ফতুল্লায় স্বামীকে নির্যাতনের ভিডিও দেখিয়ে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
Published: 26th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্বামীকে নির্যাতনের ভিডিও দেখিয়ে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করার অভিযোগে মামলা হয়েছে। বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম এরআগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ধর্ষিতা তরুণী নিজেই বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় দুই লম্পটের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ১০ জানুয়ারী প্রেম ভালোবাসার সম্পর্কে দুই তরুণ তরুণী বিয়ে করেন। অভিভাবকরা এ বিয়ে মেনে না নেয়ায় তরুণী একাই ফতুল্লার পূর্ব লামাপাড়া এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন এবং তার স্বামী একই এলাকার আরেকটি বাসায় ভাড়া থাকেন।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১২ টার দিকে তরুণীর সাথে তার স্বামী দেখা করতে যাওয়ার পথে পূর্ব লামাপাড়া এলাকার মনিরের ছেলে নাজমুল ও তার বন্ধু রনি দলবল নিয়ে তাকে আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এরপর গলায় ছুরি ধরে তারা শারীরিকভাবে নির্যাতন করে এবং নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে রাখে।
সেই ভিডিও তরুণীকে দেখিয়ে নাজমুল ও রনি পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর স্বামী স্ত্রীর কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন ও সাথে থাকা নগদ টাকা নিয়ে তারা পালিয়ে যায় তারা।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, তাৎক্ষনিক বিষয়টি থানায় জানানো হয়নি। ফলে ধর্ষকরা সুযোগ পেয়ে পালিয়েছে। আমরা মামলা গ্রহণ করেছি। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারে থানা পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ভাড়া বাসায় একা থাকতেন বৃদ্ধা, তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গা শহরের দক্ষিণ কবরস্থান পাড়ায় বাসা থেকে গুলশান আরা চমন (৬৫) নামে বৃদ্ধার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করছে পুলিশ। তিনি ঝিনাইদহের শৈলকুপার উপজেলার দামুদহ গ্রামের মৃত আবুক কাশেমের স্ত্রী।
আজ সোমবার ( ১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরো পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
গাজীপুরে নৌকা ভ্রমণে গিয়ে নিখোঁজ, নদীতে মিলল লাশ
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান জানান, শয়ন কক্ষের মেঝে থেকে গুলশান আরা চমনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘরের ভেতর থেকে দরজা লাগনো ছিল। চমন হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাড়ির মালিকের স্ত্রী রেহেনা খাতুন বলেন, ‘‘দীর্ঘ সাত বছর বাসা ভাড়া নিয়ে চমন একাই বসবাস করছিলেন। তিন মাস আগে তিনি স্ট্রোক করলে তাকে উদ্ধার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তাকে পরামর্শ দেওয়া, ঘরের দরজা খোলা রেখে ঘুমাতে। যেন প্রয়োজনে সাহায্য করতে যায়। কিন্তু উনি দরজা দিয়ে ঘুমাতেন।’’
বাসা থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে তিনি পুলিশে খবর দেন।
গুলশান আরা চমনের ছোট বোন খুশি বলেন, ‘‘গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) চমনকে সঙ্গে নিয়ে বাজার করে তাকে বাড়ি রেখে যাই। এরপর তার সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি।’’
ঢাকা/মামুন/বকুল