হত্যা মামলার আসামিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ
Published: 18th, February 2025 GMT
শেরপুরে কলেজছাত্র সুমন হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জেলা দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থী ও নিহত সুমনের স্বজন।
সমাবেশে বক্তব্য দেন নিহত সুমনের বাবা নজরুল ইসলাম, মা কল্পনা বেগম, জেলা জামায়াত নেতা মোহাম্মদ আলী, জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মামুনুর রহমান, সদস্য সচিব শাহনুর রহমান সাইম, মুখপাত্র ফারহান ফুয়াদ তুহিন প্রমুখ।
গত বছরের ১১ নভেম্বর রাতে শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র সুমনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযোগ রয়েছে, ৪ নভেম্বর রাতে জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে সুমনকে অচেতন করে গলাটিপে হত্যা করে তার প্রেমিকা আন্নি ও প্রেমিক রবিন। হত্যার পর রবিনের বাড়ির উঠানে লাশ মাটিচাপা দেওয়া হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, সহপাঠী আন্নি আক্তার সুমনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার পাশাপাশি পুলিশ সদস্য ফোরকান আলীর ছেলে রবিনের সঙ্গেও প্রেম করত। গত ৪ নভেম্বর বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে সুমনকে ডেকে নেয় আন্নি। পরে দু’জনে মিলে সুমনকে হত্যা করে মাটিচাপা দেয়। এ ঘটনায় সহযোগিতা করে রবিনের পরিবার। পুলিশ আন্নি তার বাবা আজিম মাস্টার ও প্রেমিক রবিনকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু রবিনের পরিবারের কাউকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। তারা দাবি করেন, সহযোগিতা না পেলে বাড়ির উঠানে কোনোভাবেই লাশ মাটিচাপা দেওয়া সম্ভব হতো না। তাই হত্যার সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। কর্মসূচি শেষে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তে যদি অন্য কারও নাম আসে, অবশ্যই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর স মন র
এছাড়াও পড়ুন:
কুয়েটের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হলেন অধ্যাপক হযরত আলী
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের দায়িত্ব পেয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে এই পদে নিযুক্ত করা হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এ এস এম কাসেম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুসারে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণকালীন উপাচার্য নিয়োগের আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য ড. মো. হযরত আলীকে কুয়েটের উপাচার্য পদের রুটিন দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ দেওয়া হলো।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতা প্রাপ্য হবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজন মনে করলে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২৫ এপ্রিল কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকে অব্যাহতি দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।