার। ঘরজুড়ে ছড়িয়ে থাকা অজস্র গোলাপের পাপড়ি, রঙিন বেলুন এবং সেসবের ফাঁকে ফাঁকে প্রদীপের আলো জ্বলা ওতভরিঅ  ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে ফুয়াদ-শান্তর ‘তোমাকে ভেবে লেখা’ গানটি।  হঠাৎ সেই ঘোর ভেঙে একেবারে সেজেগুজে হাজির অভিনেত্রী! 

হাসিখুশি মনে পরী বলেন, ‘সবাইকে বলেছিলাম আজকে আমার ভ্যালেন্টাইনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিব। সমস্ত ভালোবাসা দিয়ে, আপনাদের সামনে আমার ভালোবাসাকে পরিচয় করিয়ে দিতে চাচ্ছি এই মুহূর্তেই।’

ভক্তদের চমকে দিয়ে একজনকে ডাকলেন পরীমণি। তবে মাতৃত্বকালীন কিছু পোশাকে সেই লোকটির মুখ ঢাকা ছিল! যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই জানা যায় যে, তিনি একজন ফ্যাশন ডিজাইনার। নাম রুহুল চৌধুরী, যিনি মা ও শিশুদের জন্য পরীর নতুন ব্র্যান্ড ‘বডি’তে কাজ করছেন।

ইতিমধ্যে খোলাসা হয়ে যায় যে, ভ্যালেন্টাইন বলতে অভিনেত্রী তাঁর নতুন ব্র্যান্ডকেই বুঝিয়েছেন। লাইভে কিছুটা খুনসুটিতেও মেতে উঠতে দেখা যায় পরীমণিকে। ফ্যাশন ডিজাইনার রুহুলকে মিষ্টি করে একটি চড়ও মারেন!

পরী জানান, মাতৃত্বকালীন সময়ে মা ও বাচ্চাদের প্রয়োজনীয় সমস্ত কিছু পাওয়া যাবে বডিতে। নায়িকার ভাষ্য, ‘বডি হচ্ছে এমন একটা প্রোজেক্ট, যেটা কিনা আমার ভালোবাসা দিয়ে সাজানো। সমস্ত ভালোবাসা দিয়েই এটা তৈরি। শুধু মা এবং বাচ্চাদের জন্য। কারণ আপনারা মা হিসেবে আমাকে এত বেশি ভালোবাসেন, পছন্দ করেন; এত বেশি অ্যাপ্রেসিয়েট করেন—আমার মনে হয় মাদারহুডের যে জার্নিটা আমি করেছি, সেই জার্নিতে যেভাবে যেভাবে সাফার করেছি, যে প্রবলেমগুলো আমি মোকাবিলা করেছি—সেগুলোকে অনেকটা সহজ করে দিবে বডি।’

এরপর রুহুল বলেন, ‘ও (পরী মণি) তো খুব ভালো করেই বুঝিয়ে বললো যে, কেন সে এই প্রোজেক্টে যুক্ত হয়েছে। তবে আমি যেটা বলতে পারব—সেটা হলো প্রোজেক্টের জন্য সে কী কী কষ্ট করেছে। ব্যক্তিগত জার্নি তো শেয়ার করেছেই, সেটার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া। ম্যাটারনিটি আইটেম দিয়ে আমরা শুরু করেছি। দিন দিন সেখানে প্রেগন্যান্সি চলাকালীন মায়েদের যেসব প্রোডাক্ট দরকার এবং বাচ্চাদের জন্য যা যা দরকার সবই আমরা একটা একটা করে যোগ করব। সেটা আপনাদের ভালোবাসার ওপর নির্ভর করবে, কীভাবে সাড়া দেন সেটার ওপর নির্ভর করবে।’

একপর্যায়ে পরী-রুহুলের সঙ্গে যুক্ত হন লামিয়া নামের আরও একজন। মাতৃত্বকালীন বিভিন্ন পোশাকের প্রদর্শনী করেন তাঁরা।

লাইভের শেষদিকে পরীমণি বলেন, ‘সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একটু একটু করে এগোব, এই আশা করি। সেই ভরসাটা রেখেই আজ থেকে বডি আপনাদের হয়ে গেল। আমার জন্য দোয়া করবেন, আমার বাচ্চাদের জন্য দোয়া করবেন। পৃথিবীর সমস্ত মায়েরা ভালো থাকবেন।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ র জন য সমস ত

এছাড়াও পড়ুন:

সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন

প্রথিতযশা অধ্যাপক ও পরিসংখ্যানবিদ কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন একজন সব্যসাচী মানুষ। তিনি নিজের কাজের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। তাঁর ঐতিহ্য শিক্ষার্থীদের ধারণ করতে হবে।

জ্ঞানতাপস কাজী মোতাহার হোসেনের ১২৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথাগুলো বলেন।

অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা, বৃত্তি, পদক, পুরস্কার ও সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের যৌথ আয়োজক কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ এবং পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট।

অনুষ্ঠানে ‘যুগলের বন্ধন: কাজী নজরুল ইসলাম-কাজী মোতাহার হোসেন’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা দেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী। তিনি দুই বন্ধুর সম্পর্কের রসায়নের নানা দিক তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, এই অনুষ্ঠানের দুটো প্রাপ্তি আছে। প্রথমত, মানুষের অবদান ও মেধাকে স্বীকার করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এই উপমহাদেশের একজন প্রথিতযশা সব্যসাচী মানুষের ঋণ স্বীকার করা হচ্ছে।

কাজী মোতাহার হোসেন যেকোনো বিবেচনায় একজন দার্শনিক বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। প্রথম সারির পরিসংখ্যানবিদ, বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ছাড়াও তিনি অনেকগুলো সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, প্রভাব বিস্তার করেছেন। একজন মানুষের ছোট জীবদ্দশায় এত গুণ সন্নিবেশিত করা কঠিন। কিন্তু তিনি তা করে দেখিয়েছেন।

সবাইকে নিয়ে চলা, প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, নিজের জগতের বাইরে নানা কিছুতে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মতো ঐতিহ্য কাজী মোতাহার হোসেন করে গেছেন বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, তাঁর সম্মানে যাঁরা আজ স্বীকৃতি পেলেন, তাঁরা এই ঐতিহ্যকে ধারণ করবেন। এটা (বিশ্ববিদ্যালয়) যে সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সে বার্তা দেবেন। যেসব শিক্ষার্থী সম্মাননা পাচ্ছেন, তাঁদের ছোট প্রোফাইল তৈরি করে ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মাজেদ বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন একজন সব্যসাচী মানুষ ছিলেন। বিজ্ঞানের এমন কোনো দিক নেই, যেখানে তাঁর পদচারণা ছিল না। তিনি দাবা খুব পছন্দ করতেন। দাবা খেলার কথা শুনলে তিনি ছুটে যেতেন। কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে তাঁর শোনা নানা গল্প তিনি স্মৃতিচারণা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জাফর আহমেদ খান বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন পরিসংখ্যান চর্চার পথিকৃৎ ছিলেন। বিজ্ঞান, দাবাচর্চারও পথিকৃৎ ছিলেন। এমন কোনো পুরস্কার নেই যে, তিনি পাননি। তাঁর দেখানো পথে যেন শিক্ষার্থীরা নিজেদের আলোকিত করতে পারেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রওনাক হোসেন। এই আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের সেরা শিক্ষার্থীদের বই, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গঙ্গাচড়ায় হিন্দুবাড়িতে হামলা ঠেকাতে ‘পর্যাপ্ত’ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি
  • নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-আ.লীগ নেতা–কর্মীদের ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে গ্রেপ্তার ২২, সেনা হেফাজতে মেজর
  • দেশের চারজনের একজন বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার
  • ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে
  • ডেঙ্গুতে দুজনের, করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু
  • জাওয়াইদেহ বেদুইনদের মৌখিক সাহিত্য
  • রাবিতে আ.লীগ ট্যাগ দিয়ে চিকিৎসা কর্মীকে বিবস্ত্র করে মারধর
  • ইরানের সঙ্গে সংঘাত: ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা দিতে সৌদি সরকারকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র
  • সিরিজের শেষ ম্যাচে নেই স্টোকস, দায়িত্বে পোপ
  • সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন