সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

নতুন করে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে আবারও ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ।

রোববার (২ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে ভোটার দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।

ইসি সানাউল্লাহ বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গণতন্ত্র উত্তরণের বাস্তব সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ভঙ্গুর নির্বাচন পরিস্থিতিতে ভোটবিমুখ জনগোষ্ঠির এই মুহূর্তে ভোটে ফেরার আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। তাই এবারের ভোটার দিবস তাৎপর্যপূর্ণ, যাতে করে কেউ ভুয়া কিংবা অস্বচ্ছ ভোটার তালিকা না বলতে পারে।

তিনি বলেন, এমনকি তরুণ ভোটারদের ভোটে অন্তভুর্ক্ত করা এবং নারী ভোটাররা যাতে বাদ না পড়ে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে নতুন করে আবারও নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। রাতের ভোট দেখতে চায় না নির্বাচন কমিশন। ভোটে কারও কর্তৃত্ব দেখতে চাই না।

ইসি আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, বিগত সময়ে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে সেগুলো ভালো হয়নি। এর দায় নির্বাচন কমিশন কোনোভাবেই এড়াতে পারে না। সেটা প্রধান নির্বাচন কমিশনার থেকে শুরু করে একজন ইসির কর্মচারী পর্যন্ত।

তিনি আরও বলেন, ইসি কঠিন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সুষ্ঠু ভোটের জন্য ইস্পাতের মধ্যে কঠিন অবস্থায় থাকবে কমিশন। কমিশন ভেঙ্গে যাবে কিন্তু মচকাবে না। জুলাই-আগস্টের শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করবে না নির্বাচন কমিশন।

আর গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে এসে আবদ্ধ ঘরে নয়, খোলা মাঠে ভোট করার পরামর্শ দিয়েছেন ইসি তাহমিদা আহমদ।

এ ছাড়া ইসি আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেছেন, মুখের কথায় নয়, কাজেই প্রমাণ করতে চায় ইসি।

বিএইচ

.

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’

অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ