ভারতীয় জনপ্রিয় অভিনেতা  কমল হাসান-সারিকা দম্পতির কন্যা শ্রুতি হাসান। বাবা-মা উভয়ে তারকা হওয়া সত্বেও  ছোটবেলা থেকেই বাবা-মায়ের খ্যাতি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতেন শ্রুতি। এজন্য অপরিচিতদের কাছে নিজের ভুয়া নাম বলতেন বলেও এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। 

কয়েক দিন আগে একটি নারী ক্রিকেট টুর্নামেন্টের মধ্যবর্তী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে বেঙ্গালুরুতে গিয়েছিলেন শ্রুতি হাসান। তার ফাঁকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘থ্রি’ সিনেমা খ্যাত এই অভিনেত্রী।

শ্রুতি হাসান বলেন, “আমার বাবা-মা (অভিনেতা কমল হাসান ও সারিকা) বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। এই পরিচয় আমার বিরুদ্ধাচরণ ছিল। এজন্য আমি ভুয়া নাম ব্যবহার করতাম। যাতে আমার বাবা-মায়ের খ্যাতির সঙ্গে আমাকে না জড়ায় এবং কেবল একজন মানুষ হিসেবে বিবেচনা করেন।”

খ্যাতিকে হাতব্যাগের সঙ্গে তুলনা করে শ্রুতি হাসান বলেন, “খ্যাতি চিরস্থায়ী জিনিস না, এটি খুবই ক্ষণস্থায়ী। এটি একটি সুন্দর হাতব্যাগের মতো। আপনি যদি পাথর দিয়ে এটি পূর্ণ করেন, তবে আপনার কাঁধে ব্যথা করবে। সুতরাং খ্যাতি আপনাকে খুব হালকাভাবে বহন করতে হবে। কারণ এটি চিরস্থায়ী নয়। যদি কেউ মনে করেন, খ্যাতির উপরে ভিত্তি করে তার আশা-স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ গড়বেন, তাহলে সে আকাশে দুর্গ তৈরি করছেন।”

স্বাধীনচেতা শ্রুতি হাসান মাত্র ৬ বছর বয়সে গায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। ২০০০ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে রুপালি জগতে পা রাখেন। ২০১১ সালে তেলেগু সিনেমার মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। পরের বছরই ‘থ্রি’ সিনেমায় অভিনয় করে খ্যাতি কুড়ান এই অভিনেত্রী। পরের গল্প সকলেরই জানা।  

বর্তমানে শ্রুতির হাতে ‘সালার টু’, ‘কুলি’ সিনেমার কাজ রয়েছে। ‘সালার টু’ সিনেমায় প্রভাসের সঙ্গে জুটি বেঁধে পর্দায় হাজির হবেন তিনি। এটি পরিচালনা করবেন প্রশান্ত নীল। তথ্যসূত্র: বম্বে টাইমস

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ