সাবেক রাষ্ট্রপতি হামিদের শ্যালক হবেন জামায়াতের প্রার্থী
Published: 28th, February 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে জামায়াতে ইসলামী এর আগে পাঁচটি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। বাকি ছিল কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসন। এই আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের শ্যালক কর্নেল (অব.) ডা. জেহাদ খানকে। জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক রমজান আলী জানান, ডা. জেহাদ দলের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য। বৃহস্পতিবার কেন্দ্র থেকে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
আবদুল হামিদের স্ত্রী রাশিদা হামিদের ছোট ভাই জেহাদ খান ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে হৃদরোগ চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে কাজ করছেন। তিনি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে স্থাপিত প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সঙ্গেও জড়িত। তাঁর বাড়ি করিমগঞ্জের জাফরাবাদ এলাকায়।
গত ১ ফেব্রুয়ারি কিশোরগঞ্জ শহরতলির একটি পার্কে জামায়াতের জেলা ও উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্যদের বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা সভা হয়। সেখানে দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সামিউল হক ফারুকী আনুষ্ঠানিকভাবে অন্য পাঁচটি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন।
তারা হলেন– কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ-হোসেনপুর) আসনে জেলা জামায়াতের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোসাদ্দেক আলী ভূঁইয়া। কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) আসনে কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মোড়ল। কিশোগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ রোকন রেজা। কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক রমজান আলী, কিশোরগঞ্জ-৬ (কুলিয়ারচর-ভৈরব) আসনে ভৈরব উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা কবির হুসাইন।
ডা.                
      
				
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক শ রগঞ জ জ ম য় ত ইসল ম আবদ ল হ ম দ ক শ রগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী টিম ডিরেক্টর রাজ্জা
সংবাদ সম্মেলন তখন শেষ। আব্দুর রাজ্জাককে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, ‘‘বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর কিন্তু টসেও ইনপুট দিতেন। আপনি কি…?’’ রাজ্জাক মুখে হাসি আটকে রাখেন। এই পদে আসন্ন আয়ারল্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক স্রেফ এতোটুকুই বলতে পারেন, ‘‘আমাদের থেকে এমন কিছু কখনোই দেখতে পারবেন না। আমরা নতুন কিছু নিয়ে ভাববো।’’
জাতীয় দলকে নিয়ে সেই ভাবনা থেকেই আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড একজনকে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের জাতীয় পুরুষ দলের ব্যর্থতার কারণে আলোচনা হচ্ছিল, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপরে একটি ছায়া বিভাগ থাকবে যারা সরাসরি জাতীয় দল পর্যবেক্ষণ করবে।
সেই ছায়া বিভাগে সাবেক ক্রিকেটাররাই থাকবেন। প্রথম টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাক পেলেন দায়িত্ব। কেন টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হলো সেই প্রশ্ন করা হয় তাকে। নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় টিম ডিরেক্টর পদটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ এই দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে। দলের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যেতেন তিনি। টস থেকে শুরু করে টিম মিটিংয়ে দিতেন ইনপুট। যা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ করেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক।
তবে রাজ্জাক নিজের কাজ, পরিধি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলেই নিশ্চিত করলেন,"অন্যান্য যে কোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। আর কখনও যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে সেটিও দেওয়ার চেষ্টা করব। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমি করব।"
"ক্রিকেট বোর্ডের মনে হয়েছে, দলের সঙ্গে একজন টিম ডিরেক্টর থাকলে ভালো হবে। এই পদটি কিন্তু আগেও ছিল। অনেক দিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড পরিচালকের সংখ্যা কম থাকায় হয়তো দলের সঙ্গে কেউ যায়নি। তবে এর আগে প্রায় সিরিজেই দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর থাকত।" - যোগ করেন তিনি।
ঢাকা/ইয়াসিন