‘সাঁকো বর্ষসেরা পুরস্কার’ পেলেন যারা
Published: 19th, February 2025 GMT
‘সাঁকো বর্ষসেরা পুরস্কার ২০২৪’ পেলেন ২১ জন কবি, লেখক ও আবৃত্তিকার। ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বিআইডব্লিউটিএ মিলনায়তনে অনলাইনভিত্তিক সাহিত্য সংগঠন ‘সাঁকো ২১’-এর উদ্যোগে আটটি শাখায় এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিআইডব্লিউটিএর সদস্য (পরিকল্পনা ও পরিচালন) ড. জিয়াউল ইসলাম। সাঁকো ২১-এর সভাপতি ইকবাল আলমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো.
‘সাঁকো বর্ষসেরা পুরস্কার’ বিজয়ীরা হলেন– কবিতায় আরেফিন শিমুল, নাসরীন জামান, মুর্শিদ উজ জামান। কবিতা বিদেশ শাখায় ফাহমিদা ইয়াসমিন, শোভনা মিশ্র, পিয়ালী ঘোষ। প্রবন্ধে রাফিজা আহমেদ, মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন, কাজী নাছরীন নাহার। গল্পে মৌ হোসেন, শিরিন সাদী, মাকসুদা চামেলি চৈতী, নাসরিন পারভীন। আবৃত্তিতে মাহমুদ শারমিন, শফিকুল ইসলাম, সাহেলা সার্মিন। ছড়ায় দীপিকা হালদার, মো. জুবায়ের হোসেন, ফেরদৌস জাহান শিপু।
এ ছাড়া ১২ জন ‘সাঁকো ত্রৈমাসিক সেরা পুরস্কার’ এবং চারজন ‘সাঁকো মিলিনিয়াম সমালোচনা পুরস্কার’ পেয়েছেন। লেখক তৈরির সূতিকাগার হিসেবে এবার ভোরের কাগজের সাহিত্য সম্পাদক সালেক নাছির উদ্দিন, প্রতিদিনের সংবাদের সাহিত্য সম্পাদক মীর হেলাল, জাগো নিউজের ফিচার ইনচার্জ সালাহ উদ্দিন মাহমুদকে ‘সাঁকো সম্মাননা’ দেওয়া হয়।
সাঁকো মিলিনিয়াম সমালোচক পুরস্কার বিজয়ীরা হলেন কবি রিলু রিয়াজ, শাহনাজ নাজ, শাহনাজ পারভীন রিতু, হাবিবুল্লাহ বাহার। নান্দনিক উপস্থাপনায় ছিলেন ফিরোজ লিটন, জান্নাতি কবিতা, জাকিয়া রুমা, রিলু রিয়াজ।
সেরা পাঠক নির্বাচিত হয়েছেন লাভলী আক্তার এবং সেরা সমালোচক এ কে এম নাসির উদ্দিন। ত্রৈমাসিক সেরা পুরস্কার পেয়েছেন আমিনা ত্বাহা, হোসনেয়ারা বেগম, মো. শহীদুল ইসলাম, মিলু চৌধুরী, নাদিরা মোস্তারী শিখা, রওশন আরা ইসলাম, অবন্তী পিয়া, শর্মি সিদ্দিক, মাকসুদা বেগম, বিভা ইন্দু, লিমা মেহেরিন, মাহমুদা শিরীন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স হ ত য প রস ক র প রস ক র ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
দ্বিতীয় ট্রিপেই মেঘনায় ডুবল বালুবাহী বাল্কহেড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে সেতুর পিলারে ধাক্কা খেয়ে মেঘনা নদীতে তলিয়ে গেছে একটি বালুবাহী বাল্কহেড। গতকাল শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে দুর্ঘটনার শিকার হয় এমভি রিফাত-২ নামের বাল্কহেডটি। ঘটনার পরপরই শ্রমিকরা তীরে উঠে যান। বাল্কহেডের এক অংশীদার জানিয়েছেন, এটি তাদের নৌযানের দ্বিতীয় যাত্রা (ট্রিপ) ছিল।
এ দুর্ঘটনার বিষয়ে কয়েকটি বর্ণনা পাওয়া গেছে। কেউ বলছেন, অন্য একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এমভি রিফাত-২ শুরুতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুতে ধাক্কা খায়। পরে দুটি রেলসেতু পার হয়ে মাঝখানে ভেঙে ডুবে যায়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিকরা জানিয়েছেন, বিকট শব্দ পেয়ে তারা সড়ক সেতুতে বাল্কহেডটি ধাক্কা খেতে দেখেন।
দুর্ঘটনার সময় আশুগঞ্জ প্রান্তে নোঙর করা এমভি মেঘনা-২৫ জাহাজে ছিলেন শ্রমিক মো. মোজাম্মেল হাওলাদার। তিনি বলেন, ভোরে সেতুর পিলারে ধাক্কা লেগে বাল্কহেডটি ডুবতে ডুবতে তাদের জাহাজের দিকে আসছিল। এ সময় জাহাজের মাস্টার জরুরি ঘণ্টা বাজিয়ে সবাইকে জাগিয়ে তোলেন। তারা দেখতে পান, বাল্কহেডটি তাদের জাহাজের পেছনে নদীতে ডুবে যাচ্ছে। এ সময় সেখান থেকে কয়েকজন শ্রমিক তাদের জাহাজে উঠে প্রাণ বাঁচান। এর আগে আরও তিন-চারজন শ্রমিককে ওই বাল্কহেড থেকে রেলসেতুর পিলারে উঠতে দেখেন। পরে অন্য নৌযান তাদের উদ্ধার করে।
একই জাহাজের মাস্টার মো. নুরুন্নবী জানান, ফজরের নামাজ পড়তে অজু করার সময় বিকট শব্দ পান। তখন তিনি বাল্কহেডটিকে সেতুর পিলারে
ধাক্কা খেয়ে প্রায় ডুবতে ডুবতে তাদের জাহাজের দিকে আসতে দেখেন। তখন জরুরি ভিত্তিতে সবার ঘুম ভাঙান।
আশুগঞ্জ প্রান্ত থেকেই দুর্ঘটনা দেখেন সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাকের চালক স্বপন মিয়া। তাঁর ভাষ্য, পাথরবোঝাই একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় ওই বাল্কহেডটি চলতে থাকে। সেটি সেতুর নিচে দিয়ে যাওয়ার সময় পুরোনো রেলসেতুর ৩ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা খায়। পরে সেটির মাঝখানে ফাটল দেখা দেয়। এ সময় বাল্কহেডের চালকসহ তিনজনকে নতুন রেলসেতুর পিলারে উঠতে দেখেন।
ভৈরব নৌ থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা কাউকে পাইনি। বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তাদের খবর দেওয়ার পর পুলিশ নিয়ে তারা সেখানে গেছেন।
বাল্কহেডের এক অংশীদার শনিবার সন্ধ্যায় সমকালকে বলেন, অপর এক আত্মীয়কে নিয়ে কিছুদিন আগেই ১ কোটি ৫ লাখ টাকায় সেটি কিনেছেন। এটি ছিল তাদের দ্বিতীয় যাত্রা (ট্রিপ)। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল বাজার থেকে সিলেকশন বালু নিয়ে যাচ্ছিল সেটি। ডুবে যাওয়ার পর থেকে চালক বা শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। তাই বালুর গন্তব্য জানাতে পারছেন না। অপর অংশীদারের ভাষ্য, কেনার পর একজনের কাছে বাল্কহেডটি ভাড়া দিয়েছেন তারা। তাই কোথায় যাচ্ছিল, তা জানেন না।
বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক ও ভৈরববাজার-আশুগঞ্জ নদীবন্দরের কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন আহম্মেদ জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাল্কহেডের ডুবে যাওয়া জায়গা চিহ্নিত করেছেন। এটি নদীর প্রায় কিনারে। তাই নৌযান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে না। বাল্কহেডের মালিক বা তাদের কোনো প্রতিনিধি বিকেল পর্যন্ত
যোগাযোগ করেননি। তিনি আরও বলেন, ঈদের পর সাত দিন নদীতে এসব নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ
করা হয়েছিল। শনিবার ছিল এ নিষেধাজ্ঞার শেষ দিন। ওই বাল্কহেডটি রাতের বেলায় পণ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল।