তেঁতুলিয়া সীমান্তে আটক সাত বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ
Published: 27th, February 2025 GMT
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় আটক সাত বাংলাদেশি নাগরিককে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে ফেরত দিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের কাশিমগঞ্জ সীমান্তের ৭৩০ নম্বর মেইন পিলার এলাকায় বিজিবি-বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই সাতজনকে হস্তান্তর করে বিএসএফ।
পরে রাতে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন কাশিমগঞ্জ বিওপির সদস্যরা তাঁদের তেঁতুলিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর করেন। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে ওই সাতজনের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা করা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওই সাত বাংলাদেশি গত মঙ্গলবার রাতে তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের কাশিমগঞ্জ সীমান্তের ৭৩০ নম্বর মেইন পিলারের ৬ নম্বর সাবপিলার এলাকা দিয়ে মহানন্দা নদী পার হয়ে ভারতে যাচ্ছিলেন। তখন বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের আটক করেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের উত্তর বোয়ালিয়া এলাকার বাসিন্দা হরেন বর্মণ (৪০), তাঁর স্ত্রী মমতা রানী (৩৫), বড় ছেলে অজয় কুমার বর্মণ (২১), ছোট ছেলে (১৭), দেবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা শুশান্ত রায় (২২), গড়েয়া এলাকার আশীষ রায় (১৮) এবং আখানগর এলাকার এক কিশোর (১৭)।
গতকাল বুধবার রাতে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত মঙ্গলবার রাতে তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের কাশিমগঞ্জ সীমান্তের ৭৩০ নম্বর মেইন পিলারের ৬ নম্বর সাবপিলার এলাকা দিয়ে মহানন্দা নদী পার হয়ে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়াবিহীন এলাকা দিয়ে একজন নারীসহ সাত বাংলাদেশি ভারতে অনুপ্রবেশ করছিলেন। এ সময় ভারতের ১৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বানেশ্বরজোত ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের আটক করেন। পরে বিএসএফের মাধ্যমে বাংলাদেশি নাগরিকদের আটকের সংবাদ পাওয়ার পর বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিজিবি। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই বাংলাদেশি নাগরিকদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ।
আরও পড়ুনভারত থেকে পাসপোর্ট ছাড়াই আসার পথে তেঁতুলিয়া সীমান্তে বাংলাদেশি গ্রেপ্তার২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আজ বৃহস্পতিবার সকালে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত কবির মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, সাত বাংলাদেশিকে থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি। সেই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগে (পাসপোর্ট আইনে) একটি মামলা করেছে বিজিবি। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতে হাজির করার প্রক্রিয়া চলছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক শ মগঞ জ ব এসএফ র উপজ ল র এল ক র র এল ক
এছাড়াও পড়ুন:
নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।
আরো পড়ুন:
গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ
আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।
বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা/সাজু/রফিক