চলতি মাসের ১৭ তারিখ দিবাগত রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ‘ইউনিক রোড রয়েলস’ নামের চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনাটি সঠিক নয় বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আজ মঙ্গলবার মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার থেকে প্রাপ্ত এ–সংক্রান্ত এক ভিডিও ক্লিপে বাসটির এক নারী যাত্রীর বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।

বলা হয়, ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, বাসটির এক নারী যাত্রী বলছেন, ‘বাসটিতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে, তবে ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’ এতে দেখা যায়, নারী যাত্রী খোলামেলাভাবে তাঁর বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন।

প্রসঙ্গত, ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে আসা ইউনিক রোড রয়েলসের ‘আমরি ট্রাভেলসের’ একটি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। যাত্রীদের ভাষ্যমতে, সেদিন রাত ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে বাস ছাড়ে। রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে বাসে ডাকাতি শুরু হয়। তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতি শেষে ঘুরিয়ে একই জায়গায় বাসটি নিয়ে গিয়ে রাত ৩টা ৫২ মিনিটে ডাকাতেরা নেমে যায়। এরপর বাসের চালক, তাঁর সহকারী ও সুপারভাইজার নানান টালবাহানা করতে থাকে। তাঁরা বলেন, তাঁদের গাড়িতে তেল নেই। অবশেষে যাত্রীদের চাপের মুখে পড়ে তাঁরা রাজশাহীর উদ্দেশে বাস ছাড়েন। যাত্রীরা প্রথমে বাসটি নিয়ে মামলা করার জন্য টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় যান। সেখানে তখন ওসি ছিলেন না বলে তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার পরে বাসটি বড়াইগ্রামে থানায় ঢোকানো হয়। পরে বাসের কয়েকজন যাত্রী অভিযোগ করেন, বাসে দুই নারীর শ্লীলতাহানি হয়েছে।

আরও পড়ুনঢাকা-রাজশাহী রুটে চলন্ত বাসে ডাকাতির যে বর্ণনা দিলেন যাত্রীরা২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ঘটনার তিন দিন পর ২১ ফেব্রুয়ারি ভোরে বাসের যাত্রী নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ওমর আলী বাদী হয়ে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় একটি মামলা করেন। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় পাঁচজন গ্রেপ্তার হয়েছে।

আরও পড়ুনচলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামি রিমান্ডে১৮ মিনিট আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও কো চেয়ারম্যানের সম্পদ জব্দে যুক্তরাজ্যে চিঠি দিয়েছে দুদক

বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়াত সোবহান (সানভীর) ও কো–চেয়ারম্যান সাদাত সোবহানের সম্পদ জব্দে যুক্তরাজ্যে চিঠি দিয়েছে দুদক।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনা একটি জটিল প্রক্রিয়া। তবে আমরা চেষ্টা করছি। আমাদের আদালতের পাশাপাশি সে দেশের আদালতে যদি আমরা প্রমাণ করতে পারি, তাহলে এসব সম্পদ দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।’

এ ছাড়া সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আদনান ইমামের সম্পদ জব্দে চিঠি দিয়েছে দুদক।

সংবাদ সম্মেলনে টিউলিপ সিদ্দিকের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ‘টিউলিপ সিদ্দিক যতই বলুক তিনি ব্রিটিশ নাগরিক, আমাদের কাগজপত্রে তিনি বাংলাদেশি নাগরিক। আমরা আমাদের নাগরিকের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি। টিউলিপ যদি নির্দোষ হন, তাহলে তাঁর মন্ত্রিত্ব গেল কেন? তিনি কেন সরে গেলেন? তাঁর আইনজীবী আমাদের কাছে কেন চিঠি লিখলেন।’

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক। খালা শেখ হাসিনার শাসনামলে অবৈধভাবে জমি গ্রহণের অভিযোগ টিউলিপের বিরুদ্ধে এনেছে দুদক। যুক্তরাজ্যের সাবেক ট্রেজারি মিনিস্টার টিউলিপ তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ চালানোর অভিযোগ করেছেন টিউলিপ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ