বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিস কক্ষে এ সাক্ষাৎ হয়। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ সরবরাহ, কানেকটিভিটি বৃদ্ধি ও নেপাল ইকোনমিক সামিট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, দুই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কানেক্টিভিটি (সংযোগ) বৃদ্ধি করা দরকার। কৌশলগত অংশীদারত্ব নিশ্চিত করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশ কাজ করতে আগ্রহী। এ সময় দুদেশের বাণিজ্য ভলিউম বৃদ্ধির মাধ্যমে উভয় দেশই লাভবান হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

নেপালের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে ঐতিহাসিক ও চমৎকার উল্লেখ করে বলেন, নেপাল বাংলাদেশ থেকে কৃষিজাত পণ্য আমদানি করে থাকে। নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য গত ৩ অক্টোবর ভারত ও নেপালের সঙ্গে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই করে বাংলাদেশ। চুক্তির আওতায় ২০২৫ সালের জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসের জন্য নেপাল থেকে ভারত হয়ে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাবে বাংলাদেশ।

এ সময় ঘনশ্যাম ভান্ডারী ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ রপ্তানির পরিমাণ বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন।

বৈঠকে ঘনশ্যাম ভান্ডারী বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনকে নেপালে অনুষ্ঠিতব্য নেপাল ইকোনমিক সামিটে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন। বাণিজ্যসচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো.

আব্দুর রহিম খান ও অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) আয়েশা আক্তার এসময় উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/হাসনাত/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ণ জ য উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

১০ ও ১১ মে সিটি ব্যাংকের সব সেবা বন্ধ থাকবে

ডেটা সেন্টার স্থানান্তরের কাজ সম্পন্ন করতে লেনদেনসহ সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম দুই দিন বন্ধ রাখবে সিটি ব্যাংক। আগামী ৯ মে রাত ১২টা থেকে ১১ মে রাত ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে ব্যাংকটিকে সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বুধ বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এ–সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়েছে, ডেটা সেন্টার স্থানান্তর কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য আগামী ৯ মে রাত ১২টা থেকে ১১ মে রাত ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে সিটি ব্যাংককে সম্মতি দেওয়া হলো।

১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করা সিটি ব্যাংকের গ্রাহক গত বছর শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখে। ২০০৭ সালে ব্যাংকটির গ্রাহক ছিল ৬৮ হাজার। ব্যাংকটির কর্মকর্তার সংখ্যা এখন ৫ হাজার ৩২১ জন। দেশের সবচেয়ে বেশি সাত লাখ ক্রেডিট কার্ড গ্রাহক রয়েছে সিটি ব্যাংকের। ব্যাংকটির ক্রেডিট কার্ডের ঋণের পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। গত বছর শেষে ব্যাংকটির আমানত বেড়ে হয়েছে ৫১ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। আর ঋণ ছিল ৪৪ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা। গত বছর শেষে হাজার কোটি টাকা মুনাফার মাইলফলক ছুঁয়েছে সিটি ব্যাংক। ব্যাংকটি গত বছর শেষে সমন্বিত মুনাফা করেছে ১ হাজার ১৪ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে ব্যাংকটির সমন্বিত মুনাফার পরিমাণ ছিল ৬৩৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির মুনাফা ৩৭৬ কোটি টাকা বা ৫৯ শতাংশ বেড়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ