দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে বিরাহিমপুর গুচ্ছগ্রামে অবস্থিত রহিম ভান্ডারী বাবার মাজারে ভাঙচুরের পর পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ তৌহিদি জনতা। এসময় মাজারের খাদেম এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ভক্তরা মাজার থেকে পালিয়ে যায়।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় তৌহিদি জনতা ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার’ স্লোগান দিয়ে মাজারে প্রবেশ করে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। 

এসময় আগত অতিথিদের বিশ্রামাগার, হালকায়ে জিকির মঞ্চ, প্যান্ডেল, বিভিন্ন স্থাপনা ও ধর্মের নামে গান বাজনা ও খাবার আয়োজনের বিভিন্ন সামগ্রী ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় তৌহিদি জনতা।

স্থানীয় জনতা অভিযোগ করে বলেন, “কথিত পীরের এই মাজারে অসামাজিক কার্যকলাপ, জিকিরের নামে নারী-পুরুষ একত্র হয়ে গান-বাজনা ও ভণ্ডামি করে থাকে। এগুলিকে কোনভাবেই ইসলাম পছন্দ সমর্থন করে না।”

তারা আরও বলেন, “এই অনৈতিক কাজ বন্ধের দাবিতে আমরা এর আগে বিক্ষোভ মিছিল ও গণ সমাবেশ করেছি। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ওসিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছি। কিন্তু কোনো ধরনের ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ইসলাম ও ধর্মের নামে কোনো ধরনের নোংরামি আমরা ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কোনভাবেই বরদাস্ত করব না।”

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আ.

ন.ম নিয়ামত উল্লাহ।

তিনি বলেন, “ঘটনাস্থল এখনও উত্তেজিত রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমরা কাজ করছি।”

ঢাকা/মোসলেম/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি

‎নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল  সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।

সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে  একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য। 

সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের  গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবি,  সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।

‎‎মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)  শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

‎দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।

‎‎জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।

‎‎এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।

‎‎তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।

‎‎এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১৩ ঘণ্টা পর রংপুরের রেল যোগাযোগ সচল
  • ‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
  • নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
  • ১৭ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ, নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুই হাজার সদস্য
  • ফরিদপুরে অবরোধ শনিবার পর্যন্ত স্থগিত
  • ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
  • হেরোইন বিক্রির অভিযোগে ধামরাইয়ে গ্রেপ্তার ৩
  • আসন্ন নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের
  • টেকনাফে সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ২