অর্থপাচারের মামলায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী এবং তার স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান নওরীন হাবিবসহ আট জনকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত অপর আসামিরা হলেন—সোলেমানের বাবা সফিকুল আনোয়ার চৌধুরী, বিসমিল্লাহ গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর আজিজ মুতাক্কি, মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আবুল হোসেন চৌধুরী, ব্যবস্থাপক রিয়াজ আহম্মেদ উদ্দিন শাফি, নেটওয়ার্ক ফ্রেইট সিস্টেম লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো.

আক্তার হোসেন এবং যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ডিএমডি মোজাম্মেল হোসেন।

কারাদণ্ডের পাশাপাশি মানিলন্ডারিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ১২৪ কোটি ৪২ লাখ ৯৪ হাজার ৯৫ টাকার দ্বিগুণ অর্থাৎ ২৪৮ কোটি ৮৫ লাখ ৮৮ হাজার ১৯০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে অর্থদণ্ডের টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তা না দিলে তাদের আরো এক বছর বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে। 

উল্লিখিত ব্যক্তিরা পলাতক আছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

এদিকে, দণ্ডিতদের নামে থাকা সব ধরনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মু. মোর্শেদুর রহমান এবং এস এম জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তারা খালাস পেয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সোহানুর রহমান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন। 

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরীসহ অন্য আসামিরা ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড খাতে মোট ১৩২ কোটি ৭৭ লাখ ১৭ হাজার টাকা অপরাধলব্ধ আয় করেন। খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরীসহ সঙ্গীয় আসামিরা ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড খাতে অর্জিত অপরাধলব্ধ আয়ের মধ্যে ১৩২টি এলসির বিপরীতে ১২৯ দশমিক ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার দেশে প্রত্যাবাসন না করে রপ্তানির আবরণে পাচার করেছেন।

এ ঘটনায় দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক আল-আমিন মতিঝিল থানায় ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর মামলাটি দায়ের করেন। মামলা তদন্ত করে ২০১৫ সালের ১৭ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ওই বছরের ৩০ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করা হয়।

ঢাকা/মামুন/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

তিন সাংবাদিকের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় ডিআরইউ’র উদ্বেগ

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাংবাদিক রফিকুল বাসার, মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন সংবাদকর্মীর চাকরিচ্যুতির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ডিআরইউ।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল সংবাদকর্মীদের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় এ উদ্বেগ জানান।

উল্লেখ্য, চ্যানেল আই’র সাংবাদিক রফিকুল বাসার, এটিএন বাংলার মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও দীপ্ত টিভির সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে মঙ্গলবার কোনো রকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ।

ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ তিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতির কারণ ব্যাখ্যা করার দাবি জানিয়েছেন।

এএএম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ