মোহামেডানের হারের দিন আবাহনীর জয়, সান্দিহার ৬ উইকেট
Published: 19th, February 2025 GMT
বড় হার দিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন নারী ক্রিকেট লিগে পা রেখেছে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্রিকেট ক্লাব লিমিটেড। তাদের ৫৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে শেলটেক ক্রিকেট একাডেমি।
মিরপুর শের-ই-বাংলায় টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৪৯ রান করে শেলটেক। তাড়া করতে নেমে ১৯৬ রানে অলআউট হয় মোহামেডান। শারমিন সুপ্তা একাই লড়াই করেছিলেন। তার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৭৩ রান। তবে পরাজয় ঠেকাতে পারেননি।
এ ছাড়া ৩৬ রান করেন মুর্শিদা খাতুন। শূন্য রানে ফেরেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। শেলটেকের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ফাহিমা খাতুন।
আরো পড়ুন:
ভারত-বাংলাদেশ: উত্তেজনা এক পাশে রেখে সবার মনোযোগ মাঠে
চ্যাম্পিয়নের ছবি হৃদয়ে আঁকছেন তারা
এর আগে সুমায়া আক্তার-ইশমা তানজীমের ফিফটিতে ভর করে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে মোহামেডান। সুমায়া সর্বোচ্চ ৮৩ রান করেন। ইশমার ব্যাট থেকে আসে ৬৮ রান। মোহামেডানের হয়ে একাই ৪ উইকেট নেন সানজিদা মেঘলা।
ইউল্যাব মাঠে খেলাঘর সমাজ কল্যান সমিতিকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে গুলশান ইয়ুথ ক্লাব। আগে ব্যাট করে মাত্র ৬৪ রান করে খেলাঘর। একাই ৬ উইকেট নেন সান্দিহা ইসলাম আশা।
তাড়া করতে নেমে গুলশান ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য পৌঁছে যায়। সর্বোচ্চ ১৭ রান করে আফিয়া আসিমা ও ৬ রান করে তাজ নাহার অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। খেলাঘরের হয়ে ২ উইকেট নেন সুলতানা খাতুন।
বিকেএসপিতে বাংলাদেশ পুলিশ ক্লাবকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে আবাহনী। আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৯৮ রানে থামে পুলিশ। তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ে দেখা পায় আবাহনী।
এক প্রান্ত উইকেটের মিছিল হলেও আরেক প্রান্তে ফারজানা পিংকি আকড়ে ধরে থাকেন। তার ৫৫ রানে ভর করে জয় দিয়ে শুরু করে আবাহনী।
ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট ন ন র ন কর
এছাড়াও পড়ুন:
২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হচ্ছে সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে
জালিয়াতির মাধ্যমে এলসির বিপরীতে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে পাঁচটি মামলা করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন, তাতে বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানও আসামি হতে যাচ্ছেন।
আজ সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় মামলাগুলোর অনুমোদন দেয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি, শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান রহমানের পাশাপাশি তাঁর ছেলে, ভাই, ভাতিজা, জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে এই মামলাগুলো হবে।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, অনুমোদিত পাঁচ মামলায় ৩৪ জন আসামির বিরুদ্ধে মোট ২১ কোটি ৫৫ লাখ ২৮ হাজার ৮০১ মার্কিন ডলার বা প্রায় ১ হাজার ৯৩৯ কোটি ৭৫ লাখ ৯২ হাজার টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় সালমান এফ রহমান ছাড়া আসামিদের মধ্যে রয়েছেন তাঁর ছেলে শায়ান এফ রহমান, ভাই বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সোহেল এফ রহমান, সোহেল রহমানের ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমান, বেক্সিমকো গ্রুপের পরিচালক ইকবাল আহমেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওসমান কায়সার চৌধুরী, পরিচালক এ বি সিদ্দিকুর রহমান, মাসুদ ইকরামুল্লাহ খান, শাহ মঞ্জুরুল হক ও রীম এইচ শামসুদ্দোহা।
এ ছাড়া স্কাইনেট অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ারুল বাশার ও পরিচালক নাসরিন আহমেদ, ক্রিসেন্ট অ্যাকসেসরিজের এমডি আবু নাঈম মাহমুদ সালেহিন ও পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান তানভীর, প্লাটিনাম গার্মেন্টস লিমিটেডের এমডি মোহাম্মদ আলিফ ইবনে জুলফিকার ও পরিচালক নুসরাত হায়দার, পিয়ারলেস গার্মেন্টস লিমিটেডের এমডি ওয়াসীউর রহমান ও পরিচালক রিজিয়া আক্তার, নিউ ঢাকা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এমডি সালাউদ্দিন খান মজলিস ও পরিচালক আবদুর রউফ, কাঁচপুর অ্যাপারেলস লিমিটেডের এমডি মাহফুজুর রহমান খান ও পরিচালক সৈয়দ তানবির এলাহী আফেন্দী সম্ভাব্য আসামির তালিকায় রয়েছেন।
জনতা ব্যাংকের মধ্য থেকে আসামি করা হচ্ছে ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুছ ছালাম আজাদ ও আবদুল জব্বার, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত উপমহাব্যবস্থাপক আবদুর রহিম, সাবেক মহাব্যবস্থাপক শহিদুল হক, অবসরপ্রাপ্ত ডিজিএম (রপ্তানি বিভাগ) মমতাজুল ইসলাম, সিনিয়র অফিসার রফিকুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক সালেহ আহম্মেদ, অবসরপ্রাপ্ত এজিএম মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক এজিএম (রপ্তানি) মোহাম্মদ শাজাহান, সাবেক এজিএম (রপ্তানি) হুমায়ুন কবির ঢালী ও প্রিন্সিপাল অফিসার শ ম মাহাতাব হোসাইন বাদশাকে।
দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসামিদের যোগসাজশে জনতা ব্যাংকের লোকাল অফিস থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচার করা হয়। এর মধ্যে পিয়ারলেস গার্মেন্টস লিমিটেডের নামে ৫ কোটি ২ লাখ ৫০ হাজার ৭৭২ দশমিক ২৫ ডলার, প্লাটিনাম গার্মেন্টস লিমিটেডের নামে ১ কোটি ৮৮ লাখ ৩ হাজার ৬৫৮ দশমিক ৯১ ডলার, কাঁচপুর অ্যাপারেলস লিমিটেডের নামে ৮ কোটি ৪০ লাখ ২৯ হাজার ৫৪৭ দশমিক ৪৫ ডলার, স্কাইনেট অ্যাপারেলস লিমিটেডের নামে ১ কোটি ৪৭ লাখ ২৯ হাজার ৩৪০ ডলার এবং ঢাকা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে ৪ কোটি ৭৭ লাখ ১৫ হাজার ৪৮২ দশমিক ৪৬ ডলার আত্মসাৎ হয়।
সব মিলিয়ে আত্মসাৎ করা অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ২১ কোটি ৫৫ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা।
সাবেক সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান গত বছর জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের কয়েক দিনের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে রয়েছেন। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা হয়।