রাজধানীর দয়াগঞ্জ মোড়ে যাত্রীবাহী বাসে ওঠার সময় এক যাত্রীর মুঠোফোন ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন এক ছিনতাইকারী। বিষয়টি চোখে পড়তেই তাঁকে ধাওয়া করেন পুলিশের এক সার্জেন্ট। একপর্যায়ে তিনি ছিনতাইকারীকে ধরতে সক্ষম হন। এরপর তাঁর কাছ থেকে মুঠোফোনটি উদ্ধার করে যাত্রীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশের এই সার্জেন্টের নাম মো.

আল–মামুন। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগে কর্মরত। ছিনতাইকারীর নাম কালাম (৪২)।

ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, প্রতিদিনের মতো আজ সকালে ওয়ারী ট্রাফিক জোনের দয়াগঞ্জ মোড়ে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছিলেন সার্জেন্ট মো. আল মামুন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মালঞ্চ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস দয়াগঞ্জ থেকে রাজধানী মার্কেটের দিকে যাচ্ছিল। ওই বাসে ওঠার সময় যাত্রী খন্দকার আশরাফুলের প্যান্টের পকেট থেকে মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে এক ছিনতাইকারী। ঘটনাটি দায়িত্বরত সার্জেন্ট মো. আল মামুনের দৃষ্টিগোচর হয়। তখন তিনি ধাওয়া করে ছিনতাইকারীকে আটক করেন।

পরে বিষয়টি গেন্ডারিয়া থানাকে জানালে সেই থানার টহল দল দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে। এরপর কালামের কাছ থেকে উদ্ধার করা মুঠোফোনটি মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ছিনতাইকারী কালামের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নদীতে মিলল স্কুলছাত্রের লাশ, চার সহপাঠী আটক

চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও হামিদচর এলাকায় কর্ণফুলী নদী থেকে এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে লাশটি উদ্ধার হয়। পুলিশ বলছে, পরিকল্পিতভাবে মারধরের পর ওই স্কুলছাত্রকে নদীতে ফেলে দেয় তার কয়েকজন সহপাঠী। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে।

নিহত স্কুলছাত্রের নাম রাহাত ইসলাম (১২)। সে নগরের চান্দগাঁও সানোয়ারা বয়েজ স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে চান্দগাঁও থানার পূর্ব ফরিদেরপাড়া এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে। সকালে হামিদচর এলাকায় নদীতে রাহাতের লাশ দেখতে পেয়ে বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। এরপর তার লাশ উদ্ধার হয়।

নিহত রাহাতের বাবা লিয়াকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ছেলে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে বের হয়। এরপর তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক স্থানে সন্ধানের পরও খোঁজ না পেয়ে বিষয়টি রাতেই পুলিশকে জানানো হয়েছিল। সকালে ছেলের লাশ পাওয়া যায়। তিনি অভিযোগ করেন, পরিকল্পিতভাবে বন্ধুরা রাহাতকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) জাহাঙ্গীর আলম আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় নিহত স্কুলছাত্রের চার সহপাঠীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘বাচ্চাটি যাবে না, ম্যাডাম’: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ৯ মাসের সন্তানের সঙ্গে মায়ের বিচ্ছেদ
  • প্রযোজক তার সঙ্গে রাত কাটাতে বলেন: অঞ্জনা
  • বৈষম্যবিরোধীদের তোপের মুখে যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
  • শ্রীলঙ্কার মাটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
  • মিরাজ বীরত্বে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো বাংলাদেশ
  • সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট, মিরাজ ধন্যবাদ দিলেন ৬ জনকে
  • পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার
  • ঢাকায় চালান পৌঁছে প্রতি মাসে পান ৬ লাখ টাকা
  • ১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের
  • নদীতে মিলল স্কুলছাত্রের লাশ, চার সহপাঠী আটক