এক সময় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ক্রেডিট কার্ডে বাংলাদেশিরা বেশি খরচ করতো। এবার ক্রেডিট কার্ডে খরচের দিক দিয়ে ভারতকে পেছনে ফেলে সিঙ্গাপুরে বেশি খরচ করছে বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।  

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, দেশের বাইরে গিয়ে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে বিভিন্ন সেবা ও পণ্য কিনে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে ৪৯১ কোটি টাকা খরচ করেছেন। যা নভেম্বর মাসের চেয়ে ৬০ কোটি টাকা বেশি। নভেম্বর মাসে ক্রেডিট কার্ডে ৪৩১ কোটি টাকা খরচ করেছিল বাংলাদেশিরা। এক মাসের ব্যবধানে ক্রেডিট কার্ডে বাংলাদেশিদের খরচ বেড়েছে। এর মধ্যে ডিসেম্বরে সিঙ্গাপুর গিয়ে বাংলাদেশিরা ৪১ কোটি ২০ লাখ টাকা খরচ করেছে। যা বাংলাদেশিদের মোট ক্রেডিট কার্ডের খরচের ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ। নভেম্বরে দেশটিতে খরচের পরিমাণ ছিল ৩৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। 

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেশ কয়েকটি দেশে বাংলাদেশীরা ক্রেডিট কার্ডে বেশি খরচ করে। এর মধ্যে ডিসেম্বর মাসে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ভারত ও ইউকে। বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে খরচের ৫০ শতাংশের বেশি এই ৫ দেশে হয়েছে। নভেম্বরের চেয়ে ডিসেম্বর মাসে আমেরিকা, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর বাংলাদেশিদের খরচ বেড়েছে। এর মধ্যে ভারতে ক্রেডিট কার্ডে বাংলাদেশিদের খরচ কমেছে। তবে ক্রেডিট কার্ডে বাংলাদেশিরা খরচের দিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরই থাইল্যান্ডের অবস্থান।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক সময় বাংলাদেশিরা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বেশি খরচ করতো। কারণ বাংলাদেশিদের একটি বড় অংশ প্রতি মাসে ভারতে ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য যেত। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে বাংলাদেশিদের ভ্রমণ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। এ কারণে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের খরচ ভারতে কমেছে। 

বিপরীত দিকে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর বাংলাদেশিদের ভ্রমণ বেড়েছে। সে হিসেবে দেশগুলোতে ক্রেডিট কার্ডে খরচও বেড়েছে।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে আমেরিকায় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশিরা ৭৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা খরচ করেছেন, যা মোট খরচের ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ। আমেরিকার খরচের এ অঙ্ক নভেম্বরে ছিল ৬৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। একইভাবে ডিসেম্বরে থাইল্যান্ডে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশিরা ৬৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা খরচ করেছেন, যা মোট খরচের ১৩ দশমিক ১৮ শতাংশ। 

থাইল্যান্ডে খরচের এ অঙ্ক নভেম্বরে ছিল ৪৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এ ছাড়া ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্য গিয়ে খরচ করেছে ৩৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা বা ৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া মালয়েশিয়া ৩৪ কোটি ৮০ লাখ এবং সৌদি আরবে ৩৪ কেটি টাকা কার্ডে খরচ করেছেন বাংলাদেশিরা।  

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, একজন বাংলাদেশি নাগরিক বিদেশে গিয়ে প্রতি বছর ১২ হাজার ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে পারেন। এ অর্থ কার্ডের মাধ্যমে খরচ করতে পারেন, আবার বিদেশে যাওয়ার সময় নগদ ডলারও সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারেন। তবে কার্ডের মাধ্যমে ডলার পেমেন্ট করতে গেলে একবারে সর্বোচ্চ ৩০০ ডলার পর্যন্ত খরচ করার সুযোগ রয়েছে।  

এনএফ//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল দ শ দ র খরচ ড স ম বর ম স খরচ করত দশম ক খরচ র

এছাড়াও পড়ুন:

আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম: আমির খান

বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খানকে নিয়ে রাজকুমার হিরানি নির্মাণ করেন আলোচিত সিনেমা ‘পিকে’। ২০১৪ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। মুক্তির পর বক্স অফিসে সুপারডুপার হিট হয়।

এ সিনেমা মুক্তির আগে প্রকাশিত হয় আমিরের পোস্টার। সিনেমাটিতেও নগ্ন আমিরের দেখা মেলে। তারপর দারুণ আলোচনায় উঠে আসেন এই অভিনেতা। সমালোচনাও কম সইতে হয়নি তাকে। এখানেই শেষ নয়, হিন্দু ধর্মের প্রতি কটাক্ষ করার অভিযোগে তীব্র সমালোচনা মুখে পড়েন আমির। ভাঙচুর করা হয় প্রেক্ষাগৃহ।

প্রায় এক যুগ পর এসব বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন আমির খান। ইন্ডিয়া টিভি চ্যানেলের ‘আপ কি আদালত’ শোয়ে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেন আমির। তার ভাষায়— “ধর্ম নয়, ধর্মের নামে যারা প্রতারণা করে ‘পিকে’ সেসব লোকদের সমালোচনা করেছে।”

আরো পড়ুন:

জোড়া লাগল অর্জুন-মালাইকার ভাঙা প্রেম!

অন্তঃসত্ত্বা কিয়ারাকে কী উপহার দিলেন রাম চরণ?

ব্যাখ্যা করে আমির খান বলেন, “তারা ভুল। আমরা কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে নই। আমরা সমস্ত ধর্ম ও সমস্ত ধর্মের মানুষদের শ্রদ্ধা করি। যারা ধর্মকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা কামায়, তাদের বিষয়ে সচেতন করাই ‘পিকে’ সিনেমার উদ্দেশ্য ছিল। প্রতিটি ধর্মেই এমন লোক পাওয়া যায়।”

‘পিকে’ সিনেমায় পাকিস্তানি এক মুসলিম ছেলেরি প্রেমে পড়ে ভারতীয় হিন্দু ধর্মের অনুসারী এক নারী (আনুশকা শর্মা)। এটাকে ‘লাভ জিহাদ’ বলে অনেকে অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে আমির খান বলেন, “সবসময়ই এটিকে লাভ জিহাদ বলা উচিত নয়। এটি মানবতা। মানবতা ধর্মের উর্ধ্বে।”

গত ৭-৮ বছরে দেশদ্রোহী, হিন্দুবিরোধী হওয়ার অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন আমির খান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম। আমি গর্বিত আমি একজন ভারতীয়। দুটোই একসঙ্গে সত্যি হতে পারে।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ