ভারতের বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতা জাহিদুর রহিম অঞ্জন। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গতকাল ভারত থেকে অঞ্জনের মরদেহ দেশে আসে। আজ বাদ জোহর জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। 

গতকাল বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ভারতের বেঙ্গালুরু থেকে ঢাকায় আনা হয়েছে চলচ্চিত্রকার জাহিদুর রহিম অঞ্জনের মরদেহ।  আজ আজিমপুর কবরস্থানে মায়ের কবরেই তাকে দাফন করা হয়। তার আগে সকালে জাহিদুর রহিম অঞ্জনের মরদেহ নেওয়া হয় তাঁর কর্মস্থল স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। সেখান থেকে বাংলাদেশ সিনেমা অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটসহ আরো কয়েক জায়গায় তাঁর মরদেহ নেওয়া হয়। 

জাহিদুর রহিম অঞ্জনের পরিবারের পক্ষ তার ছোট ভাই   সাজ্জাদুর পান্থ জানান,  বৃহস্পতিবার বাদ জোহর জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। মায়ের কবরে সমাহিত করা হয়েছে তাকে।

বহুদিন ধরেই লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। বিগত কয়েক মাস ধরে বেঙ্গালুরুর স্পর্শ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অস্ত্রোপচারের পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দিবাগত রাতে মারা যান এই গুণী নির্মাতা।

 জাহিদুর রহিম অঞ্জনের প্রথম ছবি ‘মেঘমল্লার’ মুক্তি পায় ২০১৪ সালে। তিনটি শাখায় জাতীয় পুরস্কার পায় ছবিটি। কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘রেইনকোট’ গল্প অবলম্বনে নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘মেঘমল্লার’ ছিল তার প্রথম ফিচার ফিল্ম। ছবিটি ‘শ্রেষ্ঠ পরিচালক’ ও ‘শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা’ হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এনে দেয় তাঁকে। সরকারি অনুদানে সবশেষ তিনি নির্মাণ করেন ‘চাঁদের অমাবস্যা’। ইতিমধ্যে ছবির পোস্টারও প্রকাশ হয়েছে। গত বছর ছবিটি মুক্তির পরিকল্পনা থাকলেও দেশের সার্বিক অবস্থা এবং নিজের অসুস্থতার কারণে মুক্তি দিতে পারেননি। খুব শিগগির সিনেমাটি দর্শকদের সামনে নিয়ে আসতে আগ্রহী ছিলেন।

জাহিদুর রহিম অঞ্জন বাংলাদেশ শর্টফিল্ম ফোরামের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র র মরদ হ অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

গৌরনদী থানার ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা

এক লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগে গৌরনদী মডেল থানার ওসি ইউনুস মিয়া ও উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী। বরিশাল সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আজ মঙ্গলবার মামলাটি দায়ের করেন গৌরনদীর বাটাজোর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আজাদ সরদারের স্ত্রী সুমা বেগম।

অভিযোগকারীর আইনজীবী নাজিম উদ্দীন আহমেদ পান্না এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করা হয়েছে। 

ভুক্তভোগী নারী মামলায় অভিযোগ করেছেন, গত ১১ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় কতিপয় দুর্বৃত্তরা তার (সুমা) শ্বশুরবাড়ির পাকা কবরস্থান ভাঙচুর করে ও দখলের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় বাদী জরুরি সেবা ৯৯৯- এ কল করলে থানার এসআই নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। তবে নজরুল ইসলাম ভুক্তভোগী সুমা বেগমসহ মামলার তিনজন সাক্ষীকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। ওসি এবং এসআই আটককৃতদের ছেড়ে দিতে সুমা বেগমের কাছে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা দিকে অপরাগতা প্রকাশ করায় মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন ওসি এবং এসআই। ওইদিন রাত নয়টার পর থানা হেফাজত থেকে বাদী ও মামলার তিনজন সাক্ষীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ওসি এবং এসআই মামলার বাদী ও তিন সাক্ষীকে দীর্ঘসময় থানায় আটকে রাখার সুযোগে দুর্বৃত্তরা কবরস্থান ভাঙচুর করে দখল করতে পেরেছে। বাদীর দায়ের করা এজাহার থানায় মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি। এ ঘটনায় বাদী সুমা বেগম গত ১৩ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশনের বরিশাল কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, ‘ঘুষ দাবির কোনো ঘটনা সেদিন ঘটেনি। একটি কু-চক্রী মহলের প্ররোচনায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে কবর খুঁড়ে ১৪টি কঙ্কাল চুরি
  • বগুড়ায় অটোরিকশাচালক আজগর হত্যা মামলার দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড
  • এক লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ, ওসি ও এসআইয়ের বিরুদ্ধে নালিশি
  • গৌরনদী থানার ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা
  • কুমিল্লায় বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রসহ চারজনের মৃত্যু