শেখ হাসিনার সামরিক সচিব মিয়াজী রিমান্ড শেষে কারাগারে
Published: 21st, February 2025 GMT
শেখ হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব ও ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) সালাহউদ্দিন মিয়াজীকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে ঝিনাইদহ সদর থানা থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে নেওয়া হয় তাকে। পরে সেখান থেকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় সাবেক এই সামরিক কর্মকর্তাকে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, “গত বছরের ৪ আগস্ট জেলা বিএনপির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ভাঙচুরের মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।”
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে ঝিনাইদহ-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয় সালাহউদ্দিন মিয়াজী। এর আগে ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক সচিবের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ঢাকা/সোহাগ/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন’, জামায়াত আমিরের দুঃখ প্রকাশ
নারী বিষয়ক কমিশনের রিপোর্টকে শরীয়তবিরোধী ও অগ্রহণযোগ্য রিপোর্ট উল্লেখ করে এর ওপর বুধবার প্রদত্ত বক্তব্যের এক পর্যায়ে একটি শব্দের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১ মে) নিজের ও দলের ফেসবুক পেজে এ কথা বলেন তিনি।
এতে তিনি জানান, অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন হয়েছে, যা একান্তই অনিচ্ছাকৃত। এজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
প্রতিহিংসার রাজনীতিতে শান্তি আসতে পারে না: জামায়াত আমির
দেশকে যে ভালোবাসে, সে দেশ ছেড়ে পালায় না: শফিকুর রহমান
জামায়াত আমির বলেন, “রেইপ হচ্ছে বিবাহবহির্ভূত এক ধরনের জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক, যা সাধারণত বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে ঘটে, যেখানে অপরাধী ব্যক্তিটি অসৎ ও দোষী, কিন্তু ভিকটিম সম্পূর্ণ নিরপরাধ।”
“আমি এটাও মনে করি যে, বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে ‘রেইপ' এর মতো জঘন্য শব্দকে প্রবেশ করানো পবিত্র এই সম্পর্কের জন্য অবমাননাকর এবং দীর্ঘ মেয়াদে দাম্পত্য সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। স্বামী স্ত্রীর ঘনিষ্ঠতার ক্ষেত্রে কারো দ্বারা সীমালঙ্ঘন বা জুলুম সংঘটিত হলে তা স্বাভাবিক বিচারের আওতায় অবশ্যই আনতে হবে। কিন্তু বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যকার কোনো অনাকাঙ্খিত বিষয়কে রেইপ বা ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের সাথে তুলনা করা অবাঞ্ছণীয় এবং দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যাজনক।”
“আমার এই অনিচ্ছাকৃত শব্দ চয়নের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর মর্যাদা, নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায় এবং জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান সর্বদা সেই মূলনীতির ওপরই প্রতিষ্ঠিত,” বলেও দাবি করেন তিনি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ