পণ্যবাহী জাহাজ ৭২ ঘণ্টার বেশি চট্টগ্রাম বন্দরে থাকতে পারবে না
Published: 27th, February 2025 GMT
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে থাকা বড় জাহাজ থেকে আমদানি পণ্য বোঝাইয়ের পর লাইটার জাহাজগুলোকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্দরসীমানা ছাড়তে নির্দেশনা জারি করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে এবং বাজারে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে জনস্বার্থে এমন নির্দেশ দিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তিটি জারি করেছে বন্দর। গতকাল বুধবার এ নির্দেশ জারি করা হয়।
বন্দরের উপসংরক্ষকের স্বাক্ষর করা এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ সব পণ্যের সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখা, বাজারে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখা ও নিরাপদ নৌ চলাচলের স্বার্থে মালামাল বোঝাই করার পর লাইটার জাহাজগুলোকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্দরসীমানা ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া গেল।
অন্যথায় চট্টগ্রাম বন্দর আইন এবং আন্তর্জাতিক বন্দর ও জাহাজসুবিধা (আইএসপিএস) কোড অনুযায়ী প্রযোজ্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে, চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে মাদার ভেসেল থেকে লাইটার জাহাজে পণ্য বোঝাই করার পর লাইটার জাহাজগুলো যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়াই বন্দরসীমানার মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় দিনের পর দিন অবস্থান করে, যা পণ্য সরবরাহব্যবস্থায় ও সাধারণ জনগণের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলার পাশাপাশি বাজারে পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও ভোক্তাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এভাবে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মূল্যবৃদ্ধির চেষ্টা রাষ্ট্র ও জনস্বার্থবিরোধী বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এ ছাড়া সীমিত এলাকায় এত অধিকসংখ্যক লাইটার জাহাজের অবস্থানের কারণে নিরাপত্তা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি অন্য সরবরাহ ব্যবস্থাপনাও বিঘ্নিত হয় বলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল ইট র জ হ জ
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশে আতঙ্ক-উত্তেজনা, ট্রাম্প আসলে কী চান
যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর ভাইস অ্যাডমিরাল রিচার্ড কোরেল ভেবেছিলেন, দেশটির পারমাণবিক বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে তাঁর নিয়োগ নিশ্চিত হওয়া নিয়ে গত বৃহস্পতিবার শুনানি সহজভাবেই শেষ হবে। তবে তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণের আগের দিন বুধবার রাত ৯টা ৪ মিনিটে সে আশা ভেঙে গেছে।
ওই সময় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে বিশ্বকে চমকে দেন। বলেন, তিনি মার্কিন বাহিনীকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা অবিলম্বে শুরু করতে বলেছেন। তাঁর যুক্তি, যুক্তরাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে রাশিয়া ও চীনের পেছনে থাকতে পারে না।
ট্রাম্প বলেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্রে রাশিয়া দ্বিতীয় এবং চীন বেশ দূরে তৃতীয় অবস্থানে। কিন্তু দেশটি পাঁচ বছরের মধ্যে আমাদের সমপর্যায়ে উঠে আসতে পারে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সিনেটে সশস্ত্র বাহিনী কমিটির প্রায় ৯০ মিনিটের শুনানিতে ট্রাম্পের মন্তব্য নিয়ে বারবার কোরেলকে প্রশ্ন করা হয়। ট্রাম্পের মন্তব্যে অনেক আইনপ্রণেতাই এ সময় ছিলেন বিভ্রান্ত। এ থেকে বোঝা যায়, রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ওয়াশিংটন ও এর বাইরে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা পরিষ্কার করেননি যে ট্রাম্প পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহ ব্যবস্থার পরীক্ষা করতে বলছেন, নাকি বিস্ফোরক পরীক্ষায় ৩৩ বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ করতে চাইছেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ট্রাম্পের নির্দেশ বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে ও প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়াতে পারে, যা শীতল যুদ্ধের ভয়ংকর স্মৃতি ফিরিয়ে আনে।কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট সদস্য সিনেটর জ্যাক রিড কোরেলকে প্রশ্ন করেন, যুক্তরাষ্ট্র আবারও পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা শুরু করলে তা কি বিশ্বে পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতিযোগিতা বাড়াবে এবং অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে।
কোরেল বলেন, ‘যদি আমাকে স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের (স্ট্র্যাটকম) কমান্ডার হিসেবে নিশ্চিত করা হয়, আমার কাজ হবে, পারমাণবিক পরীক্ষাবিষয়ক যেকোনো আলোচনা সম্পর্কে সামরিক পরামর্শ দেওয়া।’
ভাইস অ্যাডমিরাল কোরেলকে গত সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প স্ট্র্যাটকমের প্রধান করার জন্য মনোনীত করেন। স্ট্র্যাটকম পারমাণবিক হামলা প্রতিরোধ ও আক্রমণের সক্ষমতা নিয়ে কাজ করে। কোরেল পুরো শুনানিতে সতর্কভাবে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
পারমাণবিক অস্ত্রে রাশিয়া দ্বিতীয় ও চীন বেশ দূরে তৃতীয় অবস্থানে। কিন্তু দেশটি পাঁচ বছরের মধ্যে আমাদের সমপর্যায়ে উঠে আসতে পারে।ডোনাল্ড ট্রাম্প, মার্কিন প্রেসিডেন্টশুনানির এক পর্যায়ে স্বতন্ত্র সিনেটর অ্যাঙ্গাস কিং প্রশ্ন করেন, ট্রাম্প কি পারমাণবিক ডিভাইসের বিস্ফোরক পরীক্ষা নয়, বরং ক্ষেপণাস্ত্র বা অন্য সরবরাহ ব্যবস্থা পরীক্ষার কথা বলছেন কি না।
জবাবে কোরেল বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্য জানি না, তবে এটি এমন একটি ব্যাখ্যা হতে পারে, আমি তা মেনে নিই।’
দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে গত বৃহস্পতিবার মুখোমুখি বৈঠকে যোগ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সি চিন পিং