রাজধানীর দয়াগঞ্জে ছিনতাইকারীকে ধাওয়া করে ধরলেন সার্জেন্ট
Published: 17th, February 2025 GMT
রাজধানীর দয়াগঞ্জ মোড়ে যাত্রীবাহী বাসে ওঠার সময় এক যাত্রীর মুঠোফোন ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন এক ছিনতাইকারী। বিষয়টি চোখে পড়তেই তাঁকে ধাওয়া করেন পুলিশের এক সার্জেন্ট। একপর্যায়ে তিনি ছিনতাইকারীকে ধরতে সক্ষম হন। এরপর তাঁর কাছ থেকে মুঠোফোনটি উদ্ধার করে যাত্রীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশের এই সার্জেন্টের নাম মো.
ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, প্রতিদিনের মতো আজ সকালে ওয়ারী ট্রাফিক জোনের দয়াগঞ্জ মোড়ে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছিলেন সার্জেন্ট মো. আল মামুন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মালঞ্চ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস দয়াগঞ্জ থেকে রাজধানী মার্কেটের দিকে যাচ্ছিল। ওই বাসে ওঠার সময় যাত্রী খন্দকার আশরাফুলের প্যান্টের পকেট থেকে মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে এক ছিনতাইকারী। ঘটনাটি দায়িত্বরত সার্জেন্ট মো. আল মামুনের দৃষ্টিগোচর হয়। তখন তিনি ধাওয়া করে ছিনতাইকারীকে আটক করেন।
পরে বিষয়টি গেন্ডারিয়া থানাকে জানালে সেই থানার টহল দল দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে। এরপর কালামের কাছ থেকে উদ্ধার করা মুঠোফোনটি মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ছিনতাইকারী কালামের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পটুয়াখালীতে সৎমা ও দাদিকে গলা কেটে হত্যা
পটুয়াখালীতে কুলসুম বেগম ও মোসা. সাহিদা বেগম নামের দুই নারীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক তরুণের বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার বেলা একটার দিকে সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের চারাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত আল আমিন (২৭) সম্পর্কে নিহত সাহিদা বেগমের সৎছেলে এবং বৃদ্ধা কুলসুম বেগমের নাতি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত দুই নারীর স্বজন মো. আশ্রাফ খাঁ জানান, আল আমিন দীর্ঘদিন ধরে অস্বাভাবিক চলাফেরা করছেন। এরপর তাঁর পরিবার তাঁকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। দুপুরে আল আমিনের বাবা রাজ্জাক খাঁ পাশের একটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গেলে আল আমিন দা দিয়ে গলা কেটে তাঁর সৎমা সাহিদা বেগম ও বৃদ্ধ দাদি কুলসুম বেগমকে হত্যা করেন।
বাহাদুর আলম খাঁ (৫০) নামের এক আত্মীয় বলেন, নিহত সাহিদা সম্পর্কে তাঁর চাচিশাশুড়ি এবং কুলসুম বেগম দাদিশাশুড়ি। দুপুরে বাড়ির সবাই জুমার নামাজ পড়তে গেলে মানসিক ভারসাম্যহীন ছোট ছেলে আল আমিন রান্নার কাজে ব্যবহৃত ধারালো দা দিয়ে প্রথমে সৎমা এবং পরে দাদিকে গলা কেটে হত্যা করেন। তিনি বলেন, আল আমিন মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে পটুয়াখালী সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর তিন বছর আগে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে যান। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসক দেখালেও সুস্থ হননি।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, দুই নারীকে হত্যার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। হত্যাকাণ্ড ঘটানো ব্যক্তি ওই পরিবারের সদস্য। ঘটনার পর মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। জড়িত তরুণ এখন পলাতক। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন কি না, তদন্ত করে দেখা হবে।