জনপ্রিয় ট্রাভেল কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ও প্রাক্তন সাংবাদিক সালাহউদ্দিন সুমন আনুষ্ঠানিকভাবে তার্কিশ এয়ারলাইনসের ব্র্যান্ড প্রোমোশনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ঢাকায় তার্কিশ এয়ারলাইনসের অফিসে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং চুক্তিপত্র হস্তান্তর করা হয়।  

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তার্কিশ এয়ারলাইনসের ঢাকায় নিযুক্ত কান্ট্রি ম্যানেজার ইসলাম গুরে এবং সংস্থাটির অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। চুক্তির আওতায় সালাহউদ্দিন সুমন তার্কিশ এয়ারলাইনসের সেবা, বৈচিত্র্যময় গন্তব্য ও ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করবেন, যা তার বিশাল সংখ্যক অনুসারীদের জন্য নতুন ভ্রমণ অনুপ্রেরণা হয়ে উঠবে।  

এই চুক্তির পেছনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে সালাহউদ্দিন সুমনের পূর্ববর্তী কিছু কন্টেন্ট, যেখানে তিনি তুরস্কের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান, সংস্কৃতি ও তার্কিশ এয়ারলাইনসের অভিজ্ঞতা নিয়ে বিস্তারিত কভারেজ দিয়েছেন। তার এই কন্টেন্টগুলো তার্কিশ এয়ারলাইনসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আসে এবং তার কাজের মান ও জনপ্রিয়তা বিবেচনা করেই তাকে ব্র্যান্ড প্রোমোশনের জন্য চুক্তিবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সালাহউদ্দিন সুমন বলেন, ‘তার্কিশ এয়ারলাইনসের মতো বিশ্বমানের একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। তুরস্ক আমার প্রিয় গন্তব্যগুলোর একটি, এবং আমার তৈরি কন্টেন্ট যদি আরও বেশি মানুষকে তুরস্ক ও তার্কিশ এয়ারলাইনসের সৌন্দর্য আবিষ্কার করতে অনুপ্রাণিত করতে পারে, তাহলে সেটাই হবে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন।’

তার্কিশ এয়ারলাইনসের কান্ট্রি ম্যানেজার ইসলাম গুরে বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাদের ব্র্যান্ডকে আরও বিস্তৃত করতে একজন অভিজ্ঞ ও জনপ্রিয় ট্রাভেল কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের সঙ্গে কাজ করা তাদের জন্য একটি কৌশলগত পদক্ষেপ। তারা আশা করছেন, সালাহউদ্দিন সুমনের মাধ্যমে ভ্রমণপ্রেমীরা নতুন অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং তার্কিশ এয়ারলাইনসকে আরও কাছ থেকে আবিষ্কার করতে পারবেন।  

এই চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশি ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত রস ক র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুর গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা, নির্বাচনী আচরণবিধির সংশোধন চায় ছাত্রদল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা এবং নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধনে নির্বাচন কমিশনকে স্মারকলিপি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের কাছে এ স্মারকলিপি দেন ছাত্রদলের নেতারা।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘আসন্ন জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী জকসু সংবিধি এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য দায়বদ্ধ। ন্যায্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিতে আমাদের অনুরোধ, ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় প্রত্যেক ভোটারের ছবিসহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং স্বচ্ছ, নাম্বারযুক্ত ব্যালট বক্স রাখা আবশ্যক।’

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ব্যালট ছাপার সংখ্যা, ভোট প্রদানকারীর সংখ্যা এবং নষ্ট ব্যালটের তথ্য প্রকাশ করতে হবে। মিডিয়া ট্রায়াল বা ভুল তথ্য প্রচার হলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কেন্দ্র থেকে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে নির্বাচনকালীন সময়ে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ডাকসুর তফসিল ঘোষণার ৪১ দিন, চাকসুর ৪৪ দিন, রাকসুর ৮০ দিন এবং জাকসুর তফসিল ঘোষণার ৩১ দিন পর নির্বাচন হয়েছে। যেহেতু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। এ ছাড়া বাকি চার বিশ্ববিদ্যালয়ের তফসিল ঘোষণার সময় ও নির্বাচনের মধ্যবর্তী পার্থক্য বিবেচনা করে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে সুষ্ঠু একটা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, এজন্য ছাত্রদল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করছি, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ