গ্রেপ্তার করা যাবে না, আদালতের রায়ে স্বস্তিতে রণবীর
Published: 19th, February 2025 GMT
বিতর্কের মধ্যেই সাময়িক স্বস্তিতে ইউটিউবার রণবীর এলাহাবাদিয়া। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন, ‘সঙ্গম’ বিতর্কে রণবীরের মন্তব্যের জন্য তাঁকে এখনই গ্রেপ্তার করা যাবে না। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
নিজের নিরাপত্তার কথা জানিয়ে ভারতের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন রণবীর। তাঁর আইনজীবী অভিনব চন্দ্রচূড় আদালতে জানান, দেশের একাধিক রাজ্যে রণবীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর মক্কেলকে ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বিচারপতি সূর্যকান্ত ও এন কোটিশ্বর সিংয়ের বেঞ্চ জানিয়ে দেন, ভবিষ্যতে এ ঘটনায় রণবীরের বিরুদ্ধে আর কোনো অভিযোগ গ্রহণ করা যাবে না। একই সঙ্গে পুলিশি নিরাপত্তার জন্য রণবীর মহারাষ্ট্র বা আসাম পুলিশের দ্বারস্থ হতে পারেন বলেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল আদালত রণবীরকে পুলিশি তদন্তে সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ইউটিবারের এ মুহূর্তে দেশের বাইরে যাওয়ার স্বাধীনতাও খর্ব করা হয়েছে।
রণবীর এলাহাবাদিয়া। ইনস্টাগ্রাম থেকে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: রণব র
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০
বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।