খেলতে গিয়ে নিখোঁজ, এক দিন পর পুকুরে পাওয়া গেল লাশ
Published: 2nd, March 2025 GMT
নাটোরে নিখোঁজের এক দিন পর পুকুর থেকে আরিফুল ইসলাম (৬) নামের এক শিশুশিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে সদর উপজেলার বড়হরিশপুর ইউনিয়নের ঋষির নওগাঁ গ্রামের ফারুক হোসেনের পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
মারা যাওয়া আরিফুল ইসলাম বড়হরিশপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ঋষির নওগাঁ গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় লক্ষ্মীপুর সানরাইজ স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
পুলিশ ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল শনিবার দুপুরে বাড়ির পাশে খেলছিল আরিফুল। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ বাড়িতে ফিরে না আসায় স্বজনেরা তাকে খুঁজতে শুরু করেন। কোথাও সন্ধান না পেয়ে পরে রাতে তাঁরা থানায় নিখোঁজের বিষয়টি জানান। আজ দুপুরে ফারুক হোসেন তাঁর পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে আরিফুলের লাশ ভাসতে দেখেন। পরে স্বজনেরা গিয়ে আরিফুলের লাশ শনাক্ত করে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় পুলিশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে।
আরিফুলের বাবা আনোয়ার হোসেন বলেন, তাঁর ছেলে গতকাল দুপুরে হঠাৎ নিখোঁজ হয়। খুঁজে না পাওয়ায় পুলিশকে জানানো হয়। আজ দুপুরে ফারুকের পুকুর থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। কাউকে সন্দেহ না হওয়ায় তিনি এ ব্যাপারে থানায় মামলা করেননি। মরদেহ দাফন করেছেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ শিশু আরিফুলের লাশ উদ্ধার করে। তবে কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর ফ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
‘স্বপ্ন ছিল বুকে জড়িয়ে ধরার, এখন আশা দাফনটা যদি অন্তত করতে পারি’
সাদা রঙের দেয়াল ঘেরা সাদামাটা ছোট্ট একটি হলঘর। ডজনখানেক মা ও স্ত্রী চুপচাপ বসে আছেন সামনের সারিতে। বাবা, ভাই ও বন্ধুরা দাঁড়িয়ে আছেন পেছনের দিকে, দেয়াল ঘেঁষে। সবার চোখ স্থির ফিলিস্তিনের গাজার দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের ওই কক্ষের একটি স্ক্রিনের দিকে। সেখানে দেখানো হচ্ছে পচে-গেলে যাওয়া মরদেহের ছবি। এসব দেহাবশেষের কোনো একটি হয়তো তাঁদেরই এক প্রিয়জনের।
গাজার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রণে এখানে এসেছে পরিবারগুলো। নিবিষ্টভাবে ছবিগুলো দেখছেন পরিবারের সদস্যরা। এ আশায় যে, ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত এই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে যদি নিখোঁজ স্বজনকে শনাক্ত করা যায়।
মরদেহগুলো সম্প্রতি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে হওয়া বন্দী বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ হস্তান্তর করেছে। মরদেহগুলোতে নির্যাতন ও পচনের সুস্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে। তবে এগুলো ফেরত দেওয়া হয়েছে শনাক্তকরণের কোনো উপায় ছাড়াই। এমনকি মৃত্যুর তারিখ বা স্থানেরও উল্লেখ করা হয়নি।
গাজায় ডিএনএ পরীক্ষার সরঞ্জাম না থাকায় স্বজনদের জন্য তাঁদের প্রিয়জনকে শনাক্ত করার একমাত্র উপায় হলো পচে-গলে বিকৃত হয়ে যাওয়া মরদেহের ছবি মনোযোগ দিয়ে দেখা। এটি যেমন নিদারুণ যন্ত্রণাভরা এক প্রক্রিয়া, ঠিক তেমনই আর কোনো উপায়ও নেই।
স্ক্রিনে দেখানো পচে-গলে যাওয়া মরদেহের ছবি দেখে স্বজনদের শনাক্তের চেষ্টা। গাজার নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স; ১৮ অক্টোবর ২০২৫