বিএনপির নেতার সঙ্গে থানায় গিয়ে গ্রেপ্তার আ.লীগ নেতা
Published: 18th, February 2025 GMT
বিএনপি নেতার সঙ্গে থানায় গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা। গতকাল সোমবার রাতে জামালপুরের মাদারগঞ্জ থানায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মাদারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান আল মামুন।
গ্রেপ্তার হওয়া স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার নাম রমিজ উদ্দিন। তিনি উপজেলার জোড়খালী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এবং স্থানীয় কলাদহ মির্জা মোস্তফা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক।
জানা যায়, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জোড়খালী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আলমগীর কবিরের সঙ্গে থানায় গেলে যান রমিজ উদ্দিন। তিনি আওয়ামী লীগ নেতা ও নাশকতা মামলার আসামি বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিএনপি নেতা আলমগীর কবিরের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ওসি বলেন, গ্রেপ্তার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ আওয় ম ল গ ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্স টাউনে মুক্তিপণ না পেয়ে মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ইকবাল নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) কুইন্সটাউনের একটি জঙ্গল থেকে আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদরের আলীরটেক এলাকায়।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
স্বজনেরা জানান, গত ২ জুন অপহরণকারীরা নিহতের পরিবারের কাছে প্রথমে ৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে এক কোটি টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, আলমগীর হোসেন ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করে আসছিল। সেখানে তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইকবালের পরিবারে মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। তারা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরে বসবাস করে আসছিলেন।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের ভগ্নীপতি শরিফুর রহমান ঢালী বলেন, ‘‘গত ২ জুন রাত ১০টার দিকে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ি থেকে মালামাল আনলোড করার সময় ৪ জন অপহরণকারী ইকবালকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দুদিন পরে ইকবালের স্ত্রীর ফোন নাম্বারে কল করে সাউথ আফ্রিকান ৫০ লাখ (বাংলাদেশি টাকায় ৫ কোটি টাকা) দাবি করে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘একাধিকবার কথা বলার পরিবার এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অপহরণকারীরা সর্বশেষ এক কোটি টাকা দাবি করে। কিন্তু, পরিবার এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করে। ১২ জুন একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আগামী ১৫ জুন রাতে কাতার এয়ারওয়েজে নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ দেশে আসবে।’’
ঢাকা/অনিক/রাজীব