হবিগঞ্জে হাজার কেজি পচা ছোলাবুট ফেলা হলো নদীতে
Published: 1st, March 2025 GMT
হবিগঞ্জে এক হাজার কেজি পচা ছোলাবুট জব্দ করা হয়েছে। পরে জব্দকৃত ছোলাবুট নদীতে ফেলে নষ্ট করা হয়। এসময় পচা পণ্য সংরক্ষণের অপরাধে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৯টার দিকে জেলা শহরের চৌধুরী বাজার এলাকায় এ অভিযান করেন জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে হবিগঞ্জ সদর আর্মি ক্যাম্পের সদস্য ও থানা পুলিশ ।
জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে হবিগঞ্জ সদর আর্মি ক্যাম্পের সদস্য ও থানা পুলিশের অভিযান
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সামিউর রহমান জানান- গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চৌধুরী বাজার এলাকায় বাদল রায়ের গুদামে অভিযান করা হয়। এসময় গুদামে পচা ১ হাজার কেজি ছোলাবুট পাওয়া যায়। পরে সেগুলো জব্দ করে নদীতে ফেলে ধ্বংস করা হয়। এসময় অভিযুক্ত শ্যামল দেবকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, আসন্ন রমজান মাসে ভাল ছোলাবুটের সাথে পচা বুট বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছিল। এছাড়াও বিভিন্ন গুদামে রক্ষিত পামওয়েল তেল মজুদ না রেখে দ্রুত বিক্রির জন্য বলা হয়।
অভিযানকালে সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
হবিগঞ্জ সদর আর্মি ক্যাম্পের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাজারে পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা/মামুন/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস