উল্লাপাড়ার ফুলজোড় নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করা হয় চার বছর আগে। ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় দীর্ঘদিনে সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক (অ্যাপ্রোচ) নির্মাণ হয়নি। ফলে কাজে আসছে না আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সেতুর দুই পাশের অন্তত ১০ গ্রামের মানুষ।

স্থানীয়দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বড়হর ইউনিয়নের সড়াতৈল গ্রামের মাঝে ফুলজোড় শাখা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। আড়াই কোটি টাকার সেতুটির কাজ পায় মেসার্স বিএইচ বি অ্যান্ড এলাই জেবি এন্টারপ্রাইজ। ২০২০ সালে শুরু হওয়া কাজটি শেষ হয় ২০২১ সালে। সেতুর দুই পাশে প্রায় ১০০ মিটার করে সংযোগ সড়ক নির্মানে সাতজনের কাছ থেকে ৩৭ শতক জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। পরে ভূমি মালিকদের কয়েক দফা নোটিশ দেওয়া হয়।  আজ পর্যন্ত তাদের জমির দাম বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। ক্ষতিপূরণ না পেয়ে তারা সড়ক নির্মাণে বাধা দিয়েছেন। মূলত এ কারণেই সেতু নির্মাণের পর চার বছরেও দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা যায়নি। ঠিকাদারের লোকজন স্থানীয়দের যাতায়াতের জন্য সেতুর দুই পাশে কিছু মাটি ফেলে দিয়েছিলেন। গত কয়েক বছরে বর্ষায় সেইসব মাটি অনেকটাই ধুয়েমুছে গেছে। 

ভূমি মালিক আশরাফুল ইসলাম জানান, তাঁর ৬ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। জমির দাম বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। এলজিইডি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিক সভা হয়েছে। তারা টাকা পরিশোধের আশ্বাস দিয়ে দায় সারছেন। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। দেব দিচ্ছি করে তিন বছরেরও বেশি সময় পার করে দিয়েছে।

একই এলাকার শাহনাজ বেগমের আট শতক জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। তিনিও জমির দাম পাননি। সংগত কারণে তারা সংযোগ সড়ক নির্মাণে বাধা দিচ্ছেন। শাহনাজ বেগম অবিলম্বে তাদের পাওনা টাকা পরিশোধের দাবি জানান। 

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী মো.

শহিদুল্লাহ বলেন, অধিগ্রহণের টাকা পাওয়া যায়নি। এ কারণে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। এ সমস্যা সমাধানে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। 

সিরাজগঞ্জের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকে জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার নুসরাত জাহান জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা না বলে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ স য গ সড়ক সড়ক ন র ম

এছাড়াও পড়ুন:

হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী টিম ডিরেক্টর রাজ্জা

সংবাদ সম্মেলন তখন শেষ। আব্দুর রাজ্জাককে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, ‘‘বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর কিন্তু টসেও ইনপুট দিতেন। আপনি কি…?’’ রাজ্জাক মুখে হাসি আটকে রাখেন। এই পদে আসন্ন আয়ারল‌্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক স্রেফ এতোটুকুই বলতে পারেন, ‘‘আমাদের থেকে এমন কিছু কখনোই দেখতে পারবেন না। আমরা নতুন কিছু নিয়ে ভাববো।’’ 

জাতীয় দলকে নিয়ে সেই ভাবনা থেকেই ‍আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড একজনকে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের জাতীয় পুরুষ দলের ব‌্যর্থতার কারণে আলোচনা হচ্ছিল, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপরে একটি ছায়া বিভাগ থাকবে যারা সরাসরি জাতীয় দল পর্যবেক্ষণ করবে।

সেই ছায়া বিভাগে সাবেক ক্রিকেটাররাই থাকবেন। প্রথম টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাক পেলেন দায়িত্ব। কেন টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হলো সেই প্রশ্ন করা হয় তাকে। নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় টিম ডিরেক্টর পদটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ এই দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে। দলের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যেতেন তিনি। টস থেকে শুরু করে টিম মিটিংয়ে দিতেন ইনপুট। যা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ করেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক।

তবে রাজ্জাক নিজের কাজ, পরিধি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলেই নিশ্চিত করলেন,"অন্যান্য যে কোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। আর কখনও যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে সেটিও দেওয়ার চেষ্টা করব। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমি করব।"

"ক্রিকেট বোর্ডের মনে হয়েছে, দলের সঙ্গে একজন টিম ডিরেক্টর থাকলে ভালো হবে। এই পদটি কিন্তু আগেও ছিল। অনেক দিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড পরিচালকের সংখ্যা কম থাকায় হয়তো দলের সঙ্গে কেউ যায়নি। তবে এর আগে প্রায় সিরিজেই দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর থাকত।" - যোগ করেন তিনি।

ঢাকা/ইয়াসিন 

সম্পর্কিত নিবন্ধ