ইউরোপের দেশ বেলজিয়াম। দেশটির অন্যতম ভাষা হলো ডাচ ও ফ্রেঞ্চ। পশ্চিম ইউরোপের উন্নত এই দেশ বিশ্বের অন্য দেশের মতো উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পছন্দের জায়গা হতে পারে। সেনজেনভুক্ত ছোট এ দেশের রাজধানী ব্রাসেলস। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদরদপ্তরসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের প্রধান অফিস আছে বেলজিয়ামে। তুলনামূলক কম খরচে শিক্ষা গ্রহণ এবং কাজের সুযোগ আছে। তাই দেশটিতে এখন পাড়ি জমান অসংখ্য শিক্ষার্থী।
বেলজিয়ামের শিক্ষার মান উন্নত এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ডিগ্রি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। অর্থনীতি, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড আইটি, পদার্থ, পলিটিক্যাল সায়েন্স, প্রকৌশল, আইটি, স্বাস্থ্য ও ব্যবসায় শিক্ষা পড়ার জন্য ভালো দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। বেলজিয়ামে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিংও ভালো। 
বৃত্তি নিয়ে অনেকে বিদেশে পড়ার স্বপ্ন দেখেন। ইউরোপের কোনো কোনো দেশে এ সুযোগ আছে। বৃত্তি নিয়ে ইউরোপে পড়তে চাইলে ওই মহাদেশের বেলজিয়াম হতে পারে পড়ার দেশ। 
এখানে আইইএলটিএস ছাড়াই বেলজিয়ামের বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার জন্য স্কলারশিপের তালিকা তুলে ধরা হলো—


গভর্নমেন্ট অব 
বেলজিয়াম স্কলারশিপ
বেলজিয়াম সরকার এক বছরের বিশেষ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রোগ্রাম বা চার থেকে ছয় মাসের উন্নত প্রশিক্ষণ কোর্সে বৃত্তি দেয়। উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য এআরইএস নামের এ বৃত্তিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা আইইএলটিএস ছাড়াই আবেদন করতে পারেন। এ বৃত্তিতে বেলজিয়াম সরকার নির্ধারিত যে কোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ অর্থায়নে অধ্যয়নের সুযোগ পেতে পারবেন যে কেউ।

মাস্টার মাইন্ড স্কলারশিপ

মাস্টার মাইন্ড স্কলারশিপ বেলজিয়ামের আঞ্চলিক সরকার বা ফ্ল্যান্ডার্স সরকারের অর্থায়নের একটি বৃত্তি। ফ্ল্যান্ডার্স ও ব্রাসেলসে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার জন্য প্রতি বছর প্রায় ৩০টি স্কলারশিপ দেওয়া হয়। কিছু স্কলারশিপে আবাসন, চিকিৎসা বীমা, টিউশন ফি মওকুফসহ ৮ হাজার ২০০ ইউরো শিক্ষা ভাতা দেয়।

ইরাসমাস মুন্ডাস মাস্টার্স 
স্কলারশিপ

ইউরোপের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ বৃত্তিগুলোর 
মধ্যে এটি অন্যতম একটি। এ বৃত্তির জন্য সারাবিশ্ব থেকে শিক্ষার্থীরা আগ্রহী হয়ে থাকে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এ স্কলারশিপটি ইউরোপে বিভিন্ন মাস্টার্স ও ডক্টরাল স্টাডি প্রোগ্রামের জন্য। আপনি বেলজিয়ামে পড়ার জন্য আইইএলটিএস ছাড়া ইরাসমাস মুন্ডাস স্কলারশিপের জন্য 
আবেদন করতে পারেন। বৃত্তিটি শিক্ষার্থীদের মাসিক ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ ইউরো জীবনযাত্রার খরচসহ টিউশন ফি, 
ভিসা ফি, ভ্রমণ ও শিক্ষার্থীদের বীমা খরচ 
দিয়ে থাকে।

ভিএলআইআর-ইউওএস স্কলারশিপ প্রোগ্রাম
ভিএলআইআর-ইউওএস বৃত্তি শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ টিউশন ফি ছাড়াই, জীবনযাত্রার খরচ, বিমানে যাতায়াতের টিকিট ও মাসিক অনুদান দেয়। এটি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সর্বাধিক আকাঙ্ক্ষিত স্কলারশিপ প্রোগ্রামগুলোর মধ্যে একটি। ফ্লেমিশ ইউনিভার্সিটি বা কলেজে সম্পূর্ণ অর্থায়নে পড়ার জন্য প্রায় ৩৫ জন বিদেশি ছাত্রকে প্রতিবছর এই বৃত্তি দেওয়া হয়। v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউর প র র জন য সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের বৃত্তি: আবেদনের সময় বৃদ্ধি, প্রয়োজন টোয়েফলে ৮০ কিংবা আইইএলটিএসে ৭

আমেরিকা নানা বৃত্তি ও ফেলোশিপের মধ্য অন্যতম একটি হলো ‘ফুলব্রাইট ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট’ (এফএলটিএ) প্রোগ্রাম। এ প্রোগ্রামের জন্য আবেদনের শেষ দিন ছিল ৩১ জুলাই। যারা কোনো কারণে আবেদন করতে পারেননি, তাদের আরও ১৫ দিন সময় দিয়েছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস।

ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি তরুণ যাঁরা শিক্ষকতা করছেন (আমেরিকার স্টাডিজ, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া, আমেরিকান/ইংরেজি সাহিত্য ও বাংলা ভাষার প্রশিক্ষক) তাঁরা ফুলব্রাইট এফএলটিএ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের আর্থিক সহায়তায় ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন (আইআইই) এই প্রোগ্রাম পরিচালনা করে। অনলাইনে আবেদন করা যাবে।

আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ২৯ জুলাই ২০২৫

২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষে এফএলটিএ স্কলারশিপের মাধ্যমে দেশটিতে শিক্ষকতার সুযোগ পাবেন বাংলাদেশিরা। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষায় শিক্ষকতার সুযোগ দিতেই বৃত্তি। যাঁরা স্কলারশিপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষকতা করতে চান, সেসব বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীর জন্য এটি একটি সুযোগ। বাংলাদেশি যেসব তরুণ শিক্ষকতার পেশায় নিযুক্ত আছেন (আমেরিকার স্টাডিজ, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া, আমেরিকান/ইংরেজি সাহিত্য ও বাংলা ভাষার প্রশিক্ষক), তাঁরা ফুলব্রাইট এফএলটিএ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন।

সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা ভাষা ক্লাসে সহায়তা, সেমিস্টারে কোর্স দুটি

ফুলব্রাইট এফএলটিএ প্রোগ্রামে আমেরিকায় যাওয়া ফেলোরা সেখানকার শিক্ষার্থীদের বাংলা ভাষা শেখাবেন। ফেলো এবং তাঁদের শিক্ষার্থীদের একে অপরের সংস্কৃতি ও সমাজ সম্পর্কে জানার একটি অনন্য সুযোগ থাকবে এ প্রোগ্রামে। ফুলব্রাইটে অংশগ্রহণকারীরা প্রতি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা ভাষা ক্লাসে সহায়তা করতে পারবেন। প্রতি সেমিস্টারে কমপক্ষে দুটি কোর্স করবেন। এর মধ্যে একটি আমেরিকান স্টাডিজের। ২০০৬ সাল থেকে বাংলাদেশি শিক্ষাবিদেরা আমেরিকার এই শিক্ষা বিনিময় কার্যক্রমে অংগ্রহণ করে আসছেন।

ফুলব্রাইট নিয়ে আমেরিকায় পড়ার সুযোগ, টোফেলে ৮০ বা আইইএলটিএসে ৭ স্কোর থাকতে হবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যুক্তরাষ্ট্রের বৃত্তি: আবেদনের সময় বৃদ্ধি, প্রয়োজন টোয়েফলে ৮০ কিংবা আইইএলটিএসে ৭