বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, মানুষের জন্যই রাজনীতি করে: শহীদ উদ্দীন চৌধুরী
Published: 18th, February 2025 GMT
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, গত ১৭ বছরে জ্বলেপুড়ে বিএনপি খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে। স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা সরকারের নির্যাতন, হামলা-মামলা কোনো কিছুতেই বিএনপি রাজপথ থেকে পালিয়ে যায়নি। কারণ, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, মানুষের জন্যই রাজনীতি করে।
মঙ্গলবার বিকেলে হবিগঞ্জে জেলা বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে হেলিকপ্টার থেকে যেভাবে গুলি করে মানুষ মারা হয়েছে; এ সময় যদি আমরা ইস্পাতদৃঢ় ঐক্যবদ্ধ না থাকতাম, তাহলে এ দেশের মানুষ নতুন করে এ দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতে পেত না। বিএনপি এ দেশের মানুষের জন্য ১৭ বছর যে ত্যাগ স্বীকার করেছে, প্রয়োজনে আরও ১৭ বছর ত্যাগ করতে রাজি। তবুও দেশের মানুষ যাতে শান্তিতে থাকে।’
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী বলেন, বিএনপিকে এখন আদর্শভিত্তিক রাজনীতি করতে হবে। নেতাদের বড় বড় ছবির সঙ্গে নিজের ছবি যুক্ত করে নেতা হওয়া যায় না। নেতা হতে হলে কাজের ফল দেখিয়ে নেতৃত্বে আসতে হবে।
আজ বিকেল চারটায় হবিগঞ্জ পৌরসভার মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাখাওয়াত হাসান, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক (মধ্যপ্রাচ্য) আহমেদ আলী মুকিব। দুপুর থেকে জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন। সরকার পরিবর্তনের পর এই প্রথম হবিগঞ্জে জেলা বিএনপির নেতা-কর্মী বড় সমাবেশে মিলিত হন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জি কে গউছের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুর গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা, নির্বাচনী আচরণবিধির সংশোধন চায় ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা এবং নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধনে নির্বাচন কমিশনকে স্মারকলিপি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের কাছে এ স্মারকলিপি দেন ছাত্রদলের নেতারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘আসন্ন জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী জকসু সংবিধি এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য দায়বদ্ধ। ন্যায্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিতে আমাদের অনুরোধ, ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় প্রত্যেক ভোটারের ছবিসহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং স্বচ্ছ, নাম্বারযুক্ত ব্যালট বক্স রাখা আবশ্যক।’
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ব্যালট ছাপার সংখ্যা, ভোট প্রদানকারীর সংখ্যা এবং নষ্ট ব্যালটের তথ্য প্রকাশ করতে হবে। মিডিয়া ট্রায়াল বা ভুল তথ্য প্রচার হলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কেন্দ্র থেকে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে নির্বাচনকালীন সময়ে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ডাকসুর তফসিল ঘোষণার ৪১ দিন, চাকসুর ৪৪ দিন, রাকসুর ৮০ দিন এবং জাকসুর তফসিল ঘোষণার ৩১ দিন পর নির্বাচন হয়েছে। যেহেতু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। এ ছাড়া বাকি চার বিশ্ববিদ্যালয়ের তফসিল ঘোষণার সময় ও নির্বাচনের মধ্যবর্তী পার্থক্য বিবেচনা করে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে সুষ্ঠু একটা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, এজন্য ছাত্রদল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করছি, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবে।’