খ্যাতি সুন্দর একটি হাতব্যাগের মতো: শ্রুতি হাসান
Published: 25th, February 2025 GMT
ভারতীয় সিনেমার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রুতি হাসান। তার আরেক পরিচয় তিনি বরেণ্য অভিনেতা কমল হাসান ও অভিনেত্রী সারিকার কন্যা। ছোটবেলা থেকেই বাবা-মায়ের খ্যাতি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতেন। এজন্য অপরিচিতদের কাছে নিজের ভুয়া নাম বলতেন শ্রুতি।
কয়েক দিন আগে একটি নারী ক্রিকেট টুর্নামেন্টের মধ্যবর্তী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে বেঙ্গালুরুতে গিয়েছিলেন শ্রুতি হাসান। তার ফাঁকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘থ্রি’ সিনেমা খ্যাত এই অভিনেত্রী।
শ্রুতি হাসান বলেন, “আমার বাবা-মা (অভিনেতা কমল হাসান ও সারিকা) বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। এই পরিচয় আমার বিরুদ্ধাচরণ ছিল। এজন্য আমি ভুয়া নাম ব্যবহার করতাম। যাতে আমার বাবা-মায়ের খ্যাতির সঙ্গে আমাকে না জড়ায় এবং কেবল একজন মানুষ হিসেবে বিবেচনা করেন।”
আরো পড়ুন:
বাবা নাস্তিক, মা আধ্যাত্মিক, ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে মুখ খুললেন শ্রুতি
কখনো বিয়ে করতে না চাওয়ার কারণ জানালেন শ্রুতি
খ্যাতিকে হাতব্যাগের সঙ্গে তুলনা করে শ্রুতি হাসান বলেন, “খ্যাতি চিরস্থায়ী জিনিস না, এটি খুবই ক্ষণস্থায়ী। এটি একটি সুন্দর হাতব্যাগের মতো। আপনি যদি পাথর দিয়ে এটি পূর্ণ করেন, তবে আপনার কাঁধে ব্যথা করবে। সুতরাং খ্যাতি আপনাকে খুব হালকাভাবে বহন করতে হবে। কারণ এটি চিরস্থায়ী নয়। যদি কেউ মনে করেন, খ্যাতির উপরে ভিত্তি করে তার আশা-স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ গড়বেন, তাহলে সে আকাশে দুর্গ তৈরি করছেন।”
স্বাধীনচেতা শ্রুতি হাসান মাত্র ৬ বছর বয়সে গায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। ২০০০ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে রুপালি জগতে পা রাখেন। ২০১১ সালে তেলেগু সিনেমার মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। পরের বছরই ‘থ্রি’ সিনেমায় অভিনয় করে খ্যাতি কুড়ান এই অভিনেত্রী। পরের গল্প সকলেরই জানা।
বর্তমানে শ্রুতির হাতে ‘সালার টু’, ‘কুলি’ সিনেমার কাজ রয়েছে। ‘সালার টু’ সিনেমায় প্রভাসের সঙ্গে জুটি বেঁধে পর্দায় হাজির হবেন তিনি। এটি পরিচালনা করবেন প্রশান্ত নীল।
তথ্যসূত্র: বম্বে টাইমস
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আজ প্রথম প্রেম দিবস
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রথম প্রেম পূর্ণতা পায় না। কিন্তু প্রথম প্রেমের মিষ্টিমধুর সময়টা মনে গেঁথে থাকে। কখনও কবিতায়, কখনও গানে সেই প্রেমের স্মৃতি ফিরে পায় মানুষ। আজ প্রথম প্রেম দিবস। আজ ১৮ সেপ্টেম্বর, প্রথম প্রেম দিবস। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে দিবসটি পালন করা হয়।এরপর থেকে প্রতিবছরই উদ্যাপিত হচ্ছে দিবসটি।
প্রথম প্রেম মানুষ ভোলে না কেন?
মানুষ প্রথম প্রেমে পড়ে কৈশোর কিংবা প্রথম তারুণ্যে। এ সময় শরীরে হ্যাপি হরমোনের প্রভাব থাকে প্রবল। যার ফলে ভালোবাসার মানুষের প্রতি আকর্ষণ থাকে বেশি।
আরো পড়ুন:
আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস
কাজাকিস্তানের যাযাবর জাতির করুণ ইতিহাস
ভালো লাগার মুহূর্তগুলোত মানুষকে সুখের অনুভূতি দেয়। যাকে ভাবলে এই সুখ অনুভূতি হয়, যে কাছে থাকলে নিজেকে পৃথিবীর সেরা সুখী মানুষ মনে হয়-সেই মানুষটিকে কোনো কারণে হারিয়ে ফেললেও ভোলা যায় না।
আক্ষরিক অর্থে কেউ কাউকে ভালোবাসা শেখায় না, কিন্তু ভালোবাসার উপলক্ষ্য এনে দেয়। ভালোবাসার অনুভূতিগুলো যাকে প্রথম বলা যায়, তাকে তো ভোলার কথা না!
ন্যাশনাল ডে ক্যালেন্ডার অবলম্বনে
ঢাকা/লিপি