দেড় মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার বাসিন্দা রেবেকা বেগম। তাঁকে খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন ছেলে শরীফুল ইসলাম (১৮)। মায়ের নিখোঁজের বিষয়ে থানায় জিডি করলেও পুলিশের তেমন তৎপরতা নেই বলে অভিযোগ করেন তিনি।
রেবেকা বেগম রাজবাড়ী সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের জালদিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী। গত ১ জানুয়ারি বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি।
শরীফুল ইসলামের ভাষ্য, তাঁর মায়ের কিছুটা মানসিক সমস্যা রয়েছে। মাঝেমধ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের কাছে যেতেন। কখনও তারা গিয়ে নিয়ে আসতেন, আবার কখনও একাই ফিরে আসতেন। গত ১ জানুয়ারি সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। পরিবারের সদস্যরা ভেবেছিলেন আগের মতোই মা ফিরে আসবেন। কয়েকদিন যাওয়ার পর ফিরে না আসায় নিকট আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজ করেন। সেখানে না পেয়ে পরিচিত সব জায়গায় খোঁজ করতে থাকেন। কিন্তু কোথাও তাঁর মায়ের সন্ধান পাননি।
মায়ের খোঁজ পেতে রাজবাড়ী জেলা শহর ছাড়াও ফরিদপুর, মাগুরাসহ আশপাশের জেলায় পোস্টারিং করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। কিন্তু কোনোভাবেই মায়ের সন্ধান পাচ্ছেন না। গত ২৫ জানুয়ারি রাজবাড়ী সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। কিন্তু পুলিশেরও তেমন তৎপরতা নেই। মাকে খুঁজতে খুঁজতে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।
যে কোনো মূল্যে মাকে ফেরত চান জানিয়ে শরীফুল বলেন, ‘আমি ফরিদপুর পলিটেকনিক কলেজে পড়ছি। সামনে আমার দুটি পরীক্ষা। পরীক্ষায় মনোযোগ দিতে পারছি না। মাকে খুঁজব নাকি পড়াশোনা করব। শুধুই মনে হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই গ্রুপে মেসেজটা দিলে ফল পাওয়া যাবে। এই চিন্তা করতে করতে দিন কাটে আমার। একটি পরীক্ষা খারাপ হলে একটি বছর শেষ।’
সাধারণ ডায়েরির বিষয়ে রাজবাড়ী সদর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আব্দুস সালাম জানান, ওই জিডিটি তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি ইজতেমায় ছিলেন। কয়েক দিন আগে রাজবাড়ী ফিরেছেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি কাজ শুরু করেছেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার
চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার একটি দোকান থেকে নুরুল আবছার (২৭) নামের এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় একদল মুখোশধারী ব্যক্তি। আজ বুধবার সকাল সাতটায় তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি ছাড়া পান।
উদ্ধারের পর পটিয়া থানা প্রাঙ্গণে অপহরণের শিকার নুরুল আবছার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ব্যাংকে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তাঁর চাকরি চলে যায়। এরপর পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার সাহিত্য বিশারদ সড়কে মুরগির দোকান দেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে দোকান খোলেন তিনি। এ সময় তিন থেকে চারজন মুখোশধারী লোক ধারালো অস্ত্রের মুখে তাঁকে ধরে অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারা তাঁর পকেটে থাকা ৪০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে আরও ৪ লাখ টাকা দাবি করে, পরে ১৭ লাখ এনে দিতে বলেন। তাঁকে চন্দ্র কালারপোল নামের নির্জন এলাকায় নিয়ে অপহরণকারীরা তাঁকে মারধরের পাশাপাশি ছুরিকাঘাতও করেন।
পটিয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র দে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাঁকে উদ্ধারের তৎপরতায় নামে। পরে চন্দ্র কালারপোল এলাকায় পুলিশ গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জানান, ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।