‘সাঁকো বর্ষসেরা পুরস্কার ২০২৪’ পেলেন ২১ জন কবি, লেখক ও আবৃত্তিকার। ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বিআইডব্লিউটিএ মিলনায়তনে অনলাইনভিত্তিক সাহিত্য সংগঠন ‘সাঁকো ২১’-এর উদ্যোগে আটটি শাখায় এ পুরস্কার দেওয়া হয়।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিআইডব্লিউটিএর সদস্য (পরিকল্পনা ও পরিচালন) ড. জিয়াউল ইসলাম। সাঁকো ২১-এর সভাপতি ইকবাল আলমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো.

ছাইদুর রহমান, উপপরিচালক (বন্দর) মোবারক হোসেন মজুমদার, কবি ও শিশুসাহিত্যিক স ম শামসুল আলম, বিআইডব্লিউটিএ এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি মো. মাজহারুল ইসলাম। 


‘সাঁকো বর্ষসেরা পুরস্কার’ বিজয়ীরা হলেন– কবিতায় আরেফিন শিমুল, নাসরীন জামান, মুর্শিদ উজ জামান। কবিতা বিদেশ শাখায় ফাহমিদা ইয়াসমিন, শোভনা মিশ্র, পিয়ালী ঘোষ। প্রবন্ধে রাফিজা আহমেদ, মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন, কাজী নাছরীন নাহার। গল্পে মৌ হোসেন, শিরিন সাদী, মাকসুদা চামেলি চৈতী, নাসরিন পারভীন। আবৃত্তিতে মাহমুদ শারমিন, শফিকুল ইসলাম, সাহেলা সার্মিন। ছড়ায় দীপিকা হালদার, মো. জুবায়ের হোসেন, ফেরদৌস জাহান শিপু। 


এ ছাড়া ১২ জন ‘সাঁকো ত্রৈমাসিক সেরা পুরস্কার’ এবং চারজন ‘সাঁকো মিলিনিয়াম সমালোচনা পুরস্কার’ পেয়েছেন। লেখক তৈরির সূতিকাগার হিসেবে এবার ভোরের কাগজের সাহিত্য সম্পাদক সালেক নাছির উদ্দিন, প্রতিদিনের সংবাদের সাহিত্য সম্পাদক মীর হেলাল, জাগো নিউজের ফিচার ইনচার্জ সালাহ উদ্দিন মাহমুদকে ‘সাঁকো সম্মাননা’ দেওয়া হয়।


সাঁকো মিলিনিয়াম সমালোচক পুরস্কার বিজয়ীরা হলেন কবি রিলু রিয়াজ, শাহনাজ নাজ, শাহনাজ পারভীন রিতু, হাবিবুল্লাহ বাহার। নান্দনিক উপস্থাপনায় ছিলেন ফিরোজ লিটন, জান্নাতি কবিতা, জাকিয়া রুমা, রিলু রিয়াজ। 


সেরা পাঠক নির্বাচিত হয়েছেন লাভলী আক্তার এবং সেরা সমালোচক এ কে এম নাসির উদ্দিন। ত্রৈমাসিক সেরা পুরস্কার পেয়েছেন আমিনা ত্বাহা, হোসনেয়ারা বেগম, মো. শহীদুল ইসলাম, মিলু চৌধুরী, নাদিরা মোস্তারী শিখা, রওশন আরা ইসলাম, অবন্তী পিয়া, শর্মি সিদ্দিক, মাকসুদা বেগম, বিভা ইন্দু, লিমা মেহেরিন, মাহমুদা শিরীন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স হ ত য প রস ক র প রস ক র ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

দুই দিনে যেতে পারেননি কোনো পর্যটক, কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন জাহাজ চলাচল অনিশ্চিত

নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ পর্যটকদের জন্য খুলে দিয়েছে সরকার। সরকারি ঘোষণায় বলা হয়েছিল, কক্সবাজার থেকে প্রতিদিন দুই হাজার পর্যটক যেতে পারবেন। কিন্তু দুই দিনে একজন পর্যটকও যেতে পারেননি। কারণ, পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ। কবে থেকে জাহাজ চলাচল শুরু হবে, তা নিয়েও কেউ নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না।

কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর নুনিয়াছটা বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকেই পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াতের কথা। এ জন্য ১ হাজার ৭০০ জন ধারণক্ষমতার দুটি জাহাজ—এমভি কর্ণফুলী ও এমভি বার আউলিয়া চলাচলের অনুমতি পেয়েছে। কিন্তু গতকাল শনিবার ও আজ রোববার ওই রুটে কোনো জাহাজ চলেনি। আরও চারটি জাহাজ চলাচলের অনুমতির জন্য আবেদন করেছে।

সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে পর্যটকেরা শুধু দিনের বেলায় সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ করতে পারবেন, রাত যাপন করা যাবে না, তবে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে রাতযাপনের সুযোগ থাকবে। বিআইডব্লিউটিএ ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া কোনো নৌযান সেন্ট মার্টিনে যেতে পারবে না। পর্যটকদের বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট কিনতে হবে। প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড থাকতে হবে। কিউআর কোডবিহীন টিকিট নকল বলে গণ্য হবে।

সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখতে রাতের বেলায় সৈকতে আলো জ্বালানো, শব্দ সৃষ্টি, বারবিকিউ পার্টি, কেয়াবনে প্রবেশ, কেয়া ফল সংগ্রহ বা বিক্রি, সামুদ্রিক কাছিম, পাখি, প্রবাল, রাজকাঁকড়া, শামুক-ঝিনুকসহ জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সৈকতে মোটরসাইকেল বা সি-বাইকসহ মোটরচালিত যান চলাচলও বন্ধ। নিষিদ্ধ পলিথিন বহন এবং একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক (চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিক চামচ, স্ট্র, সাবান ও শ্যাম্পুর মিনিপ্যাক, পানির বোতল ইত্যাদি) ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

পর্যটক নেই, ফাঁকা ঘাট

আজ সকাল সাতটায় নুনিয়াছটা বিআইডব্লিউটিএ জেটিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, কোনো যাত্রী নেই। বাঁকখালী নদীতেও পর্যটকবাহী কোনো জাহাজ দেখা যায়নি। ঘাটে অবস্থান করছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। জানা যায়, গতকাল সকালে তিনজন পর্যটক টিকিট কেটে সেন্ট মার্টিন যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, পরে জাহাজ না থাকায় ফিরে যান।

পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপপরিচালক খন্দকার মাহবুব পাশা প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ১ নভেম্বর থেকে তিন মাসের জন্য সেন্ট মার্টিন উন্মুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় গত দুই দিনে কোনো পর্যটক যেতে পারেননি। নভেম্বরে দিনে গিয়ে দিনে ফেরার নিয়ম থাকায় সময় ও সুযোগ কম, আবার দীর্ঘ জাহাজযাত্রার কারণে অনেকেই নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। তারপরও আমরা সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে ঘাটে অবস্থান করছি।’

জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, টানা ৯ মাস বন্ধ থাকার পর ১ নভেম্বর থেকে তিন মাসের জন্য কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন রুটে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে উখিয়ার ইনানী নৌবাহিনীর জেটিঘাট কিংবা টেকনাফের কোনো স্থান থেকে এখনো জাহাজ চলাচলের অনুমতি নেই।

জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মান্নান বলেন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংকট নিরসনের চেষ্টা চলছে।

গত ডিসেম্বরে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ছেড়ে কক্সবাজারের পথে পর্যটকবাহী একটি জাহাজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুই দিনে যেতে পারেননি কোনো পর্যটক, কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন জাহাজ চলাচল অনিশ্চিত
  • ডুবচরে আটকা পড়া ‘বোগদাদিয়া ৭’ এর যাত্রীরা নিরাপদে
  • সেন্টমার্টিনের দ্বার খোলা, ছাড়েনি জাহাজ