পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি গাজী মো. মোজাম্মেল হকের নামে থাকা ৬৫ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব জমির দাম ২ কোটি ১৯ লাখ ৩২ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে।

এছাড়া তার স্ত্রী ফারজানা মোজাম্মেলের নামে থাকা দুই কোটি ৭৬ লাখ টাকা মূল্যের ১২টি দলিলের জমি ও সন্তান গাজী বুশরা তাবাসসুমের নামে থাকা ৭৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকা মূল্যের ১০টি দলিলের জমি জব্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের নামে থাকা ২৮ টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এসব হিসাবে ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৬৩ হাজার টাকা রয়েছে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো.

জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক এসব সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, গাজী মো. মোজাম্মেল হক ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে সরকারী চাকরীজীবী হয়েও অবৈধভাবে ব্রিজ ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যানসহ নয়টি প্রতিষ্ঠানের মালিকানা অর্জন, বাড়ি দখল, রিমান্ডে নির্যাতন করে জমি লিখে নেওয়া, অবৈধভাবে নদী ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। এভাবে তিনি নিজ নামে, তার স্ত্রী ফারজানা মোজাম্মেল ও সন্তান গাজী বুশরা তাবাসসুমের নামে ৬৭টি ব্যাংক হিসাবে ৪৯৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা জমা করেন।

এর মধ্যে ৪৮৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা উত্তোলন ও বর্তমানে ১৭ কোটি ২০ লাখ টাকা স্থিতি রয়েছে। অবৈধ আয় ব্যাংকিং চ্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে সম্পৃক্ত অপরাধপূর্বক বিদেশে অর্থ পাচার এবং পরিবারের সদস্যেদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অনুসন্ধানকালে অভিযোগ গাজী মো. মোজাম্মেল হকেত নিজ নামে ও স্ত্রী এবং সন্তানদের নামে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে স্থাবর জব্দ ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক। 
 

ঢাকা/মামুন/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম জ ম ম ল হক অবর দ ধ স থ বর

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির প্রার্থীর তালিকায় নেই তারকারা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে কয়েকজন জনপ্রিয় তারকার মনোনয়ন পাওয়ার গুঞ্জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রার্থী তালিকায় তাদের নাম নেই।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?

মালয়েশিয়ায় পরীমণির দশ দিন

তবে আলোচনায় থাকা কোনো তারকা প্রার্থী চূড়ান্ত তালিকায় আসেননি। সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন (নীলফামারী–৪), মনির খান (ঝিনাইদহ–৩) ও রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা (সিরাজগঞ্জ–১) মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।

তাদের মধ্যে বেবী নাজনীন ও মনির খানের আসনে যথাক্রমে আবদুল গফুর সরকার ও মেহেদী হাসান মনোনয়ন পেয়েছেন। কনকচাঁপার আসনের প্রার্থী এখনো ঘোষণা হয়নি।

২০১৮ সালের নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ–১ আসন থেকেই বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন কনকচাঁপা। তখন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। এবারের নির্বাচনে আবারো লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানা যায়।

মনির খান ও কনকচাঁপা দুজনই বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাসাসের কেন্দ্রীয় নেতা। এছাড়া দলটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও চলচ্চিত্র অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বলের নামও আলোচনায় ছিল।

উজ্জ্বল বলেন, “দল যদি মনে করে আমার প্রার্থী হওয়া দরকার, আমি প্রস্তুত।”

বিএনপির এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে আপাতত স্পষ্ট—বিনোদন অঙ্গনের জনপ্রিয় মুখগুলো এবারো দলীয় প্রার্থী তালিকার বাইরে থাকছেন।

ঢাকা/রাহাত/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ