৩০ জুনের মধ্যে নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে: ইসি সানাউল্লাহ
Published: 2nd, March 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
নতুন করে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে আবারও ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ।
রোববার (২ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে ভোটার দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গণতন্ত্র উত্তরণের বাস্তব সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ভঙ্গুর নির্বাচন পরিস্থিতিতে ভোটবিমুখ জনগোষ্ঠির এই মুহূর্তে ভোটে ফেরার আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। তাই এবারের ভোটার দিবস তাৎপর্যপূর্ণ, যাতে করে কেউ ভুয়া কিংবা অস্বচ্ছ ভোটার তালিকা না বলতে পারে।
তিনি বলেন, এমনকি তরুণ ভোটারদের ভোটে অন্তভুর্ক্ত করা এবং নারী ভোটাররা যাতে বাদ না পড়ে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে নতুন করে আবারও নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। রাতের ভোট দেখতে চায় না নির্বাচন কমিশন। ভোটে কারও কর্তৃত্ব দেখতে চাই না।
ইসি আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, বিগত সময়ে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে সেগুলো ভালো হয়নি। এর দায় নির্বাচন কমিশন কোনোভাবেই এড়াতে পারে না। সেটা প্রধান নির্বাচন কমিশনার থেকে শুরু করে একজন ইসির কর্মচারী পর্যন্ত।
তিনি আরও বলেন, ইসি কঠিন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সুষ্ঠু ভোটের জন্য ইস্পাতের মধ্যে কঠিন অবস্থায় থাকবে কমিশন। কমিশন ভেঙ্গে যাবে কিন্তু মচকাবে না। জুলাই-আগস্টের শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করবে না নির্বাচন কমিশন।
আর গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে এসে আবদ্ধ ঘরে নয়, খোলা মাঠে ভোট করার পরামর্শ দিয়েছেন ইসি তাহমিদা আহমদ।
এ ছাড়া ইসি আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেছেন, মুখের কথায় নয়, কাজেই প্রমাণ করতে চায় ইসি।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেছেন, এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই।
আজ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বারের হলরুমে ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার সংকট ও আইনি প্রতিকার পাওয়ার পথ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেড আই খান পান্না। সেমিনারটির আয়োজন করে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনোরিটিস (এইচআরসিবিএম), বাংলাদেশ চ্যাপ্টার।
বক্তব্যে জেড আই খান পান্না বলেন, ‘এখানে সংখ্যালঘুর কথা বলা হচ্ছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এখন আমি সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘু। আজ মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা দেখি, জুতা দিয়ে বাড়ি দিতে দেখি, কিন্তু কিছু করতে পারি না। তাই আমি সবচেয়ে বড় অসহায়।’
এসব কথা বলতে বলতে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না কেঁদে ফেলেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, জীবনে কখনো জেনে-বুঝে অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি। যাঁরা মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করেন, তাঁদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
জেড আই খান পান্না আরও বলেন, ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, কারও সঙ্গে এর তুলনা চলে না। এটা সাম্প্রদায়িকতার দেশ না। সংবিধানে যেন কেউ হাত না দেয়। সরকারের অনেকেই বিদেশি হয়েও স্বদেশি ভাব দেখাচ্ছেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার যেন নিঃশেষ হয়ে গেছে। সমাজে ন্যায়বিচার বা সুবিচার পাওয়ার কথা থাকলেও তা মিলছে না। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিচার হয় না। কেউ কেউ ধরা পড়লেও পরে বেরিয়ে যায়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুমন কুমার রায় বলেন, সব সরকারের আমলেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত। বর্তমান নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। সংস্কার কমিশনে সংখ্যালঘুদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা হলেও সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া আসে না, এমনকি দুঃখও প্রকাশ করে না।
গত বছরের ৫ আগস্টের পর সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রেক্ষিতে প্রতিবাদ শুরু হলে তা দমন করতেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে উল্লেখ করে সুমন কুমার দাবি করেন, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সনাতনী সম্প্রদায়ের বাক্স্বাধীনতা বন্ধ করতে, নেতৃত্ব দমন করতে এসব করা হচ্ছে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জে কে পাল। সঞ্চালনায় ছিলেন এইচআরসিবিএমের বাংলাদেশ চ্যাপটারের আহ্বায়ক লাকি বাছাড়। সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরশেদ ও মো. গোলাম মোস্তফা।