বগুড়ায় র্যাব পরিচয়ে শিক্ষার্থীকে অপহরণ, গ্রেপ্তার এক
Published: 28th, February 2025 GMT
বগুড়ার জহুরুলনগরের একটি মেস থেকে শিক্ষার্থীকে র্যাব পরিচয়ে অপহরণ ঘটনার হোতা মুকুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় র্যাব-৬ ও র্যাব-১২ এর যৌথ অভিযানে নড়াইলের তারাপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে র্যাবের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
মুকুল গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বকচর গ্রামের মোকবুল হোসেনের ছেলে।
আরো পড়ুন:
পটুয়াখালীতে ইয়াবা ও ১৬ মাদক পারচারকারী আটক
ঝিনাইদহে ট্রিপল মার্ডার: ২ সন্দেহভাজন আটক
এর আগে বছরের ১৪ ডিসেম্বর রাত ২টায় বগুড়া শহরের জহুরুল নগর এলাকার মদিনা মসজিদ সংলগ্ন একটি মেস থেকে ফেরদাউস সরকার নামের এক শিক্ষার্থীকে র্যাব পরিচয়ে সংবদ্ধ চক্র অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ফেরদাউসের স্ত্রীর হোয়াটসআপ নম্বরে ৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে ওই দিনই তার স্ত্রী সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন।
পরেরদিন মুক্তিপণের টাকা নিতে গিয়ে নারায়ণগঞ্জ থানা বন্দর এলাকা থেকে পুলিশের কাছে আটক হন দুই নারী। দুই নারী আটকের বিষয়টি জানতে পেরে অপহরণকারীরা ফেরদৌসকে নরসিংদীর মাধবদী থানা এলাকায় হাত পা বাধা অবস্থায় ফেলে যায়। খবর পেয়ে ওই থানা পুলিশ ফেরদৌসকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে।
র্যাব-১২ সিরাজগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার উসমান গনি স্বাক্ষরিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, মুকুলকে বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বগুড়া/এনাম/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সৌদিপ্রবাসীর অপহৃত শিশুসন্তান উদ্ধার
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়ন থেকে অপহৃত সাত বছরের একটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রুহুল আমিন (২০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মধ্যে অপহরণকারীরা গতকাল শুক্রবার গহিন জঙ্গলে মায়ের কাছে শিশুটিকে দিয়ে পালিয়ে গেছে। তবে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) রাঙ্গাঝির এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিনের দাবি, তিন লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহরণকারীরা শিশুটিকে মায়ের কাছে দিয়ে গেছে।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে সৌদি আরবপ্রবাসী সাইফুল ও শাহেদা বেগম দম্পতির সাত বছরের ছেলেকে বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের অভিযানে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মুক্তিপণ দিয়ে শিশুটিকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
বাইশারী ইউপির রাঙ্গাঝিরি এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার রাতে রাঙ্গাঝিরি পাড়ার শিশুটি অপহৃত হওয়ার পর পরিবার থেকে অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছিল। অন্যদিকে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীও অভিযান পরিচালনা করেছে। গতকাল শুক্রবার শিশুটির মা রাঙ্গাঝিরি থেকে আলেক্ষ্যং এলাকায় যান। সেখান থেকে তাঁর অপহৃত সন্তানসহ বিকেলে ফিরে আসেন। সন্ত্রাসীরা প্রথমে ১০ লাখ টাকা দাবি করলেও পরে তিন লাখ টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে তাঁরা জেনেছেন।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, অভিযানের মুখে অপহৃত শিশুটিকে মুক্তি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। অপহরণের ঘটনার পর থেকে অভিযান চালানো হয়েছে। উদ্ধারের পর শিশুটির পরিবার মামলা করার জন্য থানায় গেছে।