২৫ ক্যাডার কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি, কঠোর কর্মসূচির হুমকি
Published: 2nd, March 2025 GMT
২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার এবং আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবিতে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করছেন ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
রবিবার (২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কর্মকর্তারা নিজ নিজ দপ্তরের সামনে কালো ব্যাজ পরে ব্যানারসহ অবস্থান করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে সকাল ১১টার দিকে শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে। সারা দেশে তাদের ক্যাডাররা এ কর্মসূচি পালন করেন।
কর্মসূচি শেষে তারা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পক্ষপাতদুষ্ট এ আদেশ প্রত্যাহার না হলে পরবর্তীতে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন।
অবস্থান কর্মসূচি শেষে প্রতিটি দপ্তর নিজ নিজ কার্যালয়ে বা কয়েকটি ক্যাডার সম্মিলিতভাবে তাদের দাবির বিষয়ে সাংবাদিকদের বিষয়ে ব্রিফ করেন। জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে হাসপাতালের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন ও প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
সম্প্রতি ফেসবুকে লেখালেখির মতো তুচ্ছ কারণে ২৫ ক্যাডারের ১২ জন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই ধরনের কাজ প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যরা করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বৈষম্যপূর্ণ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে প্রশাসন ক্যাডার ২৫ ক্যাডারের ন্যায্য দাবি আদায় ও জনপ্রশাসন সংস্কার কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন বলে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ দাবি করেছে।
এছাড়া কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, ডিএস পুলের কোটা বাতিল, সব ক্যাডারের সমতা বিধানের দাবি জানিয়ে আসছে সিভিল সার্ভিসের ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
ঢাকা/আসাদ/নঈমুদ্দীন/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক য ড র র কর মকর ত ২৫ ক য ড র র অবস থ ন
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।