সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও প্রকাশ্যে মহানবী হযরত মোহাম্মদ  (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তি করার অপরাধে আমিত দাস (৪২) নামে এক শ্রমিককে অবরুদ্ধ করে রেখেছে  একই প্রতিষ্ঠানে চাকুরিরত অন্যান্য শ্রমিকরা।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) বিকেল ৫টায় বন্দর থানার সোনাকান্দাস্থ নৌবাহিনী নিয়ন্ত্রণাধীন ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের ভিতরে এ ঘটনাটি ঘটে। পরে বিষয়টি বন্দর থানা পুলিশকে অবগত করলে খবর পেয়ে বন্দর থানা ওসি তরিকুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ।

অবরুদ্ধকারি নাম পাওয়া গেলেও তার পিতা ও তার  ঠিকানা তাৎক্ষণিক ভাবে জানা যায়নি। অবরুদ্ধ অমিত দাস নৌবাহিনী হেফাজতে রয়েছে। 

এ ব্যাপারে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা জানান, ডকইয়ার্ড শ্রমিক অমিত দাস  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের সাধারণ শ্রমিকদের সামনে মহানবী (সাঃ)কে নিয়ে বাজে মন্তব্য করে কটুক্তি করে। এ ঘটনায় সাধারণ শ্রমিকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে অমিত সাহাকে অবরুদ্ধ করে রাখে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ জনতা কটুক্তিকারি দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবিতে সোনাকান্দা প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল বের করেছে। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অবর দ ধ

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকার রাস্তায় টেসলা, রোলস–রয়েস, পোরশেসহ ২৫০০ বিলাসবহুল গাড়ি

রাজধানী ঢাকার রাস্তায় চলে বিশ্বের আলোচিত টেসলা গাড়ি। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে ছয়টি টেসলা গাড়ির নিবন্ধন নেওয়া হয়েছে। শুধু টেসলা নয়; রোলস-রয়েস, ফেরারি, বেন্টলি, পোরশের মতো বিলাসবহুল অভিজাত গাড়ি এখন ঢাকার রাস্তার বুক চিড়ে চড়ে বেড়ায়।

অন্যদিকে রেঞ্জ রোভার, বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জের মতো অভিজাত গাড়িও ঢাকার রাস্তায় অহরহ দেখা যায়। এ গাড়িগুলো যেন দেশের ধনীদের আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে গেছে।

সব মিলিয়ে দেশে এখন আড়াই হাজারের বেশি এমন বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি আছে। এই গাড়িগুলোর দাম ১ কোটি থেকে ১২ কোটি টাকা। দেশের একশ্রেণির অতিধনী ব্যবসায়ীরা এসব বিলাসবহুল গাড়ি চালান।

গাড়ি ব্যবসায়ীরা জানান, এমন বিলাসবহুল দামি গাড়ির গ্রাহকের সংখ্যা দেড় থেকে দুই হাজারের মতো। কেউ কেউ একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছেন।

দেশে বিলাসবহুল গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ ও আউডি (অনেকে অডি বলেন) ব্র্যান্ডের গাড়ি। রাজধানীর ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামের রাস্তায় এমন দামি গাড়ি মাঝেমধ্যে দেখা যায়।

এক দশক আগেও রাস্তায় বিলাসবহুল গাড়ি অনেক কম দেখা যেত। গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, বারিধারা ও বসুন্ধরার মতো অভিজাত এলাকায় এখন প্রায়ই দেখা মিলে রেঞ্জ রোভার, মার্সিডিজ ও বিএমডব্লিউর মতো বিলাসবহুল গাড়ি। সাধারণত রাতের দিকে অভিজাত এলাকায় এমন গাড়ির আনাগোনা বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে গত ১০ বছরে আড়াই হাজারের বেশি বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি হয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছরে দেশে শুধু রোলস-রয়েস ব্র্যান্ডের গাড়ি আমদানি হয়েছে ১২টি। আর গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষে (বিআরটিএ) ৮টি রোলস-রয়েস নিবন্ধিত হয়েছে।

গত জুলাই মাসে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পরে রোলস-রয়েসের ‘স্পেক্টার’ মডেলের গাড়ি। যার দাম ফিচারভেদে প্রায় ১১ থেকে ১২ কোটি টাকা। তখন এই দামি গাড়ি নিয়ে বেশ আলোচনা হয়।

টেসলা ব্র্যান্ডের ‘মডেল এস’ গাড়ি

সম্পর্কিত নিবন্ধ