রাজবাড়ীতে নিখোঁজের ৬ দিন পর নদীতে পাওয়া গেল গলাকাটা লাশ
Published: 20th, February 2025 GMT
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় নিখোঁজের ছয় দিন পর গড়াই নদে পাওয়া গেছে এক ব্যক্তির গলাকাটা লাশ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার পুষআমলা গ্রামের গড়াই নদ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে স্থানীয় জঙ্গল বাজারে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন।
লাশ উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির নাম উৎপল কুমার বিশ্বাস (৪৫)। তিনি বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের পুষআমলা গ্রামের বীরেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের ছেলে। তিনি কৃষিকাজ করতেন।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, পুষআমলা গ্রামের গড়াই নদের মাগুরা প্রান্তে আটকে থাকা অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির গলাকাটা লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন বালিয়াকান্দি থানা-পুলিশ ও পাশের মাগুরার শ্রীপুর থানা-পুলিশকে খবর দেন। বালিয়াকান্দির মধ্যে হওয়ায় বালিয়াকান্দি থানা-পুলিশ এবং ফরিদপুর অঞ্চলের নৌ পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে উৎপল কুমার বিশ্বাসের লাশ শনাক্ত করেন।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে উৎপল কুমার বিশ্বাস স্থানীয় জঙ্গল বাজারে মহানামযজ্ঞ দেখতে বাড়ি থেকে বের হন। রাতে আর বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি উৎপল কুমার বিশ্বাসের বড় ভাই গৌতম কুমার বিশ্বাস বালিয়াকান্দি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উৎপল ক ম র ব শ ব স
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।