মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ভাঙ্গা থানার ওসি গ্রেপ্তার
Published: 28th, February 2025 GMT
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে শৈলেন চাকমা বলেন, ‘বিষয়টি বিস্তারিতভাবে আমরা গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জানতে পারি। এর আগে পুলিশের সদর দপ্তর থেকে আমাদের একটি বার্তা দেওয়া হয়। এতে জানানো হয়, গাজীপুরের ডিবি পুলিশের সাবেক পরিদর্শক শফিকুল ইসলামকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল-১–এ সোপর্দ করা হয়েছে।’
ভাঙ্গায় যোগদানের আগে শফিকুল ইসলাম হবিগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরে তাঁকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে বদলি করা হয়েছিল। গাজীপুরে তিনি ডিবি পুলিশের পরিদর্শক হিসেবে কাজ করেছেন।
শৈলেন চাকমা আরও বলেন, ‘কোন মামলায় তাঁকে (শফিকুল ইসলাম) গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা আমরা জানতে পারিনি। তবে তাঁর পরিচয় গাজীপুরের ডিবির পরিদর্শক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেহেতু মামলাটি গাজীপুরে কোনো থানায় দায়ের করা হয়ে থাকতে পারে।’
এর আগে গত বুধবার রাত আটটার দিকে ভাঙ্গা থানা থেকে ওসি শফিকুল ইসলামকে আটক করে নিয়ে যান ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যারা। বুধবার রাত আটটার পর থেকে গতকাল দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত ভাঙ্গার ওসির অবস্থান সম্পর্কে কোনো নিশ্চিত ধারণা সাংবাদিকদের দিতে পারেননি জেলা পুলিশের কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। গতকাল ভাঙ্গা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় তিনি অনুপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, শফিকুল ইসলামকে বুধবার রাতে ঢাকার ডিবি পুলিশ আটক করে। পরে গতকাল তাঁকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল-১–এ সোপর্দ করা হয়। পরে আদালত তাঁকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ল ন চ কম গতক ল অপর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী টিম ডিরেক্টর রাজ্জা
সংবাদ সম্মেলন তখন শেষ। আব্দুর রাজ্জাককে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, ‘‘বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর কিন্তু টসেও ইনপুট দিতেন। আপনি কি…?’’ রাজ্জাক মুখে হাসি আটকে রাখেন। এই পদে আসন্ন আয়ারল্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক স্রেফ এতোটুকুই বলতে পারেন, ‘‘আমাদের থেকে এমন কিছু কখনোই দেখতে পারবেন না। আমরা নতুন কিছু নিয়ে ভাববো।’’
জাতীয় দলকে নিয়ে সেই ভাবনা থেকেই আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড একজনকে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের জাতীয় পুরুষ দলের ব্যর্থতার কারণে আলোচনা হচ্ছিল, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপরে একটি ছায়া বিভাগ থাকবে যারা সরাসরি জাতীয় দল পর্যবেক্ষণ করবে।
সেই ছায়া বিভাগে সাবেক ক্রিকেটাররাই থাকবেন। প্রথম টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাক পেলেন দায়িত্ব। কেন টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হলো সেই প্রশ্ন করা হয় তাকে। নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় টিম ডিরেক্টর পদটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ এই দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে। দলের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যেতেন তিনি। টস থেকে শুরু করে টিম মিটিংয়ে দিতেন ইনপুট। যা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ করেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক।
তবে রাজ্জাক নিজের কাজ, পরিধি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলেই নিশ্চিত করলেন,"অন্যান্য যে কোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। আর কখনও যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে সেটিও দেওয়ার চেষ্টা করব। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমি করব।"
"ক্রিকেট বোর্ডের মনে হয়েছে, দলের সঙ্গে একজন টিম ডিরেক্টর থাকলে ভালো হবে। এই পদটি কিন্তু আগেও ছিল। অনেক দিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড পরিচালকের সংখ্যা কম থাকায় হয়তো দলের সঙ্গে কেউ যায়নি। তবে এর আগে প্রায় সিরিজেই দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর থাকত।" - যোগ করেন তিনি।
ঢাকা/ইয়াসিন