কবি সাজেদুর আবেদীন শান্ত’র তৃতীয় কবিতার বই ‘ঈশ্বর ও হেমলক’ প্রকাশিত হয়েছে। এটি প্রকাশ করছে উন্মেষ প্রকাশন। প্রচ্ছদ করেছেন আর করিম। এ কবিতার বইয়ে প্রকাশ পেয়েছে প্রেম, পরিণতি, বিরহ ও হতাশার নানা রূপ। বইটির মূল্য রাখা হয়েছে ১০০ টাকা। 

বইটি সম্পর্কে সাজেদুর আবেদীন শান্ত বলেন, ‘‘গত দুটি বইয়ে ভালো সাড়া পেয়েছিলাম। অনেকে বই দুটি পড়ে আলোচনা করেছেন। সেই সাহস নিয়ে তৃতীয় বই করা। আশা করি এটিও পাঠকনন্দিত হবে।’

সাজেদুর আবেদীন শান্ত একাধারে কবি, সম্পাদক ও গণমাধ্যমকর্মী। শৈশবে স্থানীয় একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয় তার প্রথম কবিতা। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় কবিতা, গল্প, ফিচার ও কলাম লেখেন। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘আষাঢ়, তুই এবং মৃত্যু’ (২০২১) ও ‘স্নিগ্ধ ভোর অথবা মৃত্যু’ (২০২২)। এছাড়া তিনি নিয়মিত সম্পাদনা করেন শিল্প-সাহিত্যের সাময়িকী ‘উন্মেষ’। তিনি ফিচার সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য ২০২২ সালে ‘প্রভাতের আলো তরুণ সংঘ সম্মাননা’ লাভ করেন। 

আরো পড়ুন:

বইমেলায় শব্দনীলের কাব্যগ্রন্থ ‘চালাকচরের ফুলপরী’

মেলায় শাহ মতিন টিপুর ‘রোদ্দুর ভুলে গেছে বৃষ্টির গান’

‘ঈশ্বর ও হেমলক’ সংগ্রহ করতে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন উন্মেষের ‘০১৯৯৫৫৩৩৩৪১; এই নম্বারে। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে 

বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।

বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।

ঢাকা/নাজমুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে