পবিত্র রমজানে নগদ অর্থ উত্তোলন ও পরিবহনে ‘মানি এসকর্ট’ সেবা দেবে ডিএমপি
Published: 20th, February 2025 GMT
নগদ অর্থ উত্তোলন ও পরিবহনে ‘মানি এসকর্ট’ সেবা দেবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এ জন্য সহায়তাপ্রত্যাশী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সংশ্লিষ্ট থানা অথবা পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে ডিএমপি। আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, পবিত্র রমজান মাস ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ক্রয়-বিক্রয়, ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থ লেনদেন ও স্থানান্তর বেড়ে যায়। কোনো ব্যক্তি, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বেশি অর্থ স্থানান্তরের জন্য পুলিশের সহায়তা প্রয়োজন মনে করলে ডিএমপি তাদের এসকর্ট সেবা দেবে। এ ক্ষেত্রে যারা এসকর্ট সেবা নেবে, যানবাহনের ব্যবস্থা তাদের করতে হবে।
এসকর্ট সেবা পেতে পুলিশ কন্ট্রোল রুমসহ যোগাযোগের বেশ কিছু নম্বর দিয়েছে ডিএমপি। সেগুলো হলো ২২৩৩৮১১৮৮, ০২৪৭১১৯৯৮৮, ০২৯৬১৯৯৯৯, ০১৩২০-০৩৭৮৪৫, ০১৩২০-০৩৭৮৪৬ এবং জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯।
এ ছাড়া অর্থ উত্তোলন ও স্থানান্তরের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মেনে চলার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। নিয়মগুলো হলো:
বড় অঙ্কের অর্থ একা বহন না করে সঙ্গে অতিরিক্ত একাধিক বিশ্বস্ত ব্যক্তি রাখা যেতে পারে। অর্থ বহনসংক্রান্ত কোনো তথ্য আগেই অন্যকে জানানো থেকে বিরত রাখা।
পায়ে হেঁটে অথবা রিকশায় অর্থ বহনের পরিবর্তে গাড়িতে অর্থ বহন করা যেতে পারে।
নগদ অর্থ বহনের আগে নিশ্চিত হতে হবে যেন আপনার দোকান বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কেউ দুষ্কৃতকারীদের তা জানিয়ে না দেয়।
দৈনিক নগদ অর্থ বহনের প্রয়োজন হলে মাঝেমধ্যে ভিন্ন পথ ব্যবহার করা যেতে পারে, যেন দুষ্কৃতকারীরা আগেই ওত পেতে থাকার সুবিধা নিতে না পারে।
অর্থ বহনের সময় ব্যাগ এমনভাবে ব্যবহার করতে হবে, যেন বাইরে থেকে বোঝা না যায়। এতে দুষ্কৃতকারীরা প্রলুব্ধ হওয়ার সুযোগ পাবে না।
পুরো টাকা একসঙ্গে না রেখে বিভিন্ন জায়গায় যেমন পকেটে, ব্যাগে, সঙ্গে থাকা ব্যক্তির কাছে ভাগ করে রাখা যেতে পারে।
গলি কিংবা নির্জন পথ ব্যবহারের পরিবর্তে অপেক্ষাকৃত ব্যস্ত সড়ক ব্যবহার করা যেতে পারে।
ট্রাফিক সিগন্যাল বা জ্যামে পড়লে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে হবে।
সিসিটিভি আছে এমন ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করার চেষ্টা করতে হবে। ব্যাংক থেকে বের হওয়ার পর বোঝার চেষ্টা করতে হবে সন্দেহজনক কেউ আপনাকে অনুসরণ করছে কি না।
বড় অঙ্কের অর্থ পরিবহনের কাজটি রাতে না করে দিনের বেলায় সম্পন্ন করা যেতে পারে।
এটিএম বুথের ভেতরে থাকা কোনো গোপন ক্যামেরায় আর্থিক লেনদেনে ব্যবহৃত গোপন নম্বরটি ধারণ করা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফারের কাজটি চেকের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যেতে পারে।
বড় অঙ্কের টাকা পরিবহনে প্রয়োজনে পুলিশ এসকর্ট সেবা গ্রহণ করা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র পর বহন ড এমপ
এছাড়াও পড়ুন:
সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে
১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।
নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।
এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।