পটুয়াখালী আইনজীবী পরিষদ নির্বাচনের ফল বর্জন করেছেন জামায়াতে ইসলামী–সমর্থিত সভাপতি প্রার্থী আইনজীবী নাজমুল আহসান। আজ বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে জেলা আইনজীবী সমিতি কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে ফল বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি। এর আগে সকাল আটটার দিকে সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশের উপস্থিতিতে জেলা আইনজীবী সমিতির ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলন জেলা জামায়াতের আমির আইনজীবী নাজমুল আহসান বলেন, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি–সমর্থিত প্রার্থীরা পরিকল্পিতভাবে ভোটে নেতিবাচক পরিবেশ তৈরি করেন। বিএনপি–সমর্থিত প্রার্থীরা তাঁদের সমর্থিত ভোটারদের নানা কৌশলে ভোট দেওয়া থেকে বঞ্চিত করেছেন। বৃহস্পতিবার জেলার কয়েকটি উপজেলা থেকে আইনজীবীরা ভোট দিতে জেলা শহরের উদ্দেশে রওনা দেন। বিএনপির প্রার্থীর লোকজন তাঁদের প্রত্যাশিত আইনজীবী ভোটারদের গাড়ি আটকে দিয়ে বিএনপি–সমর্থিত প্রার্থীদের ভোট দিয়ে তার ছবি তুলে দেখাতে চাপ প্রয়োগ করেন। ওই আইনজীবীরা তাঁদের প্রস্তাবে রাজি না হলে তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ভোটকেন্দ্রে আসতে ব্যর্থ হওয়া আইনজীবীরা তাঁকে মুঠোফোনে এসব ঘটনা জানালে তিনি উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মী এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বিষয়গুলো জানান। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনার তাঁর অভিযোগ আমলে না নিয়ে ভোট গ্রহণ অব্যাহত রাখেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন–২০২৫–২৬–এর প্রধান নির্বাচন কমিশনার আইনজীবী মোহসীন উদ্দিন বলেন, জেলা আইনজীবী সমিতিতে মোট ভোটার ৪৬৫ জন। এর মধ্যে ৩৯৬ জন ভোট দিয়েছেন। তা ছাড়া জামায়াত প্রার্থীর সর্বোচ্চ ভোট ছিল ২০টি। সেখানে জামায়াতের সভাপতি প্রার্থী আইনজীবী নাজমুল আহসান ১৩৭টি ভোট পেয়েছেন। এরপরও যদি ভোট নিয়ে অভিযোগ করেন, তা হলে তাঁর কিছু করার নেই।

সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল আহসান আরও বলেন, ‘১১ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে জামায়াত–সমর্থিত আইনজীবীদের ওপর হামলা ও মনোনয়নপত্র সংগ্রহে বাধা দেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। ওই দিন সাধারণ সম্পাদকসহ তিনটি পদে তাঁদের প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে দেওয়া হয়নি। এ ঘটনার পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের মধ্যস্থতায় সুষ্ঠু নির্বাচনের শর্তে তাঁরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। অথচ পরিকল্পিতভাবে একতরফা নির্বাচন দিয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছেন। জুলাই-আগস্ট পরবর্তী সময়ে এটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আইনজ ব র সমর থ ত ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

বরগুনায় বিএনপির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের মামলা প্রত্যাহারের আবেদন আদালতে নাকচ

বরগুনা জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন নাকচ করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার বরগুনার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান এই আদেশ দেন।

এদিকে আদালতের নথি কাটাছেঁড়ার অভিযোগে মামলার বাদী শহিদুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

এর আগে ২৩ জুলাই জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য শহিদুল ইসলাম ২৩১ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলার পর আদালত বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৩০ মে বরগুনা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল চলাকালে আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, ছেনি, চায়নিজ কুড়ালসহ কার্যালয় ঘিরে ফেলেন। এরপর তাঁরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও ত্রাস সৃষ্টি করেন। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীদের মারধর ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

গত রোববার বরগুনা জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম এক বৈঠকে শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ফোরামের সদস্যসচিব আবদুল ওয়াসি মতিন বলেন, ‘তিনি (শহিদুল ইসলাম) আমাদের সদস্য। তিনি মামলা করেছেন, তা আমরা জানতাম না। তাই তাঁকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

একই দিনে শহিদুল ইসলামের দুটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি জানি না কার নামে মামলা হয়েছে, নেতারাই আমাকে দিয়ে মামলা করিয়েছেন।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা প্রথম আলোকে বলেন, এটি দলীয় সিদ্ধান্ত নয়। যিনি মামলা করেছেন, তিনি ব্যক্তিস্বার্থে করেছেন। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।

আদালতের পেশকার নাদিরা পারভীন বলেন, মামলার আদেশ হওয়ার পর বাদী আদালতের নথিতে কাটাছেঁড়া করেছেন। তাই আদালত তাঁকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন এবং আগামী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

মামলা প্রসঙ্গে শহিদুল ইসলাম বলেন, কিছু আসামির নাম-ঠিকানা ভুল ছিল, সে কারণে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছিলাম।

উল্লেখ্য, একই ঘটনায় বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত এস এম নজরুল ইসলামের ছেলে এস এম নইমুল ইসলাম ৩০ এপ্রিল একটি মামলা করেন। ওই মামলায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের পাশাপাশি বিস্ফোরক আইনের ধারা সংযোজন করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুরাইয়া মতিনের মৃত্যুতে ফতুল্লা প্রেসক্লাবের শোক
  • ডাকসুর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ
  • ‎আবু সাঈদ হত্যা: ৬ আগস্ট অভিযোগ গঠনের আদেশ 
  • আবু সাঈদ হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশ ৬ আগস্ট
  • শিক্ষকের মুক্তি চেয়ে শিক্ষার্থীদের আদালত চত্বরে অবস্থান, সড়ক অব
  • কিশোরগঞ্জে আইনজীবীর বাড়িতে ডাকাতি, ২৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট
  • আবু সাঈদ হত্যা: ‘ঘটনাস্থলে ছিলেন না’ দাবি করে দুই আসামির অব্যাহতির আবেদন
  • ডাকসু নির্বাচন ৯ সেপ্টেম্বর
  • দুদকের মামলায় রাজশাহীর সাবেক জেলা রেজিস্ট্রার কারাগারে
  • বরগুনায় বিএনপির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের মামলা প্রত্যাহারের আবেদন আদালতে নাকচ