ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন এবং বিপণনকার প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের হেড কোয়ার্টার্স পরিদর্শন করেছেন ১০০ জন বিসিএস কর্মকর্তা। বিসিএস প্রশাসন একাডেমি থেকে ১৩৫, ১৩৬ এবং ১৩৭ তম আইন ও প্রশাসন কোর্সের অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের অংশ হিসেবে ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন করেন তারা।

এর মাধ্যমে তারা ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও হাই-টেক পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি, গবেষণা ও রপ্তানি কার্যক্রম সম্পর্কে সম্যক ধারণা ও অভিজ্ঞতা লাভ করেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) সকালে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্স পরিদর্শনে আসেন বিসিএস কর্মকর্তারা।

আরো পড়ুন:

ওয়ালটন বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর: আইসিবি চেয়ারম্যান 

ওয়ালটন পণ্য কিনে আবারো মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ

বিসিএস প্রশাসন একাডেমির বিভিন্ন কোর্সে অংশগ্রহণকারী সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্সে পৌঁছালে তাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী ও হেড অব অ্যাডমিন মেজর (অব.

) জাহিদুল হাসান।

হেড কোয়ার্টার্স প্রাঙ্গণে পৌঁছে অতিথিরা প্রথমে ওয়ালটনের বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়ার ওপর নির্মিত ভিডিও ডকুমেন্টারি উপভোগ করেন। এরপর তারা ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টারসহ ওয়ালটনের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির রেফ্রিজটারেটর, টেলিভিশন এবং মোল্ড ও ডাই ইত্যাদি পণ্যের প্রোডাকশন প্ল্যান্ট সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কম্প্রেসার দেখছেন বিসিএস কর্মকর্তারা

পরিদর্শন শেষে এক প্রতিক্রিয়ায় তারা বলেন, ওয়ালটনের আন্তর্জাতিকমানের বিভিন্ন প্রোডাকশন ইউনিট ঘুরে দেখলাম। ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্সে না এলে বুঝতেই পারতাম না কিভাবে ও কত দ্রুত বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক, শিল্প ও প্রযুক্তি খাতসহ নানা সেক্টরে ব্যাপকভাবে উন্নতি করছে ওয়ালটন। এসব আমরা বাইরে থেকে শুনেছি। এখন সরেজমিনে দেখে মুগ্ধ হয়েছি।

বিসিএস কর্মকর্তারা আরো বলেন, ওয়ালটনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া খুব সুন্দরভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্সের বিশালাকার ম্যানুফ্যাকচারিং জোনগুলোতে ফ্রিজ, এসি, টিভি, কম্প্রেসর, ওয়াশিং মেশিন থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স উৎপাদিত হচ্ছে। ওয়ালটন সব ধরনের পণ্য ও যন্ত্রাংশ নিজেরাই তৈরি করছে, যা বাংলাদেশের সক্ষমতা প্রমাণ করছে।

ঢাকা/মাহফুজ/পলাশ/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উৎপ দ

এছাড়াও পড়ুন:

হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী টিম ডিরেক্টর রাজ্জা

সংবাদ সম্মেলন তখন শেষ। আব্দুর রাজ্জাককে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, ‘‘বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর কিন্তু টসেও ইনপুট দিতেন। আপনি কি…?’’ রাজ্জাক মুখে হাসি আটকে রাখেন। এই পদে আসন্ন আয়ারল‌্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক স্রেফ এতোটুকুই বলতে পারেন, ‘‘আমাদের থেকে এমন কিছু কখনোই দেখতে পারবেন না। আমরা নতুন কিছু নিয়ে ভাববো।’’ 

জাতীয় দলকে নিয়ে সেই ভাবনা থেকেই ‍আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড একজনকে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের জাতীয় পুরুষ দলের ব‌্যর্থতার কারণে আলোচনা হচ্ছিল, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপরে একটি ছায়া বিভাগ থাকবে যারা সরাসরি জাতীয় দল পর্যবেক্ষণ করবে।

সেই ছায়া বিভাগে সাবেক ক্রিকেটাররাই থাকবেন। প্রথম টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাক পেলেন দায়িত্ব। কেন টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হলো সেই প্রশ্ন করা হয় তাকে। নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় টিম ডিরেক্টর পদটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ এই দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে। দলের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যেতেন তিনি। টস থেকে শুরু করে টিম মিটিংয়ে দিতেন ইনপুট। যা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ করেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক।

তবে রাজ্জাক নিজের কাজ, পরিধি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলেই নিশ্চিত করলেন,"অন্যান্য যে কোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। আর কখনও যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে সেটিও দেওয়ার চেষ্টা করব। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমি করব।"

"ক্রিকেট বোর্ডের মনে হয়েছে, দলের সঙ্গে একজন টিম ডিরেক্টর থাকলে ভালো হবে। এই পদটি কিন্তু আগেও ছিল। অনেক দিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড পরিচালকের সংখ্যা কম থাকায় হয়তো দলের সঙ্গে কেউ যায়নি। তবে এর আগে প্রায় সিরিজেই দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর থাকত।" - যোগ করেন তিনি।

ঢাকা/ইয়াসিন 

সম্পর্কিত নিবন্ধ