৩ কোটি ৬৫ লাখ ৬২ হাজার ৭৫০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এবং ১ কোটি ৭৮ লাখ ৫৮ লাখ ৪৭০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বরিশাল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহে আলম তালুকদারের নামে পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অনু‌ষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ক‌মিশ‌নের মহাপরিচালক মো.

আক্তার হোসেন এ তথ‌্য জানান।

আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারা, মানিলন্ডারিং ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

হারুন ও তার ভাইয়ের ১৩০ বিঘা জমি জব্দ, ২১ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ 

গোপালগঞ্জে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ ৩ জনের নামে মামলা

সা‌বেক প্রতিমন্ত্রীর মামলার এজাহারে বলা হয়, ক্ষমতার অপব‌্যবহার ক‌রে দুর্নী‌তির মাধ‌্যমে সাবেক সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ও গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৬২ হাজার ৭৫০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ক‌রে‌ছেন। তার ৫টি ব্যাংক হিসাবে ১৭ কোটি ৫০ লাখ ৬৫ হাজার ৮২৪ টাকা লেনদেনের তথ‌্য পাওয়া গেছে।

দুদক জানায়, রা‌সে‌লের স্ত্রী তাহেরা খাদিজার নামে ২০ লাখ ৩৬ হাজার ৫২২ টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়া যায়, যার কোনো গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া যায়নি।  রা‌সে‌লের অবৈধ সম্পদ তার স্ত্রীর কা‌ছে থাকতে পা‌রে। সম্প‌দের খোঁজে স্ত্রী তা‌হেরা‌কে সম্পদ বিবরণীর হিসাব দি‌তে নো‌টিশ দেওয়া হ‌বে।

এদিকে সাবেক এমপি মো. শাহে আলম তালুকদারের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৫৮ লাখ ৪৭০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি তার ১২টি ব্যাংক হিসেবে ২৫ কোটি ৬৪ লাখ ৩৩ হাজার ৭৭২ টাকার লেনদেন এর তথ‌্য পাওয়া গে‌ছে।

সা‌বেক এম‌পির স্ত্রী আতিয়া আলম মিলির বিরুদ্ধে ৫৫ লাখ ৭৫ হাজার ৯৯৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তা‌কেও শিগ‌গিরই সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দে‌বে দুদক।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৫ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার সম্পদ অর্জন ও দেড় শ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে সাবেক সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী ও অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ বুধবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থার উপপরিচালক মো. আজিজুল হক বাদী হয়ে মামলাটি করেন। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসাদুজ্জামান নূর ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ১ হাজার ১৯০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন এবং তা নিজের দখলে রেখেছেন। এ ছাড়া আসাদুজ্জামান নূরের নামে থাকা বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১৯টি হিসাবে ১৫৮ কোটি ৭৮ লাখ ৪৭ হাজার ৮৯৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। এই লেনদেনের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

দুদকের অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, ২০০৩-০৪ করবর্ষ থেকে ২০২৩-২৪ করবর্ষ পর্যন্ত আসাদুজ্জামান নূরের বৈধ আয় ছিল ৩২ কোটি ৯৬ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৮ টাকা। এ সময়ে তাঁর পারিবারিক ব্যয় ছিল ৯ কোটি ৩২ লাখ ২৫ হাজার ৭৬১ টাকা। সে অনুযায়ী নিট সঞ্চয় দাঁড়ায় ২৩ কোটি ৬৪ লাখ ৫৭ হাজার ৯২৭ টাকা। অথচ তাঁর অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২৯ কোটি ১ লাখ ৫৯ হাজার ১১৭ টাকা। এতে ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার উৎস পাওয়া যায়নি বলে দুদক জানিয়েছে।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, আসাদুজ্জামান নূরের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ৮৫ কোটি ৭২ লাখ ৬৬ হাজার ৫৯৩ টাকা জমা এবং ৭৩ কোটি ৫ লাখ ৮১ হাজার ৩০৫ টাকা উত্তোলন হয়েছে। এসব লেনদেনের উৎস অস্পষ্ট।

২০০১ সালে নীলফামারী-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আসাদুজ্জামান নূর। এরপর ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও সর্বশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনের পর সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সাবেক মন্ত্রী ও এমপিদের বিরুদ্ধে একে একে মামলা ও গ্রেপ্তার শুরু করে দুদক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর বেইলী রোডে নিজ বাসা থেকে আসাদুজ্জামান নূরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৫ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
  • অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা