সাকিব–তামিম: দুজনার দুটি পথ আজ একই দিকে
Published: 20th, February 2025 GMT
সাকিব আল হাসান চেয়েছিলেন, এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলে বিদায় বলবেন আন্তর্জাতিক ওয়ানডেকে। হয়তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেই। তবে সে ইচ্ছাটা তিনি উহ্য রেখে দিয়েছিলেন। যা–ই হোক, সাকিবের চাওয়া পূরণ হচ্ছে না। যেমন পূরণ হয়নি তাঁর ঘরের মাঠে খেলে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার ইচ্ছা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চেয়েছিল, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিটা খেলুন তামিম ইকবাল। সেটাও হচ্ছে না। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণার আগে নির্বাচকেরা আলোচনায় বসেছিলেন তামিমের সঙ্গে। কিন্তু তামিমের ‘না’কে ‘হ্যাঁ’ করাতে পারেননি। এরপর তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণাই দিয়ে দেন তামিম।
আরও পড়ুনকোন দলের কেমন সম্ভাবনা, আগেই বা কী করেছে১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি সাকিব–তামিম দুজনের কাছে তাই দুই রকমভাবে ধরা দিচ্ছে। সাকিবের জন্য এটা হতে পারে অতৃপ্তির অন্য নাম। যে রকম বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার তাঁর, বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশের ক্রিকেটের মুখ হয়ে ওঠা সাকিব প্রশ্নাতীতভাবেই বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার। বড় কোনো আসর থেকে, অন্তত মাঠ থেকে ক্যারিয়ার শেষের ঘোষণা দেওয়াটা তাঁর প্রাপ্য। অথচ এমন একজনের শেষটাই হলো কিনা অপূর্ণতা দিয়ে!
বাংলাদেশের ক্রিকেটে সাকিব–তামিম একসময় বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেলেও ক্যারিয়ারের শেষলগ্নে তাঁরা হয়ে উঠলেন বৈরিতার প্রতীক।অবশ্য শেষই–বা বলা কীভাবে? আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বিদায়’ বলার সুযোগই তো পাননি সাকিব। সাত মাসের রাজনৈতিক পরিচয় বাংলাদেশের ক্রিকেটেই এখন ব্রাত্য করে দিয়েছে একসময়ের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে। সব মিলিয়ে এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিটা সাকিবের জন্য হয়ে থাকবে না ছুঁতে পারা এক মাইলফলক।
তামিম বিদায় বললেও বাংলাদেশের জার্সিকে সাকিব আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানানোর সুযোগ পাননি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া
ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক সব সময়ই দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কৌশল অনুযায়ী এগিয়েছে।
অতীতেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজে লম্বা বিরতি দেখা গেছে। ১৯৫৪ থেকে ১৯৭৮—টানা ২৪ বছর পাকিস্তান সফরে যায়নি ভারত। আবার ১৯৬০ সালের পর পাকিস্তানও প্রথমবারের মতো ভারতে খেলতে যায় ১৯৭৯ সালে।
এরপর ১৯৮২ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান নিয়মিত মুখোমুখি হয়েছে। এই সময়ে ভারত তিনবার পাকিস্তান সফরে গিয়ে খেলে ১২ টেস্ট, পাকিস্তানও ভারতে গিয়ে খেলে ৮ টেস্ট।
দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান তিন টেস্ট খেলতে ভারতে যায়। এর মধ্যে একটি ছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রথম এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ভারত ফিরতি টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যায় ২০০৪ সালে, যা ছিল ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের অভিষেকের পর প্রথমবার।
২০০৪ সালের পাকিস্তান সফরে কড়া নিরাপত্তায় ব্যাটিংয়ে নামেন শচীন টেন্ডুলকার