চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্বাগতিক পাকিস্তান এক ম্যাচ হাতে রেখে গ্রুপ পর্বে বিদায় নিয়েছে। নিউজিল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে বাজেভাবে হেরেছে মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল। 

এর আগে ভারতে অনুষ্ঠিত ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে বিদায় নেয় পাকিস্তান। বাবর আজমের নেতৃত্বে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারেনি দলটি। ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েষ্ট ইন্ডিজের টি-২০ বিশ্বকাপেও গ্রুপ পর্বে বিদায় নিতে হয় পাকিস্তানের। 

ধারাবাহিক পাকিস্তান ক্রিকেটের এমন অধঃপতনে ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ-এর (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান। পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী এই অধিনায়ক জেলে বসেও পাকিস্তান ক্রিকেটের ধ্বংস টের পাচ্ছেন। এজন্য পিসিবির অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন তিনি। 

রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে দুর্নীতি মামলায় ১৪ বছরের কারাদণ্ড প্রাপ্ত ইমরান খান টিভিতে ভারত ও পাকিস্তানের ম্যাচ দেখেছেন। মঙ্গলবার জেল গেটের বাইরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইমরানের বোন আলিমা খান। তার ভাষ্যে, ইমরান খান বলেছেন, ‘পাকিস্তন ক্রিকেটের সর্বত্র পছন্দের ব্যক্তি বসানো হয়েছে। তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এভাবে চললে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান ক্রিকেট ধ্বংস হয়ে যাবে।’  

আলিমার ভাষ্যে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ইমরান খান বলেছেন, ‘পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নাকভিকে জিজ্ঞেস করা উচিত যে, উনি ক্রিকেট সম্পর্কে কতটা অভিজ্ঞ।’ পিটিআই-এর মহাসচিব সালমান আকরাম জানান, পাকিস্তানের খেলা দেখে ইমরান খান দুঃখ পেয়েছেন। সালমান বলেন, ‘ক’বছরের মধ্যেই পাকিস্তানে ক্রিকেটটাকে তামাশায় পরিণত হয়েছে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইমর ন খ ন ইমর ন খ ন

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে টেক্সটাইল কারখানায় গ্যাসের মিটার বিস্ফোরণে চারজন দগ্ধ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি টেক্সটাইল কারখানায় গ্যাসের মিটার বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডে চার নিরাপত্তা প্রহরী দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রূপসী কাজীপাড়া এলাকার জৈনপুরী আশরাফিয়া টেক্সটাইল কারখানায় (মঞ্জু টেক্সটাইল) এ ঘটনা ঘটে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মে দিবসের কারণে কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ। এ জন্য লাইনে গ্যাসের উচ্চ চাপ সৃষ্টি হয়ে মিটারে বিস্ফোরণ হয়। সেখান থেকে আগুন ধরে চারজন নিরাপত্তা প্রহরী দগ্ধ হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস পৌঁছানোর আগেই কারখানার লোকজন ও স্থানীয় লোকজন মিলে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।

এ ঘটনায় দগ্ধ আবদুল হান্নান (৫০), কবির হোসেন (৪৫) ও সাইফুল ইসলামকে (২৫) রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধ অন্যজনের নাম জানা যায়নি। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

হাসপাতালের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়। আঘাত গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি তিনজনের শরীরের ৩৪ থেকে ৫৩ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁদের শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, রাতের ডিউটি (দায়িত্ব) শেষে সকাল আটটার দিকে শ্রমিকেরা কারখানা ছেড়ে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর তিতাস গ্যাস সংযোগের আরএমএস কক্ষে বিকট শব্দে একটি দেয়াল ধসে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। তখনই চারজন দগ্ধ হন। পরে কারখানার লোকজন ও স্থানীয় লোকজন মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ঘটনাটি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ দাবি করে কারখানার মালিক মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া বলেন, ঘটনার পর আপাতত কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে। শ্রমিকদের সব চিকিৎসার ব্যয় কারখানা থেকে বহন করা হবে। তাঁদের প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ