সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও প্রকাশ্যে মহানবী হযরত মোহাম্মদ  (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তি করার অপরাধে আমিত দাস (৪২) নামে এক শ্রমিককে অবরুদ্ধ করে রেখেছে  একই প্রতিষ্ঠানে চাকুরিরত অন্যান্য শ্রমিকরা।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) বিকেল ৫টায় বন্দর থানার সোনাকান্দাস্থ নৌবাহিনী নিয়ন্ত্রণাধীন ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের ভিতরে এ ঘটনাটি ঘটে। পরে বিষয়টি বন্দর থানা পুলিশকে অবগত করলে খবর পেয়ে বন্দর থানা ওসি তরিকুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ।

অবরুদ্ধকারি নাম পাওয়া গেলেও তার পিতা ও তার  ঠিকানা তাৎক্ষণিক ভাবে জানা যায়নি। অবরুদ্ধ অমিত দাস নৌবাহিনী হেফাজতে রয়েছে। 

এ ব্যাপারে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা জানান, ডকইয়ার্ড শ্রমিক অমিত দাস  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের সাধারণ শ্রমিকদের সামনে মহানবী (সাঃ)কে নিয়ে বাজে মন্তব্য করে কটুক্তি করে। এ ঘটনায় সাধারণ শ্রমিকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে অমিত সাহাকে অবরুদ্ধ করে রাখে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ জনতা কটুক্তিকারি দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবিতে সোনাকান্দা প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল বের করেছে। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অবর দ ধ

এছাড়াও পড়ুন:

‘অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন’, জামায়াত আমিরের দুঃখ প্রকাশ

নারী বিষয়ক কমিশনের রি‌পোর্ট‌কে শরীয়তবিরোধী ও অগ্রহণযোগ্য রিপোর্ট উল্লেখ ক‌রে এর ওপর বুধবার প্রদত্ত বক্তব্যের এক পর্যায়ে একটি শব্দের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন হয়েছে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন বাংলা‌দেশ জামায়া‌তে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বৃহস্প‌তিবার (১ মে) নি‌জের ও দ‌লের ফেসবুক পে‌জে এ কথা ব‌লেন তিনি।

এতে তি‌নি জানান, অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন হয়েছে, যা একান্তই অনিচ্ছাকৃত। এজন‌্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন তি‌নি।

আরো পড়ুন:

প্রতিহিংসার রাজনীতিতে শান্তি আসতে পারে না: জামায়াত আমির

দেশকে যে ভালোবাসে, সে দেশ ছেড়ে পালায় না: শফিকুর রহমান

জামায়াত আমির ব‌লেন, “রেইপ হচ্ছে বিবাহবহির্ভূত এক ধরনের জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক, যা সাধারণত বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে ঘটে, যেখানে অপরাধী ব্যক্তিটি অসৎ ও দোষী, কিন্তু ভিকটিম সম্পূর্ণ নিরপরাধ।”

“আমি এটাও মনে করি যে, বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে ‘রেইপ' এর মতো জঘন্য শব্দকে প্রবেশ করানো পবিত্র এই সম্পর্কের জন্য অবমাননাকর এবং দীর্ঘ মেয়াদে দাম্পত্য সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। স্বামী স্ত্রীর ঘনিষ্ঠতার ক্ষেত্রে কারো দ্বারা সীমালঙ্ঘন বা জুলুম সংঘটিত হলে তা স্বাভাবিক বিচারের আওতায় অবশ্যই আনতে হবে। কিন্তু বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যকার কোনো অনাকাঙ্খিত বিষয়কে রেইপ বা ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের সাথে তুলনা করা অবাঞ্ছণীয় এবং দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যাজনক।”

“আমার এই অনিচ্ছাকৃত শব্দ চয়নের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর মর্যাদা, নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায় এবং জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান সর্বদা সেই মূলনীতির ওপরই প্রতিষ্ঠিত,” ব‌লেও দা‌বি ক‌রেন তি‌নি।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ