আ.লীগের সাবেক এমপির ভাগ্নের বিরুদ্ধে হিন্দুদের জমি দখলের অভিযোগ
Published: 19th, February 2025 GMT
মিঠাপুকুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাবেক এমপি জাকির হোসেন সরকারের ভাগ্নের বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে বুধবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা।
মিঠাপুকুর প্রেসক্লাবের হল রুমে বিকেল চারটায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভুক্তভোগী তিনটি পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী প্রফুল্ল সাহা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের সাবেক এমপি জাকির হোসেন সরকারের ভাগ্নে আক্তারুজ্জামান সোহাগ প্রভাব বিস্তার করে আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি জোরপূর্বক অন্যায়ভাবে দখল করে রেখেছেন। জাকির হোসেন সরকার উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে এমপি হওয়ার পর সোহাগ সংখ্যালঘুদের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছেন। আমার পৈত্রিক সম্পত্তির ৯ শতাংশ বসতভিটা জোরপূর্বক দখল করে প্রাচীর নির্মাণ ও আমাদের তিনটি পরিবারকে উচ্ছেদ করেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সোহাগ তার গুন্ডাবাহিনী দিয়ে দুই মাস থেকে আমাদের জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শুরু করেন। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন বারবার সতর্ক করলেও আক্তারুজ্জামান সোহাগ আমাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাজ চলমান রেখেছেন।
এ সময় প্রফুল্ল সাহার পরিবার সংবাদ সম্মেলনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, আমাদের দয়া করে একটু মানবিকতা দেখান। যারা সংখ্যালঘু ভেবে আমাদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চাই।
অভিযোগের বিষয়ে আক্তারুজ্জামান সোহাগ বলেন, তারা ৫৬ শতক জমির ওপর অভিযোগ করেছে। এরমধ্যে ৮ শতক জমি আমার বাবা ১৯৯৮ সালে কিনেছিলেন। তারা ২০১৬ সালে আদালতে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু আমার কাগজপত্র সঠিক রয়েছে। আমি কারও জমি দখল করিনি। রাজনৈতিক কারণে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। আদালত আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। কাজ বন্ধ করতে বলেননি। আমার অন্য অভিযোগও সঠিক নয়।
মিঠাপুকুর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ আম দ র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকার রাস্তায় টেসলা, রোলস–রয়েস, পোরশেসহ ২৫০০ বিলাসবহুল গাড়ি
রাজধানী ঢাকার রাস্তায় চলে বিশ্বের আলোচিত টেসলা গাড়ি। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে ছয়টি টেসলা গাড়ির নিবন্ধন নেওয়া হয়েছে। শুধু টেসলা নয়; রোলস-রয়েস, ফেরারি, বেন্টলি, পোরশের মতো বিলাসবহুল অভিজাত গাড়ি এখন ঢাকার রাস্তার বুক চিড়ে চড়ে বেড়ায়।
অন্যদিকে রেঞ্জ রোভার, বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জের মতো অভিজাত গাড়িও ঢাকার রাস্তায় অহরহ দেখা যায়। এ গাড়িগুলো যেন দেশের ধনীদের আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে গেছে।
সব মিলিয়ে দেশে এখন আড়াই হাজারের বেশি এমন বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি আছে। এই গাড়িগুলোর দাম ১ কোটি থেকে ১২ কোটি টাকা। দেশের একশ্রেণির অতিধনী ব্যবসায়ীরা এসব বিলাসবহুল গাড়ি চালান।
গাড়ি ব্যবসায়ীরা জানান, এমন বিলাসবহুল দামি গাড়ির গ্রাহকের সংখ্যা দেড় থেকে দুই হাজারের মতো। কেউ কেউ একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছেন।
দেশে বিলাসবহুল গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ ও আউডি (অনেকে অডি বলেন) ব্র্যান্ডের গাড়ি। রাজধানীর ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামের রাস্তায় এমন দামি গাড়ি মাঝেমধ্যে দেখা যায়।
এক দশক আগেও রাস্তায় বিলাসবহুল গাড়ি অনেক কম দেখা যেত। গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, বারিধারা ও বসুন্ধরার মতো অভিজাত এলাকায় এখন প্রায়ই দেখা মিলে রেঞ্জ রোভার, মার্সিডিজ ও বিএমডব্লিউর মতো বিলাসবহুল গাড়ি। সাধারণত রাতের দিকে অভিজাত এলাকায় এমন গাড়ির আনাগোনা বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে গত ১০ বছরে আড়াই হাজারের বেশি বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছরে দেশে শুধু রোলস-রয়েস ব্র্যান্ডের গাড়ি আমদানি হয়েছে ১২টি। আর গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষে (বিআরটিএ) ৮টি রোলস-রয়েস নিবন্ধিত হয়েছে।
গত জুলাই মাসে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পরে রোলস-রয়েসের ‘স্পেক্টার’ মডেলের গাড়ি। যার দাম ফিচারভেদে প্রায় ১১ থেকে ১২ কোটি টাকা। তখন এই দামি গাড়ি নিয়ে বেশ আলোচনা হয়।
টেসলা ব্র্যান্ডের ‘মডেল এস’ গাড়ি