বিতর্কিত ভূমিকা : বাধ্যতামূলক অবসরে দুই সচিব
Published: 20th, February 2025 GMT
আওয়ামী লীগ আমলে বিতর্কিত নির্বাচন ও জুলাই-আগস্ট বিল্পবের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার করাণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এর মধ্যে কামরুল হাসান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মৌলভীবাজারের ডিসি ছিলেন।
আওয়ামী লীগের আমলে তিনটি জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ডিসিদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাচ্ছে এবং ওএসডি করছে সরকার। যাদের চাকরির বয়স ২৫ বছরের কম তাদের ওএসডি করা হচ্ছে, যাদের ২৫ বছরের বেশি তাদের দেওয়া হচ্ছে বাধ্যতামূলক অবসর।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, জুলাই-আগস্ট বিল্পবের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সচিব) আবু হেনা মোরশেদ জামানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ এর ৪৫ ধারায় দেওয়া ক্ষমতাবলে তাদের বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে। তারা বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধা পাবেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা জেলা প্রশাসক হিসেবে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন এমন ২১ জন কর্মকর্তাকে বৃহস্পতিবার জনস্বার্থে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করা হয়েছে। এর আগে ৪৩ জনকে ওএসডি করা হয়েছে
ঢাকা/নঈমুদ্দীন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের
ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।