মোজাম্মেল হকের ৬৫ বিঘা জমি জব্দ, ২৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
Published: 19th, February 2025 GMT
পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি গাজী মো. মোজাম্মেল হকের নামে থাকা ৬৫ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব জমির দাম ২ কোটি ১৯ লাখ ৩২ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে।
এছাড়া তার স্ত্রী ফারজানা মোজাম্মেলের নামে থাকা দুই কোটি ৭৬ লাখ টাকা মূল্যের ১২টি দলিলের জমি ও সন্তান গাজী বুশরা তাবাসসুমের নামে থাকা ৭৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকা মূল্যের ১০টি দলিলের জমি জব্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের নামে থাকা ২৮ টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এসব হিসাবে ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৬৩ হাজার টাকা রয়েছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো.
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক এসব সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, গাজী মো. মোজাম্মেল হক ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে সরকারী চাকরীজীবী হয়েও অবৈধভাবে ব্রিজ ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যানসহ নয়টি প্রতিষ্ঠানের মালিকানা অর্জন, বাড়ি দখল, রিমান্ডে নির্যাতন করে জমি লিখে নেওয়া, অবৈধভাবে নদী ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। এভাবে তিনি নিজ নামে, তার স্ত্রী ফারজানা মোজাম্মেল ও সন্তান গাজী বুশরা তাবাসসুমের নামে ৬৭টি ব্যাংক হিসাবে ৪৯৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা জমা করেন।
এর মধ্যে ৪৮৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা উত্তোলন ও বর্তমানে ১৭ কোটি ২০ লাখ টাকা স্থিতি রয়েছে। অবৈধ আয় ব্যাংকিং চ্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে সম্পৃক্ত অপরাধপূর্বক বিদেশে অর্থ পাচার এবং পরিবারের সদস্যেদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অনুসন্ধানকালে অভিযোগ গাজী মো. মোজাম্মেল হকেত নিজ নামে ও স্ত্রী এবং সন্তানদের নামে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে স্থাবর জব্দ ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।
ঢাকা/মামুন/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম জ ম ম ল হক অবর দ ধ স থ বর
এছাড়াও পড়ুন:
৮ বছরেও শুরু হয়নি কুবির ২ বিভাগের কার্যক্রম
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) দীর্ঘ ৮ বছর আগে অনুমোদন পাওয়া দুটি বিভাগ এখনো চালু হয়নি। অনুমোদন সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ, অবকাঠামোগত প্রস্তুতি এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের ধীরগতির কারণে বিভাগ দুটি কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকেই বিভাগ দুটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত ও শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে নতুন অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণের পরে বিভাগ দুটি চালুর পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণ হয়নি।
আরো পড়ুন:
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় কুবি প্রক্টরের জরুরি নির্দেশনা
সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে কুবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ
এছাড়া, তৎকালীন অর্গানোগ্রামে ৩১টি বিভাগের মধ্যে এই দুইটি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত ছিল না, যা পরবর্তীতে চালু করা নিয়ে জটিলতা তৈরি করে।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠক করে এই বিষয়ে পুনরায় আলোচনা করে। ইউজিসি নির্দেশনা অনুযায়ী, নতুন অর্গানোগ্রামে বিভাগের অন্তর্ভুক্তি ও নতুন বিভাগের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
সে অনুযায়ি ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কুবির ৮৯তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে পূর্বের ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ এর পরিবর্তে ‘লজিস্টিক্স ও মার্চেন্ডাইজিং বিভাগ’ এবং ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’-এর পরিবর্তে ‘পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ নামে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও অর্গানোগ্রামে নতুন আরও ১৮টি বিভাগের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
তৎকালীন বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রস্তাবক রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান বলেন, “২০১৭ সালে অনুমোদন থাকলেও জায়গা সংকটের কারণে বিভাগ চালু করা সম্ভব হয়নি। পরে প্রশাসন পাল্টালেও কেউ উদ্যোগ নেয়নি।”
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, “অর্গানোগ্রামে অন্তর্ভুক্তি মানে এখনই চালু হবে না। অনুমোদন থাকলেও তৎকালীন সময়ে চালু করা সম্ভব হয়নি। এখন ইউজিসি নির্দেশনায় নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “তৎকালীন প্রশাসন বলতে পারবে কেন বিভাগ চালু হয়নি। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা মাধ্যমে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী ২ বছরের মধ্যে আশা করি বিভাগ চালু করা সম্ভব হবে, তখন নতুন ক্যাম্পাসও প্রস্তুত থাকবে।”
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী