বাংলাদেশের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম পাঠাও এ বছর অগ্রযাত্রার দশম বর্ষে পদার্পণ করেছে। এ উপলক্ষে পাঠাও ঘিরে তৈরি হওয়া সব গল্প নিয়ে একুশে বইমেলায় ‘অগ্রযাত্রার অগ্রদূত’ বইটি প্রকাশ করা হয়েছে। ১০ বছরের পথচলায় পাঠাও ঘিরে অনেকের জীবনেই তৈরি হয়েছে দারুণ কিছু গল্প। কখনও ফুডম্যান বা রেস্টুরেন্টকে কেন্দ্র করে, কখনও আবার ব্যবসায়ী বা ডেলিভারি এজেন্টকে কেন্দ্র করে।
সব গল্পের ভিড়েও থেকে যায় কিছু এগিয়ে যাওয়ার, ভিন্ন কিছু করার, সবার সামনে উদাহরণ তৈরি করার মতো গল্প। পাঠাওয়ের সঙ্গে যারা কাজ করছেন, এ প্ল্যাটফর্ম থেকে তারা প্রতিনিয়ত তৈরি করছেন দারুণ কিছু বলার মতো গল্প।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আমাদের যে অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানটি হয়েছে, সেখানে করপোরেট হাউস হিসেবে পাঠাওয়ের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। ‘অগ্রযাত্রার অগ্রদূত’ বইটি পড়ছিলাম। গল্পগুলো খুবই ভালো। এখন থেকে পাঠাওয়ের সঙ্গে যুক্ত সবাই যদি প্রতিদিন ডায়েরি লিখতে উৎসাহিত হন এবং তা সংগ্রহে রাখেন, তাহলে পাঠাওয়ের প্রতিদিনের সব গল্পই লিপিবদ্ধ হবে।
পাঠাওয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ বলেন, ১০ বছরে পদার্পণ করছে পাঠাও। এ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আমরা সারাদেশে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিচ্ছি। পাঠাওয়ের গল্প শুধু সেবার গল্প নয়। পাঠাওয়ের গল্প হলো পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সব মানুষের, যারা সেবা গ্রহণ করছে ও সেবা প্রদান করার মাধ্যমে জীবনকে এগিয়ে নিচ্ছে এবং জীবনের মানোয়ন্নন করছে, তাদের কথা।
‘অগ্রযাত্রার অগ্রদূত’ বইটি প্রকাশনী সংস্থা স্টুডেন্ট ওয়েজ প্রকাশ করেছে। ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত পাঠাও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে, যা অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির সঙ্গে অনেকের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প ল য টফর ম

এছাড়াও পড়ুন:

‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ জিসানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের ক্ষুদে ফুটবলার জিসানের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। স্থানীয়রা ফুটবলে জিসানের দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে তাকে ‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ বলে ডাকেন। 

তারেক রহমানের পক্ষে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জিসানের গ্রামের বাড়িতে যান বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। তিনি জিসানের বাবা ও এলাকাবাসীকে এ খবরটি জানিয়ে আসেন।

উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের অটোরিকশাচালক জজ মিয়ার ছেলে জিসান। মাত্র ১০ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান ফুটবলারের অসাধারণ দক্ষতার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। স্থানীয় চর ঝাকালিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র সে। 

কখনও এক পায়ে, কখনও দু’পায়ে, কখনও পিঠে ফুটবল রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কসরত করে জিসান। দেখে মনে হবে, ফুটবল যেনো তার কথা শুনছে। এসব কসরতের ভিডিও নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

অনলাইনে জিসানের ফুটবল নৈপুণ্য দেখে মুগ্ধ হন তারেক রহমান। তিনি জিসানের ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার পক্ষে গতকাল সোমবার বিকেলে জিসানের বাড়িতে যান বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। 

জিসানকে উপহার হিসেবে বুট, জার্সি ও ফুটবলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তুলে দেন তিনি। এছাড়া জিসানের পরিবারকে আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয়।

জিসানের ফুটবল খেলা নিজ চোখে দেখে মুগ্ধ আমিনুল হক বলেন, “জিসান ফুটবলে ন্যাচারাল ট্যালেন্ট। তারেক রহমান জিসানের প্রশিক্ষণ, লেখাপড়া ও ভবিষ্যতের সকল দায়িত্ব নিয়েছেন। তাছাড়া প্রতিমাসে জিসানের লেখাপড়া, ফুটবল প্রশিক্ষণ ও পরিবারের ব্যয়ভারের জন্য টাকা পাঠানো হবে।”

জিসান জানায়, মোবাইলে ম্যারাডোনা, মেসি ও রোনালদোর খেলা দেখে নিজেই ফুটবলের নানা কৌশল শিখেছে। নিজ চেষ্টায় সে এসব রপ্ত করেছে।

জিসানের বাবা জজ মিয়া বলেন, “আমি বিশ্বাস করতাম, একদিন না একদিন কেউ না কেউ আমার ছেলের পাশে দাঁড়াবে। আজ আমার সেই বিশ্বাস পূর্ণ হয়েছে।”

ঢাকা/রুমন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আজ প্রথম প্রেম দিবস
  • মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর  করতে ডায়েটে যে পরিবর্তন আনতে পারেন
  • অনুষ্ঠান করে স্ত্রীকে বিয়ে দিলেন স্বামী
  • ‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ জিসানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান