‘রোজায় বাজার মনিটরিং করা হবে, অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা’
Published: 20th, February 2025 GMT
								 সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন 
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, রোজায় বাজার মনিটরিং করা হবে। ভোগ্যপণ্যের অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর হবে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বর্তমানে খাদ্য পরিস্থিতি কেমন আছে, জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এখনতো খাদ্য পরিস্থিতি খারাপ না। একটা মানুষের বাজেটে অনেক ধরনের খাদ্য থাকে। সেখানে একটার দাম কমবে আরেকটার বাড়বে। সার্বিকভাবে বা মোটাদাগে যদি দেখেন মোটামুটি সহনীয়। আমাদের পরিসংখ্যান আছে কমেছে।
তিনি বলেন, রোজার সময় যেভাবে পারি বাজার মনিটরিং করব। সেটা ডিসি সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন। আমিও তাদের (ডিসি) বলেছি স্থানীয় পর্যায়ে মনিটরিং করতে। পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে যাতে কোনো রকমের কারসাজি না হয়। দেখা যায় যে, খাদ্যের সরবরাহ থাকলেও অনেক সময় ভোক্তার কাছে যায় না। গুদামে পড়ে থাকে লুকিয়ে রাখা হয়। এগুলো যেন কোনো ক্রমেই না হয়। রোজার সময় আমরা আরও বেশি যাতে সরবরাহ হয় সেটা নিশ্চিত করব।
তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখবেন আমরা বিশেষ সেলস সেন্টার করেছি। সুতরাং সাধারণ মানুষের যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো অসুবিধা না হয় সেটা আমরা নিশ্চিত করব।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আজকে দীর্ঘ মিটিং হয়েছে। অনেকগুলো অ্যাজেন্ডা ছিল। তার মধ্যে চাল, সার আমদানি, সজোরে গুদাম তৈরি করা, কিছু রাস্তা, ব্রিজ ও বন্দরের রাস্তা রয়েছে। আজকে যেটা করা হয়েছে সেটা হলো অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য, আর কতোগুলো আছে ভৌত অবকাঠামো সেগুলো আমরা অনুমোদন দিয়েছি।
তিনি বলেন, আমাদের ভৌত অবকাঠামোগুলো বিরাট বিরাট মেগা প্রকল্প না। আমরা যেটা দিয়েছি সেটা অত্যন্ত দরকারি। এর মধ্যে ব্রিজ, রাস্তা রয়েছে কতগুলো। এই হলো আমাদের ক্রয় কমিটিতে।
মাতারবাড়ি প্রকল্প নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, হ্যাঁ মাতারবাড়ি একটা বড় প্রকল্প। এর বেশিরভাগ কাজ হয়ে গেছে। মাতারবাড়িতে পাওয়ার সাপ্লাই আছে। জাপানিজ কোম্পানি জাপানিজ গ্রান্ড এটা করেছে। তাদের শর্তগুলো খুবই সহনীয়। আরেকটা সুবিধা হলো এ পর্যন্ত তারা যে ঋণ দিয়েছে সেটা কয়েক বছর পর সেটা অনুদান করে দেয়। এটা খুব ভালো একটা প্রকল্প।
তিনি বলেন, সবচেয় বড় কথা হচ্ছে মাতারবাড়িতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সেখানে একটা জেটি করবে, তবে সেখানে একটা বেসরকারি জেটি আছে। এই প্রকল্পের সুবিধা হলো সেখানে পোর্টের কিছু সুযোগ সুবিধা বাড়বে এবং পাওয়ার জেনারেট হবে। বেশিরভাগ কাজ হয়ে গেছে, এখন শুধু বাকিটা করা হবে।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী টিম ডিরেক্টর রাজ্জা
সংবাদ সম্মেলন তখন শেষ। আব্দুর রাজ্জাককে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, ‘‘বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর কিন্তু টসেও ইনপুট দিতেন। আপনি কি…?’’ রাজ্জাক মুখে হাসি আটকে রাখেন। এই পদে আসন্ন আয়ারল্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক স্রেফ এতোটুকুই বলতে পারেন, ‘‘আমাদের থেকে এমন কিছু কখনোই দেখতে পারবেন না। আমরা নতুন কিছু নিয়ে ভাববো।’’
জাতীয় দলকে নিয়ে সেই ভাবনা থেকেই আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড একজনকে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের জাতীয় পুরুষ দলের ব্যর্থতার কারণে আলোচনা হচ্ছিল, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপরে একটি ছায়া বিভাগ থাকবে যারা সরাসরি জাতীয় দল পর্যবেক্ষণ করবে।
সেই ছায়া বিভাগে সাবেক ক্রিকেটাররাই থাকবেন। প্রথম টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাক পেলেন দায়িত্ব। কেন টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হলো সেই প্রশ্ন করা হয় তাকে। নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় টিম ডিরেক্টর পদটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ এই দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে। দলের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যেতেন তিনি। টস থেকে শুরু করে টিম মিটিংয়ে দিতেন ইনপুট। যা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ করেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক।
তবে রাজ্জাক নিজের কাজ, পরিধি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলেই নিশ্চিত করলেন,"অন্যান্য যে কোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। আর কখনও যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে সেটিও দেওয়ার চেষ্টা করব। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমি করব।"
"ক্রিকেট বোর্ডের মনে হয়েছে, দলের সঙ্গে একজন টিম ডিরেক্টর থাকলে ভালো হবে। এই পদটি কিন্তু আগেও ছিল। অনেক দিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড পরিচালকের সংখ্যা কম থাকায় হয়তো দলের সঙ্গে কেউ যায়নি। তবে এর আগে প্রায় সিরিজেই দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর থাকত।" - যোগ করেন তিনি।
ঢাকা/ইয়াসিন