রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় নিখোঁজের ছয় দিন পর গড়াই নদে পাওয়া গেছে এক ব্যক্তির গলাকাটা লাশ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার পুষআমলা গ্রামের গড়াই নদ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে স্থানীয় জঙ্গল বাজারে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন।

লাশ উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির নাম উৎপল কুমার বিশ্বাস (৪৫)। তিনি বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের পুষআমলা গ্রামের বীরেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের ছেলে। তিনি কৃষিকাজ করতেন।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, পুষআমলা গ্রামের গড়াই নদের মাগুরা প্রান্তে আটকে থাকা অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির গলাকাটা লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন বালিয়াকান্দি থানা-পুলিশ ও পাশের মাগুরার শ্রীপুর থানা-পুলিশকে খবর দেন। বালিয়াকান্দির মধ্যে হওয়ায় বালিয়াকান্দি থানা-পুলিশ এবং ফরিদপুর অঞ্চলের নৌ পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে উৎপল কুমার বিশ্বাসের লাশ শনাক্ত করেন।

পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে উৎপল কুমার বিশ্বাস স্থানীয় জঙ্গল বাজারে মহানামযজ্ঞ দেখতে বাড়ি থেকে বের হন। রাতে আর বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি উৎপল কুমার বিশ্বাসের বড় ভাই গৌতম কুমার বিশ্বাস বালিয়াকান্দি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

জামাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, উৎপল কুমার বিশ্বাস কৃষিকাজ করতেন। তিনি নিষিদ্ধঘোষিত চরমপন্থী সর্বহারা দলের আঞ্চলিক নেতা ও শিশির বাহিনীর সদস্য বলে অভিযোগ আছে। তবে তাঁর নামে থানায় কোনো মামলা নেই। ধারণা করা হচ্ছে, পেশাদার খুনিরা তাঁকে হত্যা করেছে। লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উৎপল ক ম র ব শ ব স

এছাড়াও পড়ুন:

সিইপিজেডের শ্রমিক উৎপল তঞ্চঙ্গ্যার মৃত্যু নিয়ে যা জানা গেল

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) এক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় একটি কারখানার সুপারভাইজারকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া এ ঘটনায় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)। তাঁদের তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট এলাকায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজে (বিআইটিআইডি) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান উৎপল তঞ্চঙ্গ্যা (২৩)। তিনি সিইপিজেডের মেসার্স এলসিবি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড কারখানায় ফিনিশিং হেলপার পদে কর্মরত ছিলেন।

কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক দৌলত হোসেন এবং উৎপলের সহকর্মী জিসান তঞ্চঙ্গ্যা ও সুজন চাকমার বরাত দিয়ে সিইপিজেড কর্তৃপক্ষ জানায়, গত রোববার বেলা ১১টার দিকে উৎপল তঞ্চঙ্গ্যা অসুস্থ বোধ করেন এবং তিনি সুপারভাইজারের কাছে অসুস্থতার বিষয়টি জানান। পরে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরলে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে উৎপলের মৃত্যুর বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে। এসব পোস্টে দাবি করা হয়, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি তিনবার ছুটির আবেদন করেছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাঁর আবেদন গ্রহণ করেনি। চাকরি হারানোর ভয়ে তিনি বাধ্য হয়ে অসুস্থ শরীর নিয়েই কাজে যোগ দেন। উৎপলের মৃত্যুর জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষের অমানবিক আচরণই সরাসরি দায়ী।

এ বিষয়ে সিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুস সোবহান বলেন, এই মর্মান্তিক ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট সুপারভাইজারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বেপজা কর্তৃপক্ষ একটি চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটি আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিইপিজেডের শ্রমিক উৎপল তঞ্চঙ্গ্যার মৃত্যু নিয়ে যা জানা গেল