কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা ‘কাকা সমাজ মিলনমেলা’ শীর্ষক ব্যতিক্রমী এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

আগামীকাল সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে প্রথমবারের মত এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের সবারই প্রত্যেকের নানা ধরনের গল্প থাকে। একই ধরনের মানুষ কিংবা একই মানসিকতার মিলনে ব্যাচগুলোর মধ্যে আলাদা সার্কেল তৈরি হয়। কোন সার্কেল ব্যস্ত থাকে পড়ালেখা নিয়ে, কোন সার্কেল সংগঠন, আবার কোন সার্কেলের আলোচনার বিষয় হয়ে উঠে সমসাময়িক দেশ, রাজনীতি, অর্থনীতি, পররাষ্ট্রনীতি। আলোচনার বিষয় যাই হোক দিনশেষে গল্পটা বন্ধুত্বের, বন্ধুদের। সেসব বন্ধুত্বের প্রতি উৎসর্গ করেই ব্যতিক্রমী এ ‘কাকা সমাজ’ এর আয়োজন করা হয়েছে।

এতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের নানা গল্প তুলে ধরা হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ব্যান্ড দল ‘প্ল্যাটফর্ম’ এবং ঢাকা থেকে আসা ‘ডায়িং এমবার্স’ গান পরিবেশন করবে।

‘কাকা সমাজ’ আয়োজন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ১৩তম আবর্তনের শিক্ষার্থী ও আয়োজক কমিটির সদস্য উজ্জ্বল হক বলেন, “আমরা এ আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সার্কেলকে উৎসর্গ করছি। নানা সার্কেল নানা গল্প। এই নানা গল্প, নানা মানুষকে এক ছাদের নিচে অনুভব করতেই এর আয়োজন করা হচ্ছে। সবার আমন্ত্রণ রইলো। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের সঙ্গে দেখা হবে, কথা হবে, আড্ডা হবে।”

অনুষ্ঠানের নাম     ‘কাকা সমাজ’ দেওয়া নিয়ে তিনি বলেন, “আমরা বন্ধুরা যখন একসঙ্গে আড্ডা দেই কিংবা দেখা হয়, তখন একে অপরকে মামা বা কাকা বলে সম্বোধন করি। মামা বিষয়টা খুব সাধারণ সম্বোধন হয়ে গেছে ইদানিং। তাই এ অনুষ্ঠানের নাম ‘কাকা সমাজ’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন র

এছাড়াও পড়ুন:

আরিফুলসহ সিলেট বিএনপির নেতাদের লন্ডন সফর, নানা আলোচনা

গত রোববার হঠাৎ লন্ডন সফরে যান সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ নিয়ে সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা আলোচনা। শুধু আরিফুল নন, ইতোমধ্যে সিলেটের একাধিক নেতা প্রকাশ্যে বা গোপনে লন্ডন সফর করেন। শোনা যাচ্ছে, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাত করতেই তারা লন্ডন যাচ্ছেন।

সরকার পরিবর্তনের পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি পেয়ে লন্ডন যান। খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডনে যান উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী। তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাসরত সিলেট-৬ আসনের (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। দেশে এসেও নিবার্চনী এলাকায় সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় করে চলেছেন।  

সম্প্রতি লন্ডন থেকে দেশে ফিরে সিলেট-৪ আসনের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালাচ্ছেন মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জমান সেলিম। তিনি তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন  বলে জানা যায়।

একই আসনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি নেতা আব্দুল হাকিম সম্প্রতি লন্ডন সফর করেন। তিনি দেশে ফিরে বিভিন্ন সভা সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন। একই আসনে আরও একাধিক নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে লন্ডন যাচ্ছেন বলে জানা যায়।
 
সর্বশেষ গত রোববার লন্ডনে যান আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি লন্ডনে যাওয়ার পর সিলেট বিএনপির রাজনীতি বইছে নতুন হওয়া। শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, দুটি মিশন নিয়ে গেছেন আরিফুল হক। এর একটি হচ্ছে- সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া, অপরটি হচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি। লন্ডনে গিয়ে তিনি বলেন, 'আমি আপনাদের দেখতে এসেছি। ৪-৫ দিন লন্ডনে থাকবো।'

আরিফুল হক সিটি নির্বাচনে নাকি সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন তা নিয়ে এখন চলছে আলোচনা। তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, সার্বিক বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরামর্শ নিতে তিনি লন্ডনে গেছেন। তার পরামর্শ পাওয়ার পর সিলেটের নির্বাচনী মাঠে নামবেন তিনি। 

এদিকে, সোমবার রাতে লন্ডনে আরিফুল হক তার ঘনিষ্ঠ শতাধিক নেতাকর্মীকে নিয়ে একটি রেস্টুরেন্টে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি বর্তমানে মাঠে থাকা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। কোনো রাজনৈতিক দলের নাম না বললেও নতুন রাজনৈতিক সংগঠনের কথা সরাসরি বলেন। তার বক্তব্য ঘিরে সিলেটে জামায়াত ঘরানার রাজনৈতিক নেতারা স্যোশাল মিডিয়ায় সরব হয়ে উঠেছেন।  কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন, অন্য পার্টি বলতে সাবেক মেয়র আরিফ কি জামায়াতকে বোঝাতে চেয়েছেন? 

ভার্চ্যুয়াল মিডিয়ায় প্রচারিত হওয়া ভিডিওতে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের দু-একটা তুচ্ছ ঘটনাকে কিছু রাজনৈতিক অন্য পার্টি, অন্য প্ল্যাটফরমে যা আপনারা ভালোভাবেই বুঝতেছেন, যারা এখনই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি, বিভিন্ন ইনস্টিটিউশন, বিভিন্ন হাই-অফিসিয়াল পোস্টে তাদের নিজেদের লোক সেটআপ করে ফেলছে। সেখানে আমাদের মানুষগুলো নেই। আমাদের দু-চার জন অ্যাটর্নি জেনারেল, আর দু-চারটা পোস্ট দেখলেই মনে করবেন না সব আমাদের। তারা ভালো করে জানে ভোটে গেলে বিএনপি’র সঙ্গে কোনোভাবেই রিটার্ন করতে পারবে না। কাজেই তারা ওই ম্যাকানিজম শুরু করেছে সেখানে নির্বাচনকে একটু দূরে ঠেলে দিয়ে বিভিন্ন প্রশাসনে তাদের লোকগুলোকে সেটআপ করা।' 

সম্পর্কিত নিবন্ধ