নারায়ণগঞ্জে আধুনিক পোশাকের ব্র্যান্ড ব্লু ড্রিমের শোরুম উদ্বোধন
Published: 16th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জে আধুনিক পোশাকের ব্র্যান্ড ব্লু ড্রিমের ১৩৯৯ তম শোরুম উদ্বোধন হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় ফিতা কেটে নারায়ণগঞ্জ শহরের সরকারি মহিলা কলেজ সংলগ্ন আল জয়নাল ফেব্রিক্স মার্কেটে ওই শোরুমের উদ্বোধন করেন ব্লু ড্রিম মানব সম্পদ বিভাগের হেড অব এইচআর আতাউর রহমান, শোরুমের মালিক শাহ আলমসহ অন্যান্যরা।
উদ্বোধন শেষে পোশাক কোম্পানি "ব্লু ড্রিম" এর মানবসম্পদ বিভাগ হেড অব এইচআর আতাউর রহমান বলেন,ব্লু ড্রিমের শোরুম শুধু বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ না, বরং পোলান্ড, সাইপ্রাস, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, মালদ্বীপ, সৌদি আরব, দুবাই, ভারত, কাতার, কুয়েতসহ ৫৩টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে ব্লু ড্রিম-এর পোশাক।।বিশ্বের ৫৩ টি দেশে এবং বাংলাদেশে এই গ্রুপের নারায়ণগঞ্জ সহ বিভিন্ন জেলায় ১৩৯৯ টি শোরুম রয়েছে।
শিল্প নগরী নারায়ণগঞ্জবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ব্লু ড্রিমের সকল পোশাকের গুনগত মান এবং ন্যায্য মূল্যের কারণে বাংলাদেশ তথা বিশ্বের কাছে খুব সুনাম অর্জন করেছে।
শোরুমের মালিক নারায়ণগঞ্জ বন্দরের বাসিন্দা শাহ আলম জানান, উদ্বোধনের পরপরই ক্রেতা সাধারণের ভীড় বাড়তে থাকে, পণ্যের মান অনুযায়ী দাম হাতের নাগালে বলেও জানিয়েছেন ক্রেতাসাধারণ।
শোরুমের মালিক নারায়ণগঞ্জ বন্দরের বাসিন্দা শাহ আলম জানান, উদ্বোধনের পরপরই ক্রেতা সাধারণের ভীড় বাড়তে থাকে, পণ্যের মান অনুযায়ী দাম হাতের নাগালে বলেও জানিয়েছেন ক্রেতাসাধারণ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
বন্ধ কারখানার মালিকেরা টাকা নিয়ে বিদেশে চলে গেছেন: উপদেষ্টা
শ্রম ও কর্মস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া পোশাক কারখানার মালিকদের যদি অর্থের হিসাব নেয়া হয়, তাহলে তাদের ব্যাংক হিসাবে অন্তত দুইশত থেকে তিনশত টাকা পাওয়া যাবে। অথচ তারা কারখানা চালাতে পারছেন না। টাকা নিয়ে বেশিরভাগ মালিক বিদেশে চলে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে সাভারে বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (বিপিএটিসি) সামরিক বাহিনীর এক সেমিনারে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া পোশাক কারখানার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘যে সমস্ত কারখানা বন্ধ হয়েছে, সেগুলো বন্ধ হওয়ার মতোই ছিল। মালিকেরা ব্যাংক থেকে টাকা ঋণ নিয়েছেন কিন্তু শ্রমিকদের বেতন দেননি। এ সকল কারখানার মালিকদের ব্যাংকে অন্তত দুইশত থেকে তিনশত কোটি টাকা পাওয়া যাবে।’’
আরো পড়ুন:
বকেয়া বেতনের দাবিতে নারায়ণগঞ্জের সড়কে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জে বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
তিনি আরো বলেন, ‘‘মালিকেরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন কিন্তু টাকা ফেরত দেননি। অথচ তারা কারখানা চালাতে পারছেন না। টাকা নিয়ে বেশিরভাগ মালিক বিদেশে চলে গেছেন।’’
উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘‘একটা কোম্পানি পেলাম না, যারা তিনশত কোটি টাকার কম ঋণ খেলাপি আছে। তারপরও ব্যাংক তাদের টাকা দিয়েছে। পলিটিক্স কালেকশনে ব্যবসা করলে এ রকম হবে।’’
রপ্তানি বৃদ্ধি ও শ্রমিকদের চাকরি নিয়ে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, ‘‘সব পোশাক কারখানা বন্ধ হলে তো ১৭ শতাংশ রপ্তানি বৃদ্ধি হতো না। এখন চিটাগাং বন্দর কুলাতে পারছে না।’’
উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘‘যে কারখানাগুলো বন্ধ হয়েছে, সেগুলো সাব-কন্ট্রাকে কাজ করাত শ্রমিকদের দিয়ে। তাই খুব জটিলতা নেই। তবে বেকারত্ব বেড়েছে। তবে অনেকে আবার নতুন করে অন্য কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছেন।’’
বেক্সিমকো গ্রুপের পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে বেকার শ্রমিকেরা চিটাগাংসহ অন্য জায়গায় কাজে যোগ দিয়েছেন বলে জানান উপদেষ্টা।
অনুষ্ঠানে সাময়িক বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/আরিফুল/বকুল